প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
রকমারি কালেকশন
No. | Product | Name | Category | Previous Price | Discount | Current Price |
---|---|---|---|---|---|---|
01 |
![]() |
মেঘ বলেছে যাব যাব | Contemporary Novel |
|
15.0% | 340.0 Tk. |
02 |
![]() |
শবনম | Classic Novel |
|
15.0% | 204.0 Tk. |
03 |
![]() |
কবি | Classic Novel |
|
25.0% | 150.0 Tk. |
04 |
![]() |
তিথিডোর | Novel: Romance |
|
25.0% | 300.0 Tk. |
05 |
![]() |
শেষেরকবিতা | Classic Novel |
|
25.0% | 90.0 Tk. |
Total :1,084 Tk.
276 Tk.
মেঘ বলেছে যাবো ফ্ল্যাপে লেখা কিছু কথাঃ
মেঘ বলেছে যাবো।আকাশের মেঘেরা কি কথা বলে? তারা কি যেতে চায় কোথাও? তারা কোথায় যেতে চায়? বর্ষান ঘন কালো আকাশের দিকে তাকিয়ে চিত্রলেখার হঠাৎ এই কথা মনে হল। দশ-বার বছরের কিশোরীর মনে এর রকম একটা চিন্তা আসতে পারে, চিত্রলেখার বয়স পঁচিশ। এ রকম উদ্ভট তার জন্যে স্বাভাবিক নয়। তবুও কেন জানি নিজেকে তার মেঘের মতো মনে হয়। তার কোথায় জানি যেতে ইচ্ছা করে। এ রকম ইচ্ছা তো সব মানুষেরই কবে। সব মানুষের ভেতরই কি তাহলে এক টুকরা মেঘ ঢুকে আছে, যে কেবলি কোথাও যেতে চায়?
ভূমিকা
অনেকদিন থেকে লেখালেখি করতে পারছিলাম না। কাগজ-কলম নিয়ে বসি-ঘন্টাখানিক পার হয় উঠে আসি। কাগজে নানাবিধ চিত্রকলা দেখা যায়। সেইসব চিত্রকর্ম দেখে আমার পুত্র নুহাশ খুব আহ্লাদিত হলেও অন্যরা আমার দিকে কেমন কেমন করে যেন তাকায়। এক সময় লিখতে শুরু করলাম। খুবই অনাগ্রহ দিনে লেখা। যেন আনন্দময় লেখা নয় বিশ্ববিদ্যালয়ে জমা দেবার জন্যে টার্ম পেপার তৈরি করছি। লেখাটা এগোতে লাগল একটু অদ্ভুত ভঙ্গিতে, সবাই প্রথম চ্যাপ্টার লিখে দ্বিতীয় চ্যাপ্টার লেখে তারপর যায় তৃতীয়তে। আমি শুরু করলাম উল্টো দিকে। প্রথম যে চ্যাপ্টারটা লেখা হল-এক সময় সেটা হয়ে গেল সপ্তম চ্যাপ্টার। যা শুরু হল আমাদের ময়মনহিংহের ভাষায় তাকে বলে-“বেরাছেড়া”।
এক সময় সেই বেরাছেড়ার সমাপ্তি হল। প্রকাশক বন্ধু আলমগীর রহমান খুশি মনে পাণ্ডুলিপি ছাপতে নিয়ে গেলেন। লেখা কম্পোজ এবং প্রুফ দেখা শেষ হবার পর যখন ছাপা শুরু হবে তখন আমি তাঁকে বললাম- কয়েকটা নাম পাল্টে দিতে হবে। নামগুলো উপন্যাসের চরিত্রগুলোর সঙ্গে যাচ্ছে না। তিনি মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়লেন। সঙ্গত যুক্তি দেখালেন-নামের সঙ্গে চরিত্রের