"২৮ লাখ তরুণের কাছে খোলা চিঠি" বইয়ের সংক্ষিপ্ত কথা: আমরা তরুণরা চাকরি ছাড়া কিছুই বুঝি না। চাকরি খুঁজতে খুঁজতে জুতার তলা ক্ষয় হয়ে যাচ্ছে কিন্তু চাকরি মিলছে না। কারণ চাকরি নেই! চাকরিটা দিবে কে? কেউ তো চাকরি তৈরি করছে না, সবাই চাকরি খুঁজছে।
আর আমরা তরুণরা উদ্যোক্তা হওয়ার মতো সম্ভাবনাময় একটি বিষয়কে পুরোপুরি ভুলে চাকরি খুঁজছি আর একবার চাকরি পেলে সেটা যাই হোক তা দিয়েই জীবন পার করে দিচ্ছি। আচ্ছা , আপনি কি জানেন উদ্যোক্তা হওয়াটা কতটা সম্ভাবনার! যে আপনি আজকে চাকরি খুঁজছেন এমনও তো হতে পারে, সে আপনি একদিন হাজার হাজার মানুষকে চাকরি দিবেন। এই বই আপনাকে জানাবে উদ্যোক্তা জিনিসটা কী এবং কতটুকু সম্ভাবনাময়। চাকরিজীবী বা বিসিএস ক্যাডার হওয়ার পরামর্শ দেওয়ার অসংখ্য মানুষ আমাদের চারপাশে আছে কিন্তু উদ্যোক্তা হওয়ার পরামর্শ দেওয়ার মানুষ কি আমাদের চারপাশে আছে? নেই। এই বই আপনাকে পরামর্শ দিবে। পরামর্শ সিদ্ধান্তে পরিণত করতে হবে এমন তো কোনো কথা নেই। আপনি পরামর্শ টা শুনতে পারেন৷ তারপর আপনার ইচ্ছা! এই বইটা বাংলাদেশের সকল তরুণের জন্য লেখা। বইয়ের নাম ২৮ লাখ তরুণ দেওয়া হয়েছে কারণ বর্তমান বেকারদের সংখ্যা ২৮ লাখ। কিন্তু বইটা সবার জন্য।
চাকরি করবো না ব্যবসা করবো- এ সংশয়ে না থেকে চাকরির পাশাপাশি আপনি কিছু একটা স্টার্টআপ করতে পারেন। একজন উদ্যোক্তার জন্য এ টু জেড বিস্তারিত আলোচনা, বাংলাদেশের ব্যবসায়িক পরিবেশ, সমস্যা ও সম্ভাবনার সাতকাহন '' আটাশ লাখ তরুণের কাছে খোলা চিঠি"। বইটি তরুণীদের জন্যও। বাংলাদেশের সেরা দশ জন তরুণ উদ্যোক্তার গল্প, দশ জন ব্যবসায়ীর গল্প এবং দশ জন বিশ্ব উদ্যোক্তার গল্প আছে বইটিতে, যা আপনার আত্মবিশ্বাস বাড়াবে ও আপনাকে দারুণভাবে অনুপ্রাণিত করবে। আপনার বয়স যদি ১৮-৪৫ হয়, আপনি বইটি একবার পড়তে পারেন, আমাদের বিশ্বাস- আপনি হতাশ হবেন না। ব্যবসা শুরু করার আগে বা মাঝামাঝিতে এই বইটি হতে পারে আপনার জন্য একজন ভালো পরামর্শক।
লেখক পরিচিতিঃ জোনাইদ আল হাবীব রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ থেকে স্নাতক করেছেন। তিনি একজন উদ্যোক্তা, যিনি শিক্ষাদ্যোক্তা হিসেবে সফল। ২০১৭ সালে লেখকের প্রথম স্টার্টআপ ব্যর্থতায় রূপ নিলেও, ২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠিত Habib's English Care যথেষ্ঠ সফল। তার এই প্রতিষ্ঠান থেকে ইংরেজি পড়ে ২৪ জনেরও বেশি শিক্ষার্থী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে জায়গা করে নিয়েছে। তিনি মনে করেন চাকরি করে দেশের জন্য যতটুকু অবদান রাখা যায়, তার চাইতেও বেশি রাখা যায় চাকরি তৈরী করে । তাই তার জীবনের লক্ষ্যই হচ্ছে একজন সফল উদ্যোক্তা হয়ে হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখা। ছাত্রজীবনের বিভিন্ন সময়ে তিনি ৪/৫ টি ভলান্টিয়ারিং সংগঠনের সাথে কাজ করেছেন। অংশ গ্রহণ করেছেন ২০ টির বেশি ওয়ার্কশপে । বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করা লেখকের নেশা। অনেক ব্যর্থতা থাকা সত্বেও দুইটি প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন, তিনটিতে প্রথম রানার আপ এবং একটিতে দ্বিতীয় রানার আপ হয়েছেন। লেখক মনে করেন, তরুণরাই পারে দেশটাকে বদলে দিতে । এজন্য তরুণদের দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তোলার দিকে নজর দিতে হবে। তাই তিনি তার অর্জিত বিভিন্ন জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা প্রতিনিয়ত শেয়ার করে যাচ্ছেন বিভিন্ন ভিডিও টিউটোরিয়ালের মাধ্যমে যা ফেসবুক, ইউটিউব ও ইনস্টাগ্রামে আছে।