অপ্রশস্ত জীবন-যাত্রাপথের উল্টো দিকে দাঁড়িয়ে কবি মাহবুব রহমান উচ্চারণ করেন তার সময়কে, সমাজকে। মাহবুব রহমানের জন্ম মুসলিম গােরস্থান রােড, বরিশালে । পিতা প্রয়াত মােখলেছুর রহমান মজুমদার ছিলেন সুপরিচিত শিক্ষাবিদ ও স্কুলের প্রধান শিক্ষক। মাতা সানা মােখলেছ। তার শৈশব কেটেছে বরিশালে, কীর্তনখােলার জলহাওয়ায় বেড়ে উঠেছেন ঢাকায়। সাপ্তাহিক ঢাকায় প্রথম প্রকাশিত তাঁর সাহিত্য ও কবিতার পর্যালােচনাটির শিরােনাম ছিল ‘অন্ধকারে নিমজ্জিত স্বদেশের কবি’ । চিলির মহত্তম কবি পাবলাে নেরুদাকে এ দেশের পাঠকের কাছে তুলে ধরার সেটাই ছিল প্রথম প্রয়াস । আমরা দেখতে পাই কবি তার কবিতায় মানুষের জীবনভাবনা, প্রেম, সম্প্রীতি আর রাজনীতির কাছেই ফিরে যাবার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তবে কোন রাজনীতি? যে রাজনীতি মানুষের ও ভালােবাসার কথা বলে । সমাজবিরুদ্ধ মতাদর্শে হঠাৎ গজিয়ে ওঠা বিভ্রান্ত রাজনীতি, উদভ্রান্ত রাজনীতিক ও কথিত সুশীল সমাজের ওপর কবির যতাে রাগ। সাম্রাজ্যবাদের বিরােধিতা প্রকাশ করেন উচ্চকণ্ঠে, সাজ্যবাদের অনুচরদের প্রতি ভৎর্সনা কবির নৈতিক দৃঢ়চিত্তের কাব্যিক প্রকাশ । কাব্যগ্রন্থ: ফুল নরকের গান, আমার আঁধার আমাদের অন্ধকার, যদি পুনরুত্থিত হই, স্বপ্নহীন গুচ্ছ গুচ্ছ করার প্রবত্রই: অবােধ্য অন্ধকার ও মধ্যরাতের বুদ্ধিজীবী জীবনীগ্রন্থ: জুবাইদা ও খলিফা হারুন-অর রশীদ । সদ্য প্রকাশিত উপন্যাস কিন্তু গল্প নয়।
