নৈপথ্য কথন। ‘এক ঢেলে দুই পাখি মারার জন্যই এ যাত্রা শুরু করেছিলাম। ব্যাপারটা খােলসা করি। আমরা জানি অনুপ্রেরণা উভমুখী প্রক্রিয়া। অর্থাৎ একজনের কোন সাফল্য তুলে ধরলে তিনি যেমন আরাে উৎসাহ পান ঠিক তা জেনে অন্যরাও অনুপ্রাণিত হােন। আমরা এই নীতিটাকে কাজে লাগাতে চেয়েছিলাম। কিছুটা হলেও যে কাজ হয়েছে তার প্রমাণ পেয়েছি সাধারণ মানুষের অসাধারণ সব গল্পের মাধ্যমে। গল্পগুলাে তাদের নিজের জীবনের। নিজের হাতে সযতনে লেখা অর্জনের কথা। সামগ্রিক বিচারে অর্জনগুলাে হয়তাে ক্ষুদ্র কিন্তু এক জীবনে এখন পর্যন্ত সেটাই সেরা অর্জন; বিজয়ের গল্প। যেমন কেউ পরীক্ষায় ভালাে ফলাফল করার গল্পও পাঠিয়েছেন। আবার লেখালেখি বা অন্যকোন সাংস্কৃতিক প্রতিযােগিতায় পুরস্কার কিংবা চাকরি পাওয়ার কথা লিখেছেন। কেউবা শত প্রতিকূলতা ঠেলে, দুর্ঘটনা মাড়িয়ে নিজের পায়ে দাড়িয়ে জীবনে সুদিন ফেরানাের মর্মস্পষী গল্পও তুলে ধরেছেন। সব লেখা প্রকাশ করা বা সবাইকে পুরস্কৃত করা হয়তাে সম্ভব নয়-কিন্তু নিজের গল্প তুলে ধরার যে সাহস দেখিয়েছেন তা তাদের এগিয়ে নিয়ে যাবে অনেকদূর। ছাপা অক্ষরে যাদের লেখা প্রকাশ হল তা পড়ে তারা নিজেরা তাে বটেই অন্যরাও অনুপ্রাণিত হবে বলে আমাদের বিশ্বাস। সেই অনুপ্রেরণামূলক অনন্য অর্জনকে সম্মান করতে পেরে আমারও আনন্দিত, গর্বিত। বিজয়ের কেতন উড়িয়ে নতুনের এই পথচলা এখানেই শেষ নয়। আশা করি আগামীতেও ‘আমার বিজয়ের গল্প’ আয়ােজন নতুন প্রজন্মকে প্রেরণা জোগাবে বিজয়ের পথে এগিয়ে যাবার।
অনুপ্রেরণামূলক বক্তা, লেখক ও জাতীয় বিতর্ক সংগঠক। বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংকে কর্মরত। ছাত্রাবস্থা থেকেই তাঁর লেখালেখি, সংগঠন, সম্পাদনায় সখ্যতা। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলের বেশকিছু বিতর্ক ও মুক্ত আলোচনায় অংশ নেওয়া ছাড়াও সম্পৃক্ত ছিলেন বাংলাদেশ বেতার এর অনুষ্ঠান বিভাগে। লেখালেখির শুরুটা অবশ্য কবিতা দিয়ে, বাল্যবেলা থেকেই। জন্মজেলা কুষ্টিয়ার কৃষ্টি, সংস্কৃতি ও সাহিত্যানুকূল পরিবেশ ছিল তাঁর জন্য বাড়তি উৎসাহের উৎস। দেশের শীর্ষস্থানীয় জাতীয় দৈনিকসহ তথ্য মন্ত্রনালয়ের মাসিক সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে তাঁর অনুপ্রেরণামূলক নিবন্ধ। অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৭-এ প্রকাশিত তাঁর প্রথম বই ‘ক্যারিয়ার ক্যারিশমা: সাফল্যের সাতপাঠ’ তুমুল পাঠকপ্রিয়তা পায়। এছাড়া, শিশু-কিশোর ও তরুণদের জন্য ‘বিতর্কে হাতেখড়ি’ এবং ‘বিশ্বনন্দিত বাংলাদেশি বিজ্ঞানী’ তার উল্লেখযোগ্য প্রকাশনা।