“মাসুদ রানা-৪৫৯: অন্তর্যামী” ফ্ল্যাপঃ মেয়েটাকে দেখে চমকে উঠল রানা। ঠিক যেন লুবনা... লুবনা আভান্তি! ইটালিয়ান সেই মিষ্টি কিশােরী, যে রানার মন জয় করে নিয়েছিল... যে ওকে একটা গান উপহার দিয়েছিল... যাকে রক্ষার দায়িত্ব নিয়েও ব্যর্থ হয়েছিল রানা। সেই কষ্ট আজও তাড়া করে ফেরে ওকে। লুবনার মত এ-মেয়েটিও বিপন্ন। নিষ্ঠুর একদল খুনি তাড়া করছে তাকে, ছুটতে ছুটতে রাতদুপুরে রানার বুকে আছড়ে পড়েছে সে। এরপর কি আর চুপ করে থাকা যায়? সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিল রানা।। জড়িয়ে পড়ল ভয়ঙ্কর বিপদে। বইটির প্রথম অংশের কিছু কথাঃ এক মাঝে মাঝে অদ্ভুত এক বিষন্নতায় আক্রান্ত হয় মাসুদ রানা। কোনও অ্যাসাইনমেন্ট শেষ হলে যখন কটা দিন ছুটি পেয়ে অলস সময় কাটায়, কিংবা গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালের বেডে শুয়ে থাকতে বাধ্য হয়; মাথায় তখন ভিড় করে আসে কত কথা, কত স্মৃতি। চুলচেরা হিসেব করতে গিয়ে হতাশায় ভারাক্রান্ত হয় ও, কোনও কিছুরই অর্থ বােঝা যায় না—কী পেল, কী হারাল সবই ঘােলাটে লাগে। আর দশজন মানুষের মত নিরুপদ্রব একটা জীবন, আর সাজানাে-গােছানাে ছােট্ট একটা সংসারের স্বপ্ন তাে ও-ও দেখেছে। কিন্তু তা আর হলাে কই? দেশ সেবার নেশায় কোথায় ভেসে গেছে সব স্বপ্ন! কত কিছু যে বিসর্জন দিতে হয়েছে ওকে, হারাতে হয়েছে কত শত প্রিয় বন্ধু, আপনজনকে। সে সব মনে হলে অসহ্য বেদনায় দিশেহারা বােধ করে ও এখন তেমনই একটা পর্ব চলছে। শেষ মিশনটায় মরতে বসেছিল ও, দীর্ঘদিন হাসপাতালে পড়ে থাকতে হয়েছে। অবশেষে শারীরিকভাবে সুস্থ হয়ে উঠলেও ডাক্তার কড়া নির্দেশ দিয়েছেন, মানসিক ধকল কাটিয়ে ওঠার জন্যে হাওয়া বদল করতে হবে। সব ধরনের কাজকর্মে বিরতি দিয়ে অন্তত মাসদুয়েক নির্জন, নির্মল, শান্ত পরিবেশে নিতে হবে পূর্ণ বিশ্রাম। এড়িয়ে চলতে হবে অন্তর্যামী।