প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
follower
ড. আশরাফ উদ্দিন আহমেদ ইতালির স্বনামখ্যাত অ্যাডভান্সড সেন্টার ফর ট্রেনিং এন্ড রিসার্চ থেকে প্রশিক্ষণ পদ্ধতিবিষয়ক ডিপ্লোমা লাভ করেছেন। সাউথ কোরিয়াতে স্যামুয়েল উনডন বিষয়েও প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। দেশে-বিদেশে পল্লী উন্নয়ন বিষয়ক আন্তর্জাতিক সেমিনার, সিম্পোজিয়ামে তিনি বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার পরামর্শক হিসেবে কাজ করার অভিজ্ঞতাসমৃদ্ধ ড. আহমেদ পল্লী উন্নয়ন, সামাজিক বনায়ন, রাজনৈতিক ইত্যাদি বহুবিধ বিষয়ে প্রবন্ধ লিখেছেন এবং গবেষণা করেছেন। বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সাথেও তিনি জড়িত। আমেরিকার ফেডারেল সরকারের অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ফর চিলড্রেন এন্ড ফ্যামিলির ইন্ডিপেন্ডেন্ট কনসালটেন্ট হিসেবে দীর্ঘদিন কাজের অভিজ্ঞতাও তাঁর আছে। নিউইয়র্কে শিশু শিক্ষায় কৃতি প্রতিষ্ঠান ‘হেডস্টার্ট’ এ দীর্ঘদিন কো-অর্ডিনেটর হিসেবে কাজ করেছেন। সাথে সাথে দুটো পত্রিকায় সাপ্তাহিক এক্সিকিউটিভ এডিটর হিসেবেও কাজ করেছেন। লেখালেখি নিয়ে ব্যস্ত জীবনের পাশাপাশি পাঁচজন নাতি-নাতনি পরিবেষ্টিত সুখী জীবন ড. আহমেদের। স্ত্রী ডা. আসমা আহমেদ ও দুই পুত্র ও এক কন্যা সকলেই নিউইয়র্ক স্টেটে স্বাস্থ্য বিভাগে কর্মরত। এই করোনাকালেও প্রথম কাতারের সৈনিক। পুত্রবধূ ড. জয়নব ও কন্যার জামাতা ড. এজার সালমানও একই কাতারভুক্ত। ড. আশরাফ উদ্দিন আহমেদ ১৯৪৭ সালে বাংলাদেশের অপরূপ সৌন্দর্যমণ্ডিত হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার রতনপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা মোহাম্মদ মাহতাব উদ্দিনের অক্লান্ত প্রয়াসে প্রতিষ্ঠিত রতনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বড় বোন শামুসুন্নেছার (খেলাবু) হাত ধরে স্কুলে যাওয়ার বয়স হওয়ার পূর্বেই বিদ্যালয়ে শিক্ষা শুরু। বড় ভাই ডাক্তার আলাউদ্দিনের শাসন ও স্নেহে বেশ ক'টি হাই স্কুলে পড়তে হয়েছে। হবিগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ম্যাট্রিকুলেশন ১৯৬২ সনে, ইন্টারমিডিয়েট অব সায়েন্স ১৯৬৪ সনে সিলেট মুরারীচাঁদ (এমসি কলেজ) সরকারি কলেজ থেকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজবিজ্ঞানে বিএ (অনার্স) এবং এম.এ পাশ করে ড. আহমেদ চাকরি জীবন শুরু করেন প্রথমে তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তান পরিবার পরিকল্পনা এসোসিয়েশনের প্রকল্প সুপারভাইজার হিসেবে। পরবর্তীতে সমন্বিত পল্লী উন্নয়ন কর্মসূচিতে দীর্ঘদিন কাজ করেন। এ সময়ে ১৯৭৩ সনে ইউ. এস. এইড বৃত্তির জন্য মনোনীত হয়ে লেবাননের আমেরিকান ইউনিভার্সিটি অব বৈরুত থেকে পলিটিক্যাল স্টাডিজ এন্ড পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বিষয়ে এম. এ ডিগ্রি লাভ করেন। পি.এইচ. ডি করেছেন রাজস্থান বিশ্ববিদ্যালয় (ভারত) থেকে। সিলেটের খাদিমনগরস্থ পল্লী উন্নয়ন প্রতিষ্ঠানে প্রশিক্ষণ পরিচালক, পল্লী উন্নয়ন একাডেমি, বগুড়ার মহাপরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন। পল্লী উন্নয়ন-এর সাথে জড়িত ছিলেন প্রায় তের বছর । চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজতত্ত্ব এবং লোকপ্রশাসন বিভাগ দু'টিতে শিক্ষকতা করেছেন বারো বছরেরও বেশি। লোকপ্রশাসন বিভাগে সভাপতি ছাড়াও তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচিত সিনেটে সদস্য ও অর্থ কমিটির সদস্য ছিলেন।
(Showing 1 to 1 of 1 items)
demo content