"অলকাপুরী আসাম" বইয়ের লেখকের কথা: আনন্দবাজার পত্রিকা ও তার বিভিন্ন ক্রোড়পত্রে প্রকাশিত আমার লেখাগুলাে এখানে সংকলিত হল। অবশ্য কয়েকটা একেবারেই উতরােয়নি, সেগুলাে চেপে গেলাম। কিছু লেখায় সামান্য অদল-বদল হল, কোনও ‘এখনত্ব আরােপ করতে নয়, প্রকাশ-সময় থেকেই কিছু খুঁত নজরে ছিল—সেগুলাে মেরামতের জন্য। বইটার তিনটে ভাগ : একের পাতা চারের পাতা’, ‘রবিবাসরীয়’, ‘অন্য। অন্য প্রথমটায় আছে উত্তর-সম্পাদকীয়, যেগুলাে প্রকাশিত হত আনন্দবাজারের চারের পাতায়, আর দেওয়া হল গঙ্গাসাগরের রিপোের্ট-সিরিজটা, যা অনেক সময়েই একের পাতায় শুরু হত। দ্বিতীয়টায় রবিবাসরীয়-র প্রচ্ছদকাহিনি। আর তৃতীয়টায় অন্যান্য ক্রোড়পত্রের লেখা। তার মধ্যে দুটো পদ্য অবধি গুঁজে দিলাম। সময় ও প্রপার নাউন অস্ত গিয়েছে, কিছুটা পড়তে নির্ঘাত পুরনাে লাগবে, কিন্তু সিংহভাগ দিব্যি নলেন ও ঝ্যাম্পােরপ্যাম্পাের : ভরসা। "অলকাপুরী আসাম" বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা: গুরুচণ্ডালিকা : রবীন্দ্র-রচনাবলি , গুলিয়ে ঘন্ট। শ্যামাকে পােপােজ করল অমিত রায়। দলে দলে যােগ দিন : মহামিছিলে আলেকজান্ডার তৈমুর লং-কে ‘খোড়া ল্যাং ল্যাং ল্যাং! কমরেড মঙ্গল : আলিমুদ্দিনের ছাদ থেকে অটো উড়ল মঙ্গলগ্রহে, সঙ্গে অ্যাসেট-লিস্টি—সৌরভ গাঙ্গুলি—আজীবন বামপন্থী, কক্ষনও ডান হাতে ব্যাট করেননি। জ্যোতি বসু-স্টক সীমিত।ঠুলি মাথায় ভাবাে জুতসই কোটেশন: কেন ধনঞ্জয়ের ফাঁসি বাঙালির রঙিনতম সার্কাস। কলিকাতার বর্ণপরিচয় : ‘উ’— লাগলে, ইংরিজি মিডিয়ামরা যা গিলে নিয়ে ‘আউচ’ বলেন। উ’—খুব। লাগলে ইংরিজি মিডিয়ামরা যা বলেন। দশ মহাবিদ্যা : প্রতিজ্ঞা-লিস্টি : র-ফলা উচ্চারণ করব, বাংলা ঠিক বলা পােচোন্ডাে পােয়ােজন। ফলিবেই ফলিবেই : বাসভাড়ার চেয়ে প্লেনভাড়া কমবে, নেতাজি এ বছরও ফিরবেন না। ওরে ভোঁদড় ফিরে চা : বাগুইহাটির মােড়ে দাঁড়িয়েও কীভাবে মেরুদাড়ার বেস অবধি অমৃতের চান—মেড-ইজি। আরও, আরও, আরও উড়নতুবড়ি, টিচকাও, পাখিশিস।