‘অনুভব’ আমার প্রথম গল্পের বই। গল্প লেখা আমার নেশাও নয়, পেশাও নয়। নিতান্তই শখের বশে ফেইসবুকে ‘অল্প কথার গল্প’ শিরোনামে একটা সিরিজ লেখা শুরু করেছিলাম। বছর তিনেক পরে দেখি, সেই সিরিজের শততম গল্পে এসে পৌঁছে গেছি। অনলাইনে লেখা সেই গল্পগুলোই এখন ‘পাপের ফল’ নামে মলাটবদ্ধ হয়ে বের হচ্ছে। ‘পাপের ফল’-এর গল্পগুলো একটু ভিন্ন ধাঁচের। কিছু গল্প তো আমি নিজেই বানিয়েছি। আর বেশিরভাগ গল্পের মূল ভাবনাটুকু আমি অন্য জায়গা থেকে সংগ্রহ করেছি। তারপর সেই ভাবনাকে নিজের মতো করে ফুল পাপড়ি দিয়ে সাজিয়ে তুলেছি। ‘পাপের ফল’-এর কিছু গল্প কাল্পনিক। কিছু গল্প বাস্তবিক। চেষ্টা করেছি, প্রতিটি গল্পেই বোধ জাগানিয়া একটা শিক্ষা তুলে ধরার জন্য। সভ্য, সুন্দর ও আদর্শ জীবন গড়ার ক্ষেত্রে যে শিক্ষা কার্যকরী একটা ভূমিকা রাখতে পারে বলে আমার বিশ্বাস ‘পাপের ফল’-এর গল্পগুলো আশা করি সকল শ্রেণির পাঠকের জন্যই উপযোগী হবে। মৃদুমন্দ বাতাসের মতো সকলের অনুভবেই মুগ্ধ দোলা দিয়ে যাবে। ‘পাপের ফল’ গল্প সংকলনটি প্রকাশিত হচ্ছে শিবলী প্রকাশনী থেকে। প্রকাশনীটির গোড়াপত্তন করে গেছেন বহু গ্রন্থপ্রণেতা মাওলানা নো‘মান আহমদ রহ.। আমার অত্যন্ত শ্রদ্ধেয় উসতাদ ছিলেন তিনি। বাংলাভাষা যেন আলেমদের সরব পদচারনায় মুখরিত হয়, এই আকুতি সব সময় তাঁর মনের গহীনে বাস করত। এই আকুতি থেকেই তিনি অল্প ক’দিনের ক্ষুদ্র জীবনে অনেক কিছু করে গেছেন। তাঁর করার আরো অনেক কিছু ছিল। কিন্তু মৃত্যু তাঁকে তা করার ফুরসত দেয়নি। তাঁর না করে যাওয়া কাজগুলো ভিন্ন আরেক পথে সম্পন্ন করার প্রত্যয় নিয়ে এগিয়ে চলেছে তাঁরই বড় ছেলে মাওলানা নাকীব মাহফুজ শিবলী। পিতার স্বপ্নের সিঁড়ি বেয়ে পুত্র এগিয়ে যাবে অনেক দূর; এই চাওয়া আমার মতো আরো অনেকেরই। এতদিন শিবলী প্রকাশনী সাধারণত পাঠ্যবই ও এর ব্যাখ্যাগ্রন্থই প্রকাশ করত। অন্যান্য বই প্রকাশ করত নামকা ওয়াস্তে। এ প্রকাশনী প্রকাশনা জগতে আরেকটু বিস্তৃত হতে চাচ্ছে। এই চাওয়া শতদলের মতো বিকশিত হোকÑ এই দোয়া রইল। সবাই সুস্থ থাকুন, সুন্দর থাকুন। মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে এই আমার কামনা।