মহাকাব্য মহাভারত শুরুর প্রাক্কালে অমিত বুদ্ধি ও পাণ্ডিত্যের অধিকারী মহাকবি মহর্ষি ব্যাস লিখেছেন, "অর্থশাস্ত্রমিদং প্রোক্তং ধর্মশাস্ত্রমিদং মহৎ। কামশাস্ত্রমিদং প্রোক্তং ব্যাসনামিতবুদ্ধিনা।” অর্থাৎ আমার এই গ্রন্থ ধর্মশাস্ত্রও বটে আবার অর্থশাস্ত্রও বটে, আবার এটাকে কামশাস্ত্রও বলতে হবে। এই মহাকাব্য নিয়ে তাঁর কোনো প্রিটেনশান ছিল না। পৃথিবীর এই অংশে সাধনার মূল ভাবনা যে মোক্ষ লাভ, প্রাথমিকভাবে এ বিষয়ে কোন আলোচনা হয়নি প্রথমে। বরঞ্চ যা নিয়ে মানুষ থাকে; যার পিছনে মানুষ ছোটে প্রতিনিয়ত, সেই ধর্ম, সেই অর্থ, সেই কাম-ভালবাসা কোনো গর্হিত কাজ নয় বরং এগুলোই সাধারণ মানুষের জীবনের ধর্ম, এর ব্যত্যয় হলে যুদ্ধ বিগ্রহ ঘটে যেতে পারে, সেটা দেখানোই এই মহাকাব্যের উদ্দেশ্য। ভালবাসার চট্টগ্রাম কোন উপন্যাস নয় বরং দীর্ঘ উনত্রিশ বছর চট্টগ্রামে বাস করার দায়বদ্ধতার অঞ্জলিস্বরূপ এই লেখার প্রয়াস। চট্টগ্রাম ছেড়ে এসেছি তাও প্রায় দশ বছর হয়ে গেল। কিন্তু অন্তরে রয়ে গেছে এখনো চট্টগ্রাম। চট্টগ্রামের ইতিহাস; ঐতিহ্য এর দর্শনীয় স্থান আর আমার চট্টগ্রামে অবস্থানকালীন সময়ের ঘটনাবলি; হাসি-আনন্দ; ভালোলাগা- মন্দলাগা; প্রেম- বিরহ রাগ-ক্ষোভ; পাঁচ হাজার বছরের পুরানো ভ্রাতৃ দ্বিতীয়ার ইতিহাস ও ভিন্ন ধর্মের দুই ভাইবোনের কাহিনি; বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন ও ভীমরাজ পাখি নিয়ে গা ছমছম করা লোমহর্ষক কাহিনি; পরবর্তীতে সেনাকুঞ্জে ভাতৃ দ্বিতীয়া অনুষ্ঠান আর তার লাইভ টেলিকাস্ট সকল সেনা কর্মকর্তা ও সাধারণ সেনা সদস্যদের কিভাবে অভিভূত করেছিল; বিউগল বাজিয়ে বাংলার বোনদের উদ্দেশে রাষ্ট্রীয় কায়দায় স্যালুট দিয়েছিল স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে; মেঘদূত ভট্টাচার্যের সঞ্চালনায় সেই সুন্দর অনুষ্ঠানের অভাবনীয় বর্ণনা সব ব্যক্ত করেছি এই গ্রন্থে। লালদিঘির ইতিহাস; বায়েজিদ বোস্তামী; ওয়ার সেমিট্রি; চট্টগ্রাম সামুদ্রিক বন্দর; চটেশ্বরী কালী মন্দির; চন্দ্রনাথ মন্দির ও তার আশপাশের সকল মন্দির; ষষ্ঠ ও সপ্তম শতাব্দী থেকে এই অঞ্চলের ইতিহাস মোটামুটি অনেক কিছুই বর্ণনা করা হয়েছে