রহস্যময় একটি গল্প অ্যামাজনের প্রাচীন প্রবাদ। বইটি চিঠির মতো করে লেখা। ছোটো ছোটো চিঠির সম্বনয়ে এগিয়েছে ঘটনা। লেখক মো: রেদানুল ইসলাম রাজ রচিত থ্রিলার উপন্যাসটি সকলশ্রেণির পাঠকের ভালো লাগবে বলেই আমাদের বিশ্বাস। বইটির কিছু অংশ: মানুষ চিরদিন বাঁচে না, রাজার মুকুট থাকে না। থাকে না তার রাজত্ব। ফুলের সুভাষ হারিয়ে যায়। হারিয়ে যায় সব রাজ্য। কিন্তু আমি জীবনে কোন পাপ করেছিলাম যার জন্য ঈশ্বর আমাকে এতবড় শাস্তি দিলেন। এই দুঃসহ সৃতি আর নিতে পারছি না। আজ আমার মনে পড়ছে রাজ সিংহলালের কথা। ওদের দেশের কবি সুকান্ত বলেছিলেন, “হে মহাজীবন আর এ কাব্য নয়”। এটা যেই পাবেন আমাকে ক্ষমা করে দেবেন। শুধু মাত্র স্রষ্টাই ভুলের ঊর্ধ্বে। মানুষ মাত্রই ভুল করে। হে সম্রাট উন্মাদের মতন সাহসী হও মৃত্যুকে জড়িয়ে নাও। ভালোবেসে প্রাণ দিতে চাইলে এসো কাফন জড়িয়ে নাও । যদি একবার ঐ কাফন জরাও তখন শরীর হবে আত্তার আমানত আর তুমি মৃত্যুর। মুখের কথা মাটিতে পরতে না পরতেই সাথে সাথে আমাদের অবাক করে দিয়ে লামুরাকে এক হাত দিয়ে তুলে মাথায় এক কামড় বসিয়ে দিল , জীবনে এ দৃশ্য কখনো চোখে দেখিনি। নিজের চোখের সামনে একটা জীবন্ত মানুষকে একা চিবিয়ে চিবিয়ে খাচ্ছে। রক্ত ফিনকি দিয়ে বের হচ্ছিল । লামুরাকে ছট ফট করার সময় পর্যন্ত দিল না। আমার চোখ দিয়ে পানি পরছিল। দেখেতে দেখতেই লামুরার পুরো শরীর ওর পেটের মধ্যে চলে গেছে। গায়ের লোম মনে হয় খুলে পরবে আমার, লামুরার আর্ত চীৎকার তখনও আমার কানে ভাসছিল। জন্তুটা আবার বলতে শুরু করল ,“কে এত সাহস দেয় কথা বলার”। শুধু মনে মনে আমি বললাম মহাভারতের সেই শ্লোক, “ তোমারে বধিবে যে গোকূলে বাড়িছে সে।”