"এক দিঘল দিনে নবিজি (সা.)" বইয়ের সংক্ষিপ্ত কথা: এই তো খেজুর গাছের শহর। প্রাণচঞ্চল হৃদয়গুলোর শহর। এখানেই তাঁর হৃদয়ের বসত। যখন এসেছিলেন দীপ্তিময় হয়ে উঠেছিল শহরের প্রতিটি কোণ। এই শহর, শহরের মানুষ আর প্রকৃতি তাকে জড়িয়ে নিয়েছিল নিবিড় করে। খানিক দূরে ব্যথার স্মৃতিমোড়া সেই উহুদ পাহাড়, কত ভালোবাসার টান এর সঙ্গে। শহরপুরীর প্রতিটা অলিগলির কাছে অতি আপন তাঁর পায়ের চিহ্ন। অনতিকাল পর এখানেই গড়ে উঠবে তাঁর মাসজিদ, সঙ্গে লাগোয়া ছোট্ট একটি কুটির। এই মাসজিদের আঙিনাতে তাকে ঘিরে জড়ো হবে সেই মহান একদল মানুষ, যারা তাঁর অনুসরণে উদগ্রীব। তিনি হবেন তাদের ছায়াসঙ্গী। তবে সবচেয়ে মধুর সম্পর্কটি হবে আল্লাহর সঙ্গে। .আমরা আজ নবিজি ﷺ-এর সাথে কাটাব সকাল থেকে সন্ধ্যা। দেখব তাঁর প্রতিটি নিমেষ। চোখ মেলে অবলোকন করব তাঁর মহৎ অথচ সাদাসিধে জীবন। তাঁর ব্যস্তময় দিনমানে ছড়িয়ে আছে স্বতঃস্ফূর্ততা। সবকিছুর মাঝে আছে ঐকতান। কত খোরাক ছড়িয়ে আছে সেথায় আমাদের জন্য। "নবীজির সংসার" বইয়ের পিছনের কভারের লেখা: নবীজি! আমাদের নবীজি! আমাদের প্রাণের চেয়ে প্রিয় নবীজি! কখনো কী ভেবেছি নবীজি স. এর সংসার জীবন কেমন ছিলো? স্ত্রীদের সাথে কেমন ছিলেন তিনি? তিনিও যে স্ত্রীদের সাথে মান-অভিমান করতেন আমরা কি তা জানি? আবার স্ত্রীরাও অভিমান করলে কী করে তা ভাঙতেন? কেমন করে স্ত্রীদের নিয়ে বিনোদন করতেন? পারিবারিক কোন বিপর্যয় আসলে কী করে সেটার সমাধান করতেন? নিজ ছেলে মেয়েদের সাথে কেমন ছিলেন তিনি? হযরত ফাতিমা থেকে শুরু করে অন্যান্য ছেলেমেয়েদের সাথে তাঁর সম্পর্ক কেমন ছিলো? মেয়ে জামাইদের সাথে কেমন সম্পর্ক ছিলো? শ্বশুর হিসেবে কেমন ছিলেন তিনি? নিজ নাতিনাতনিদের সাথে কেমন ছিলেন তিনি? কেমন করে তাদের আদর-যত্ন করতেন? কীভাবে তাদের বিভিন্ন আবদার পূরন করতেন? নবীজির ঘরে কোন মেহমান আসলে কীভাবে তাদের আপ্যায়ন করতেন? কেমন আচরণ করতেন তাদের সাথে? এভাবে প্রিয় নবীজির পুরো সংসারজীবনের নানানদিক এই বই থেকে হাদীসের আলোকে জানা যাবে ইন শা আল্লাহ। "নবীজি : যেমন ছিলেন তিনি: একজন মানুষের হাত ধরে পাল্টে গেল পৃথিবীর ইতিহাস। মোড় নিল বিশ্ব রাজনীতি। সভ্যতা পেল নতুন এক মাত্রা। সেই মানুষের হাত ধরে পৃথিবীতে আবার নেমে এলো হিদায়াতের ফল্গুধারা। মানুষটার নাম মুহাম্মাদ ইবন আবদুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। একজন মানুষ এসে পৃথিবীকে এমনভাবে নাড়িয়ে দিয়েছেন—এমন ঘটনা পৃথিবীতে আর দুটো নেই। মানবতার মুক্তির দূত এই মহামানবের জীবনী লেখক এমন ঢঙে উপস্থাপন করেছেন, পড়তে গিয়ে পাঠকের মনে হবে যেন তারা চোখের সামনেই মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে দেখতে পাচ্ছেন। বইটির নামও রেখেছেন সেভাবে—মুহাম্মাদ : কাআন্নাকা তারাহু। তার অন্যতম সেরা কাজ এই ‘মুহাম্মাদ : কাআন্নাকা তারাহু’। আমরা বইটির নাম রেখেছি—নবীজি।