সম্পর্ক কী? একই নাম অথচ চরিত্রের আকাশ-পাতাল পার্থক্য তো সব সময় দেখা যায়। অকাট্য যুক্তি-কিন্তু লেখালেখির জগৎটা হিমুর জগতের মতো যেখানে যুক্তি সব সময় খাটে না। নাম পাল্টানো হল। তখন আমি বললাম, বইয়ের নামও আমি পাল্টেছি। তিনি দ্বিতীয়বার মাথায় হত দিয়ে বসে পড়লেন। কারণ প্রচ্ছদ হয়ে গেছে। আবার নতুন নামে প্রচ্ছদ হল। বই বের হয়ে গেছে। এখন আমার বইয়ের বর্তমান নামটাও পছন্দ হচ্ছে না। মনে হচেছ আগের নামটাই ভালো ছিল। তারচেয়েও মজার ব্যাপার-চরিত্রগুলোর আগে যে নাম ছিল এখন মনে হচেছ সেই নামগুলোই ঠিক ছিল।
হুমায়ূন আহমেদ
‘শবনম’ বইয়ের ফ্ল্যাপের কথাঃ
সৈয়দ মুজতবা আলীর এক অনবদ্য সৃষ্টি শবনম। কিন্তু শবনম কি উপন্যাস, নাটক না সৃষ্টিমুখর প্রেমকাব্য? রাধা-কৃষ্ণ কিংবা শিরি-ফরহাদের প্রেমের চিরায়ত ধারা শবৃনমূ-মজনুনের মাঝেও চিরবহমান সে-প্রেম অনন্ত-অনাদি। তাই শবনমের মুখ থেকে উচ্চারিত হয়। চিরমানবের অন্তর্বেদনা, “আমার বিরহে তুমি অভ্যস্ত হয়ে যেয়ো না, আমার মিলনে তুমি অভ্যস্ত হয়ে যেয়ে না।” অনুভূত হয় “সর্ব চৈতন্যে, সর্ব কল্পনার যে মহান সত্তা তিনি তার বিশ্বরূপ ব্রহ্মাণ্ড স্বরূপের একটি মাত্র রূপ স্বপ্রকাশ করেছেন— মর্ত্যলোকে তাঁর প্রেমরূপ”। এভাবেই শবৃনম্ হয়ে ওঠে “শারদ-প্রাতে গন্ধবিধুর মাঠের শেফালি-বিছানো গালিচায় বিরহিনী নিশীথিনীর অশ্রুশিশির।
‘শেষের কবিতা’ বইয়ের কিছু অংশঃ
অমিত-চরিত
অমিত রায় ব্যারিস্টার। ইংরেজি ছাদে রায় পদবী “রয়” ও “রে” রূপান্তর যখন ধারণ করলে তখন তার শ্রী গেল ঘুচে কিন্তু সংখ্যা হল বৃদ্ধি। এই কারণে, নামের অসামান্যতা কামনা করে অমিত এমন একটি বানান বানালে যাতে ইংরেজ বন্ধু ও বন্ধুনীদের মুখে তার উচ্চারণ দাঁড়িয়ে গেল – অমিট রায়ে।
অমিতর বাপ ছিলেন দিগ্বিজয়ী ব্যারিস্টার। যে পরিমাণ টাকা তিনি জমিয়ে গেছেন সেটা অধস্তন তিন পুরুষকে অধঃপাতে দেবার পক্ষে যথেষ্ট। কিন্তু পৈতৃক সম্পত্তির সাংঘাতিক সংঘাতেও অমিত বিনা বিপত্তিতে এ যাত্রা টিকে গেল।
কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে বি.এ.’র কোঠায় পা দেবার পূর্বেই অমিত অক্সফোর্ডে ভর্তি হয় ; সেখানে পরীক্ষা দিতে দিতে এবং না দিতে দিতে ওর সাত বছর গেল কেটে। বুদ্ধি বেশি থাকাতে পড়াশুনো বেশি করে নি, অথচ বিদ্যেতে কমতি আছে বলে ঠাহর হয় না। ওর বাপ ওর কাছ থেকে অসাধারণ কিছু প্রত্যাশা করেন নি। তাঁর ইচ্ছে ছিল, তাঁর একমাত্র ছেলের মনে অক্সফোর্ডের রঙ এমন পাকা করে ধরে যাতে দেশে এসেও ধোপ সয়।
