সূচীপত্রঃ 1. নববর্ষে দশটি চাওয়া 2. আবারো ভূমিকম্প 3. ত্রিশ লক্ষ শহিদঃ বাহুল্য নাকি বাস্তবতা 4. ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির ১৫তম সমাবর্তন বক্তৃতা 5. শহীদের সংখ্যা এবং আমাদের অর্ধশত বুদ্ধিজীবী 6. প্রিয় মাস ফেব্রুয়ারী 7. অন্য ভাষা আন্দোলন, অন্য ফেব্রুয়ারী 8. বাবাকে স্মরণ রাখার জন্য ধন্যবাদ 9. একটি কাল্পনিক গল্প 10. প্রিয় মানুষ 11. পদ্মা ব্রিজ থেক বড় 12. চাকির খুঁজব না, চাকির দেব 13. রুখ দাঁড়াবে বাংলাদেশ 14. সর্বজিৎ কিংবা শ্যামল কান্তির দেশ 15. সৃজনশীল পদ্ধতি নিয়ে কিছু কথা 16. ক্যান্সারের সঙ্গে বসবাস 17. দেশর বাইের দেশর মাটি 18. তারুণ্যের এপিঠ ওপিঠ 19. বিক্ষিপ্ত ভাবনা 20. রামপালের কালো ধোঁয়া 21. ফিরে ফিরে দেখা 22. প্রতিযোগিতা এবং সহযোগিতা 23. নিউ ইয়র্ক! নিউ ইয়র্ক !! 24. আমার ভাঙা রেকর্ড 25. খাদিজার জন্য প্রার্থনা 26. নাসিরনগর: দ্বিতীয় রামু? 27. আমার কেন আর দুর্ভাবনা নেই 28. আবার সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা 29. বিজয় দিবস ২০১৬ 30. কানের কাছে গুলি
ভূমিকা ২০১৬ সালে পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত লেখাগুলো নিয়ে “তারুণ্যের এপিঠ-ওপিঠ” প্রকাশিত হলো। প্রতিবছরই এই সময়ে আমি সারাবছরের লেখাগুলো নিয়ে বসি এবং সেগুলোর উপর চোখ বুলাতে গিয়ে সারা বছরের ঘটনাগুলো নূতন করে চোখের সামনে ভেসে উঠে। এই বছর সেটি করতে গিয়ে হঠাৎ করে হলি আর্টিজানের সেই নৃশংস হত্যাকান্ডের ঘটনাটি আবার নূতন করে মনে পড়ে গেলো। এই ঘটনাটি আমাদের দেশের ভিত্তিমূলকে যেভাবে নাড়া দিয়েছে সেরকমটি মনে হয় আগে কখনো ঘটেনি। তারুণ্যের এক পিঠে ধর্মান্ধ নিষ্ঠুরতা আমাদের হতবাক করেছে - অন্য পিঠে ফারাজ আইয়াজ হোসেনের মত তরুণেরা সেই ধর্মান্ধতাকে পিছনে ফেলে ভালোবাসার নূতন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখার সাহস দেখিয়েছে। মুহম্মদ জাফর ইকবাল
বাংলাদেশের কিশোর-কিশোরী পাঠকদের কাছে সবচেয়ে জনপ্রিয় নাম মুহম্মদ জাফর ইকবাল। তিনি মূলত এ দেশের একজন বিখ্যাত লেখক, পদার্থবিদ এবং শিক্ষাবিদ। কিশোর সাহিত্য, শিশুতোষ গ্রন্থ, বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী, গণিত বিষয়ক বই এর জন্য খুব অল্প সময়েই জনপ্রিয়তা লাভ করেন তিনি। মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৯৫২ সালের ২৩ ডিসেম্বর সিলেটে জন্মগ্রহণ করেন। মুক্তিযোদ্ধা বাবা ফয়জুর রহমানের চাকরির সুবাদে দেশের বিভিন্ন জেলাতেই তিনি পড়াশোনা করেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করে পিএইচডি ডিগ্রী অজর্নের উদ্দেশ্যে স্কলারশিপ নিয়ে পাড়ি জমান যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ে। পিএইচডি সম্পন্ন করে ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজিতে পোস্ট-ডক্টরাল গবেষণা সম্পন্ন করেন। পরবর্তীতে বিখ্যাত বেল কমিউনিকেশনস রিসার্চ ল্যাবেও গবেষক হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৯৪ সালে দেশে ফিরে এসে তিনি শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে যোগ দেন। মুহম্মদ জাফর ইকবাল এর বই সবসময়ই এ দেশের কিশোর-কিশোরীদের কাছে বিশেষ আবেদন নিয়ে হাজির হয়েছে। কিশোর সাহিত্য, বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী, বিজ্ঞান ও গণিত বিষয়ক অজস্র গ্রন্থ দিয়ে তিনি আলোকিত করে তুলেছেন এদেশের অগণিত কিশোর-কিশোরীর মনোজগত। মুহম্মদ জাফর ইকবাল এর বই সমূহ, যেমন- দীপু নাম্বার টু, আমার বন্ধু রাশেদ, আমি তপু, শান্তা পরিবার, দস্যি ক’জন ইত্যাদি ব্যাপক পাঠকপ্রিয়তা পায়। তার বেশ কিছু গল্প পরবর্তীতে নাটক ও চলচ্চিত্র হিসেবে টিভি পর্দায় স্থান করে নিয়েছে। তিনি একজন বিশিষ্ট কলামিস্টও। বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াডও তাঁর ছত্রছায়ায় গড়ে উঠেছে। মুহম্মদ জাফর ইকবাল এর বই সমগ্র সকল বইপড়ুয়াকেই আকৃষ্ট করে। সাহিত্যে অসামান্য অবদানের জন্য তিনি বহুবার পুরষ্কৃত হয়েছেন। বাংলা একাডেমি পুরষ্কার (২০০৪) এবং শ্রেষ্ঠ নাট্যকার হিসেবে মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার (২০০৫) সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও, কাজী মাহবুবুল্লা জেবুন্নেছা পদক (২০০২), শেলটেক সাহিত্য পদক (২০০৩), ইউরো শিশুসাহিত্য পদকসহ (২০০৪) অগণিত পুরষ্কার অর্জন করেছেন গুণী এই সাহিত্যিক।