“প্রদীপ্ত কুটির" বইটির ফ্ল্যাপের কথাঃ সমাজের চিন্তাভাবনাগুলােকে মানুষ যখন। 'প্রভু' বানিয়ে ফেলে, তখন সেই প্রভুর উপাসনা থেকে মানুষের বের হওয়া। কষ্টকর। 'লােকে কী ভাববে?' এইরকম। প্রশ্নের সম্মুখীন যাতে হতে না হয় এজন্য। সমাজের চিন্তাভাবনাগুলাের সাথে মানুষ "সহমত-সহমত' করে চলে। কেউ যদি দ্বীনের জন্য সমাজের প্রভুত্বের 'শৃঙ্খল ভাঙতে যায় তখন সেই জাহিলি সমাজের মতাে সবাই তাকে বলে উঠে, '"তুমি কি তােমার বাপ-দাদার ধর্ম ত্যাগ করতে চাও?" 'যে ছেলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নাত পালন করতে গিয়ে দাড়ি রাখে, পাশের বাড়ির লােকগুলাে তখন বলে উঠে, "পড়ালেখার খুব চাপ নাকি, বাবা? 'শেইভ করার কথা ভুলে গেছাে যে!" যে মেয়ে আলাহর সন্তুষ্টির জন্য পর্দা করা শুরু করে, সমাজের লােকগুলাে তখন বলে। উঠে, "মেয়েটি কোনাে হুজুরের খপ্পরে পড়লাে নাকি?" এই সমাজ প্রেম করাকে ইতােমধ্যে 'হালাল'। বানিয়ে ফেললেও বিয়েকে বােঝা হিসেবে। 'ভাবে। যে বয়সে ছেলেমেয়ে চুটিয়ে প্রেম। করে, সেই বয়সে দ্বীন মেনে চলা কোনাে ' ছেলে যদি বিয়ে করতে চায় তখন সমাজের লােকগুলাে বলে উঠে 'গেল গেল, দেশটা। রসাতলে গেল!' বইটিতে সমাজের এসব রক্তচক্ষু উপেক্ষা। করে ভার্সিটি পড়ুয়া দুই শিক্ষার্থী বিয়ে করে। তারপর একজন আরেকজনকে মনে করিয়ে। দেয় অবহেলায় ভুলে যাওয়া সুন্নাতগুলাে। এভাবে চলে তাদের পথচলা। যে পথের। গন্তব্য জান্নাত লাভ। ভূমিকাঃ ইউরােপীয় রেনেসাঁ এবং পরবর্তী শিল্পবিপ্লব থেকেই মানব সভ্যতার সূচনা, এর আগে যা কিছু ছিল তা অসভ্য, বর্বর, পশ্চিমা সেকুলারদের প্রায় কাছাকাছি একটা ন্যারেটিভ প্রচলিত আছে। এই ন্যারেটিভ মিথ্যা ন্যারেটিভ৷ ইউরােপ যখন কুসংস্কারের অন্ধকারে হাতড়াচ্ছিল, তখন একটি জাতি আলাের মশাল হাতে ছুটে বেড়িয়েছিল হিজাজ থেকে পারস্য, দামেস্ক থেকে আন্দালুসিয়া, চীন থেকে ভারত৷ এটা সত্য যে খ্রিষ্টধর্মগুরুদের পৈশাচিকতা, ইনকুইজেশন আর চার্চের ভয়ঙ্কর হিংস্র হাতের টেনে ধরা বন্ধনে হাঁসফাঁস করে ওঠা ইউরােপীয় বিজ্ঞান আর শিল্পকে যেন হাঁফ ছেড়ে বাঁচার আগমনী সঙ্গীত শুনিয়েছিল সেকুলারিজম মুভমেন্ট। কিন্তু খ্রিষ্টধর্মের প্রভাব থেকে আলােকবর্ষ দূরে থাকা উপমহাদেশেও যখন কপি-পেস্ট করে সেই পশ্চিমা ফর্মুলা বসিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়, আমাদের নড়েচড়ে বসতেই হয়। আমাদের বলতে হয়—তােমরা ভুল করছাে, তােমরা ইসলামকে অন্য ধর্মের সাথে গুলিয়ে ফেলছ। আমরা জ্ঞানের দুয়ার রুদ্ধ করে দিই নি, দিয়েছ তােমরা। তােমাদের ফর্মুলা পার্সি-জৈন-ইহুদি-খ্রিষ্ট আর পৌত্তলিক ধর্মগুলােকে সভ্যতা নির্মাণে দমিয়ে রাখতে পারে, ইসলামকে পারবে না। এ দ্বীন এসেছেই বিজয়ী হতে। ধর্মকে ব্যক্তিবিশেষের চর্চার ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্রতর সীমার মধ্যে আবদ্ধ করে ফেলার চেষ্টা যত বাড়ে, ততই যেন বস্তুবাদীদের হতাশ করে তারুণ্যের ঝাঁক ইসলামকে আরাে বেশি করে কাছে টেনে নেয়। মানবজীবনে কুরআন-সুন্নাহকে যত বেশি অপ্রাসঙ্গিক করে দেখানাের চেষ্টা হয়, ততই যেন নিত্যনতুন কালচারাল কনফ্লিক্ট সূচিপত্রঃ * ভূমিকা * লেখকের কথা * বন্ধনের সূচনা * সন্দেহ দূরীকরণ । * সাধারণরা ঘুমায়, অসাধারণরা জেগে থাকে । * ও-আযান, ও কি পাপিয়ার ডাক, ও কি চকোরীর গান । * পানির ঝাপটা । * সুগন্ধীকথন । * আমি দেখেছি তােমার রূপ, বেসেছি তােমায় ভালাে; অন্য কারাের কাছে যে চাই না দুচোখ ভরা এ আলাে * বাসর রাতে বিড়াল মারা! * এসাে করাে স্নান নবধারা জলে । * অ্যালার্ম মিস । * এত তাড়া কীসের? * শুক্রবারের রুটিন। * একটি পােশাকি আড্ডা । * ক্যান্ডেল লাইট ডিনার * শেয়ার * জার্নি বাই বাস * পূর্ণ, পূর্ণ, পূর্ণ। * পাঁচ পৃষ্ঠার বাজার লিস্ট! * নামাজঘর । শত কাফনের শত কবরের অঙ্ক হৃদয়ে আঁকি * ছদ্মবেশী মৃত্যুদূত। * কিং লেয়ারের গল্প । * দুয়ারে নাড়ি কড়া, কে আসিতে চায় * দুজন মানুষ, এক কাপ চা * কণ্টকোদ্ভাস * প্রত্যাবর্তন
আমি আরিফুল ইসলাম। ডাকনাম- আরিফ। পড়ালেখা করছি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। লিখতে যতোটা না ভালোবাসি, তারচেয়ে বেশি পড়তে ভালোবাসি। পড়ার নির্যাসটুকু লেখার মধ্যে তুলে ধরার চেষ্টা করি। সেই প্রচেষ্টা ফুটে উঠেছে দুটো বইয়ে। সমকালীন প্রকাশন থেকে প্রকাশিত 'আর্গুমেন্টস অব আরজু' এবং সমর্পণ প্রকাশন থেকে প্রকাশিত 'প্রদীপ্ত কুটির' বইয়ে। 'চার তারা' বইটি আমার তৃতীয় বই। প্রকাশের অপেক্ষায় আছে আরো তিনটি বই : ১. ওপারেতে সর্বসুখ (সমকালীন প্রকাশন), ২. তারা ঝলমল (সমর্পণ প্রকাশন), ৩. খোপার বাঁধন (সমর্পণ প্রকাশন)।