অমিতকে আমি পছন্দ করি। খাসা ছেলে। আমি নবীন লেখক, সংখ্যায় আমার পাঠক স্বল্প, যোগ্যতায় তাদের সকলের সেরা অমিত। আমার লেখার ঠাট-ঠমকটা ওর চোখে খুব লেগেছে। ওর বিশ্বাস, আমাদের দেশের সাহিত্যবাজারে যাদের নাম আছে। তাদের স্টাইল নেই। জীবসৃষ্টিতে উট জন্তুটা যেমন, এই লেখকদের রচনাও তেমনি ঘাড়ে-গর্দানে সামনে-পিছনে পিঠে-পেটে বেখাপ, চালটা ঢিলে নড়বড়ে, বাংলাসাহিত্যের মতো ন্যাড়া ফ্যাকাশে মরুভূমিতেই তার চলন। সমালোচকদের কাছে সময় থাকতে বলে রাখা ভালো, মতটা আমার নয় |
অমিত বলে, ফ্যাশানটা হল মখোশ, স্টাইলটা হল মুখশ্রী । ওর মতে যারা সাহিত্যের ওমরাও-দলের, যারা নিজের মন রেখে চলে, স্টাইল তাদেরই। আর যারা আমলা-দলের, দশের মন রাখা যাদের ব্যাবসা, ফ্যাশন তাদেরই। বঙ্কিমি স্টাইল বঙ্কিমের লেখা “বিষবৃক্ষে”, বঙ্কিম তাতে নিজেকে মানিয়ে নিয়েছেন ; বঙ্কিমি ফ্যাশান নসিরামের লেখা “মনোমহোনের মহোনবাগানে”, নসিরাম তাতে বঙ্কিমকে দিয়েছে মাটি করে। বারোয়ারি তাঁবুর কানাতের নীচে ব্যাবসাদার নাচওয়ালির দর্শন মেলে, কিন্তু শুভদৃষ্টিকালে বধূর মুখ দেখবার বেলায় বেনারসি ওড়নার ঘোমটা চাই।
কানাত হল ফ্যাশানের, আর বেনারসি হল স্টাইলের, বিশেষের মুখ বিশেষ রঙের ছায়ায় দেখবার জন্যে। অমিত বলে, হাটের লোকের পায়ে-চলা রাস্তার বাইরে আমাদের পা সরতে ভরসা পায় না বলেই আমাদের দেশে স্টাইলের এত অনাদর।
দক্ষযজ্ঞের গল্পে এই কথাটির পৌরাণিক ব্যাখ্যা মেলে। ইন্দ্র চন্দ্র বরুণ একেবারে স্বর্গের ফ্যাশনদুরস্ত দেবতা, যাজ্ঞিকমহলে তাদের নিমন্ত্রণও জুটত। শিবের ছিল স্টাইল, এত ওরিজিন্যাল যে, মন্ত্ৰপড়া যজমানেরা তাকে হব্যকব্য দেওয়াটা বেদস্তুর বলে জানত। অফোর্ডের........
Title | ৫টি উপন্যাস ভালোবাসার হোক! |
Author | হুমায়ূন আহমেদ , রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর , সৈয়দ মুজতবা আলী , বুদ্ধদেব বসু , তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় |
Publisher | রকমারি কালেকশন |
Number of Pages | 957 |
Country | বাংলাদেশ |
Language | বাংলা |
Have a question regarding the product? Ask Us
Please log in to write question Log in
Help: 16297 24 Hours a Day, 7 Days a Week
Pay cash on delivery Pay cash at your doorstep
Service All over Bangladesh
Happy Return All over Bangladesh