ভূমিকা আনুমানিক ত্রয়োদশ শতাব্দীতে তুরস্কের অন্তর্গত খোর্তো নামে একটি গ্রামে মোল্লা নাসীরুদ্দিন জন্মগ্রহণ করেছিলেন।তুরস্কের আকশেহির নামক শহরে তাঁর স্মৃতিসৌধ আজও বর্তমান।তিনি ছিলেন সুকবি।ধর্মশান্ত্রে তাঁর অঘাত পাণ্ডিত্য ছিল।এই পাণ্ডিত্যের জন্য ইমামপদে তিনি একসময় নিযুক্ত হয়েছিলেন। কিন্তু ধর্মের গোঁড়ামি ও মোল্লাতন্ত্রের আতিশয্য সহ্য করতে না পেরে একসময় তিনি মাতৃভূমি ত্যাগ করে ইরানে পাড়ি দিয়েছিলেন।িইরানের বাদশা তাঁর প্রতিভা ও পাণ্ডিত্যের পরিচয় পেয়ে তাঁকে তাঁর রাজসভায় সভাকবি হিসেবে নির্বাচিত করেন।তাঁর বুদ্ধিদীপ্ত হাস্যরসিকতার চমৎকারিত্ব বাদশাকে ক্রমশই মুগ্ধ করে এবং একসময় তিনি বাদশার ঘনিষ্ঠ বন্ধু হয়ে ওঠেন।সম্ভবত বাদশা আকবরের রাজত্বকালে ইরান থেকে আগত জ্ঞানীগুণী লোকদের মাধ্যমে নাসীরুদ্দিনের হাস্যরসাত্মক গল্পগুলি উত্তর ভারতের মানুষের মধ্যে একসময় ছড়িয়ে পড়ে। বাংলা সাহিত্যের বিখ্যাত সাহিত্যিক সৈয়দ মুজতবা আলি বাংলা সাহিত্যে প্রথম নাসীরুদ্দিনের গল্পকে পাঠকবর্গের কাছে পরিচিত করেন।আফগানিস্থান ও ইউরোপের কয়েকটি দেশেও মোল্লা নাসীরুদ্দিনের খ্যাতি আজও অম্লান হয়ে রয়েছে।মোল্লা নাসীরুদ্দিনের হাস্যরসাত্মক গল্পগুলির বৈশিষ্ট্য হল তীক্ষ্ম বুদ্ধিদীপ্ত এক গভীরার্থক দ্যোতনাগুণ। তাঁর প্রতিটি গল্পের মধ্যে থাকত এক কাটাক্ষ উক্তি যার দ্ধারা মানব জীবনের এক চরম নির্বুদ্ধিতা, ধর্মের গোঁড়ামি ও সমাজ জীবনের ত্রুটি বিচ্যুতিগুলি প্রকটভাবে দেখা দিত।মোল্লা নাসীরুদ্দিনের সেই বহুল প্রচারিত গল্পকথা থেকে সবচেয়ে মজার গুল্পগুলি বাছাই করে গল্পগুলি পাঠক-পাঠিকাদের এক বিরল অনাবিল আনন্দের পূর্ণতায় ভরিয়ে তুলবে।
সহিদুল ইসলাম রনি। জন্ম ৬ জুন ১৯৮৩; ঢাকা। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে অনার্স এবং মাস্টার্স। বর্তমানে উচ্চ শিক্ষার জন্য দেশের বাইরে যাবার প্রস্তুতি চলছে। পড়াশুনার পাশাপাশি প্রকাশনা ব্যবসা এবং প্রফেশনাল গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসেবে নিজ প্রতিষ্ঠানে কর্মরত দীর্ঘদিন যাবত। এ পর্যন্ত বইয়ের প্রচ্ছদ করেছেন দেড় হাজারেরও বেশি। প্রকাশনার কাজে বিভিন্ন বইয়ের টুকটাক সম্পাদনা করতে করতেই মূলত লেখালেখির ধারণা লাভ। ইংরেজি সাহিত্যে পড়াশুনা করতে গিয়ে অনেক মজার মজার গল্প পড়া হয়েছে। যার মধ্যে অসংখ্য গল্প শিশুসাহিত্য হিসেবে বিভিন্ন ভাষায় রূপান্তরিত হয়েছে; বের হয়েছে হাজারও বই, টিভি সিরিয়াল, কার্টুন ইত্যাদি।