প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Title | মিথস্ক্রিয়া |
Author | কিশোর পাশা ইমন |
Publisher | বাতিঘর প্রকাশনী |
Quality | হার্ডকভার |
ISBN | 9848729844 |
Edition | 1st Edition, 2016 |
Number of Pages | 350 |
Country | বাংলাদেশ |
Language | বাংলা |
"মিথস্ক্রিয়া" বইয়ের সূচনা:
যুগলটির বয়স বেশি না। ছেলেটির ঠেলেঠুলে ঊনিশ, মেয়েটির সতের। বিল্ডিংয়ের পেছনে কোন মানুষ নেই। তিনটি গাড়ি সুন্দর করে পার্ক করা। পার্কিংলট হিসেবে বাড়ির পেছনের জায়গাটুকু ব্যবহারের উদাহরণ ঢাকায় বিরল। ব্যাকডােরটা হা-করে খােলা থাকে রাত এগারােটা পর্যন্ত। বাসিন্দারা গাড়ি পার্ক করে ওপথে সুন্দর করে ঢুকে যেতে পারে। | রাত এগারটার পর আধঘণ্টা অতিবাহিত হয়েছে। দরজা বন্ধ থাকায় পার্কিংলটে এখন কেউ নেই। গাড়ি থেকে আস্তে করে বের হয়ে সাবধানে দরজা লাগাল রুহান। ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই তার, তবে গাড়ি ভালই চালায়। আজকে ছােটখাটো একটা দুর্ঘটনা ঘটিয়েছে অবশ্য। এ মুহূর্তে ফ্রন্ট বাম্পারের নড়বড়ে অবস্থা দেখে একটা দীর্ঘশ্বাস গােপন করলাে সে। বাবা যখন দেখবে খবর হয়ে যাবে। অন্যপাশে এসে প্যাসেঞ্জার সিটের দরজা খুলে দিল। আপাতত দুশ্চিন্তা করে লাভ নেই, সময়েরটা সময়ে দেখা যাবে। রুহান চিন্তার ছাপ সরিয়ে মুখে চমক্কার হাসিটা ফুটিয়ে হাত বাড়িয়ে দিল প্রেমিকার দিকে। কাঁধ পর্যন্ত কাটা চকচকে চুল দুলিয়ে ওর দিকে ঘুরে তাকালাে অরনী, তারপর হাত ধরে গাড়ি থেকে বের হয়ে এলাে।
বের হয়েও হাতটা ছাড়লাে না মেয়েটি। রুহান ওকে দেওয়ালের দিকে নিয়ে গেলাে। চোখ বন্ধ করে ফেললাে অরনী। ঠোঁটের কাছে রুহানের ঠোঁটের স্পর্শ পেতে চুপচাপ গ্রহন করলাে আদরটুকু। অরনীর ঘন ভ্রুর দিকে তাকায় রুহান। “ভেবে দেখ, বাসায় কেউ নেই। এখন কি তােমার যাওয়াটা খুবই দরকার?” রুহানের গলা জড়িয়ে ধরে অরনী। “আম্মু মেরে ফেলবে...আরেকদিন। এখন একটু ধরে থাকো।”
বিকট অথচ ভোঁতা শব্দটার সাথে ছিটকে এলাে কাঁচ। ভারি জ্যাকেটের কারণে রুহানের পিঠের কোন ক্ষতি হলাে না অবশ্য। ছিটকে দেওয়ালের দিকে সরে গেছে অরনী, দুই চোখ বিস্ফারিত। রুহানের কাঁধের ওপর দিয়ে তাকিয়ে আছে আতঙ্কিত চোখে। ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়ালাে রুহান। এক নজর দেখেই বুঝতে পারলাে, বাম্পার নিয়ে চিন্তা করার আর কোন কারণ নেই। বাবার চোখ ওদিকে পড়ার কথা নয় আর।
গাড়িটার ছাদের ওপর এসে পড়েছে একটি মানবদেহ। সাততলা বিল্ডিংয়ের হাদের ওপর থেকে এই পতন। দেখামাত্রই বুঝতে পারলাে রুহান। ঝট করে তাকালাে ওপরের দিকে।
বিশালদেহের কেউ দাঁড়িয়ে ছিলাে ওখানে, তাকানােমাত্রই নিমেষে উধাও হয়ে গেলাে সে। কাঁপা পায়ে সামনে এলাে রুহান, গাড়ির ছাদ তুবড়ে দিয়ে পড়ে থাকা মানুষটির মাথা থেকে ঘিলু বেরিয়ে এসেছে, রক্তের ধারা গড়িয়ে উইন্ডশিল্ডের ওপর দিয়ে নেমে এসেছে বনেটের ওপর। ছড়িয়ে গেছে অনেকটা। পেছনের কাঁচ ভাঙলেও উইন্ডশিল্ডটা টিকে গেলাে কিভাবে সেটা একটা বিস্ময়। পড়ে থাকা দেহটার মুখের অবশিষ্টাংশ দেখে আঁতকে উঠলাে।
“মাই গড!” বিড় বিড় করে বলে রুহান।
ওপর থেকে পড়া দেহটির মাথা সামনের কাঁচের ওপর দিয়ে ঝুলে গেছে। উন্মুক্ত গলায় মানুষের দাঁতের কামড়ের চিহ্নটা চোখ এড়ায়নি ওর।
Have a question regarding the product? Ask Us
Please log in to write question Log in