"হযরত আয়েশা সিদ্দীকা(রাঃ)এর জীবনী" বইটি সম্পর্কে কিছু কথা: হযরত আয়েশার জন্মের সময়, ক্ষণ, তারিখ নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। ঐতিহাসিকগণ সঠিকভাবে তা নিরুপণ করতে পারেন নাই। তবে বিখ্যাত ইতিহাস শাস্ত্রবিদ ইবনে সায়াদ লিখিয়াছেন- নবুয়্যতের চতুর্থ সালের প্রথম দিকে উম্মুল মুমিনীন হযরত আয়েশা জন্মগ্রহণ করেন। আবার কোন ঐতিহাসিক লিখিয়াছেন- হযরত আয়েশা নবুয়্যতের দ্বিতীয় সালে জন্মগ্রহণ করিয়াছেন। | তাঁর সঠিক জন্ম তারিখ যাই হউক না কেন-তিনি যেদিন উম্মে রুমানের গর্ভ হতে হযরত আবুবকরের ঘরে আগমন করিলেন তখন কে জানিত এই ছােট শিশু কন্যাটির নাম পরবর্তী কালে একজন ইতিহাস। প্রসিদ্ধ নারীরূপে ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লিখিত থাকবে। কেই বা ভেবেছেন এই কন্যাটিই হতে মাহবুবে খােদা সাইয়্যেদুল মুরসালীন খাতিমুন ন্যাবিয়্যিন হযরত মুহাম্মদ মুস্তফা (সাঃ) এর অতি স্নেহের মহীয়সী। | আরবের আজন্ম প্রথা, তদুপরী কোরাইশ পরিবারের রীতি অনুযায়ী তাঁকে লালন-পালনের ভার দেন ওয়ায়েলের স্ত্রীর উপর। ওয়ায়েলের স্ত্রী পরম আদর-যত্নের সাথে তাকে লালন-পালন করেন। ওয়ায়েলও আয়েশাকে অতিশয় স্নেহ করতেন। পরবর্তীকালে এই ওয়ায়েল এবং তার সন্তান এমন কি ওয়ায়েলের ভাইও এসে হযরত আয়েশার খোঁজ খবর নিতেন। একদা ওয়ায়েলের ভাই আফলাহ হযরত আয়েশার সাথে দেখা করতে আসেন। সে সময় তিনি পরিণত বয়স্কা এবং হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর গৃহে অবস্থান করিতেছেন। | হযরত আয়েশা নবী করীম (সাঃ) এর অনুমতি নিয়ে তার সাথে দেখা করে কুশলাদি আদান প্রদান করেন। তাঁর দুধ ভাইগণও সদা-সর্বদা তার সাথে দেখা করতে আসত। অর্থাৎ হযরত আয়েশা ওয়ায়েল পরিবারের একান্ত আপন ও ঘনিষ্ঠ ছিলেন এটাই হল তার প্রকৃষ্ঠ প্রমাণ।