"মেসোপটেমীয় সভ্যতা" বইয়ের সংক্ষিপ্ত কথা:
প্রাচীন নগর সভ্যতার ইতিহাসে একটি বৈচিত্র্যপূর্ণ সভ্যতা ‘মেসোপটেমীয় সভ্যতা’। মেসোপটেমিয়া একক কোনো রাজ্য নয়-টাইগ্রিস ও ইউফ্রেটিস নদীর মধ্যবর্তী বিশাল উর্বর ভূমিতে বিভিন্ন সময়কালে চারটি বড় সাংস্কৃতিক অঞ্চল গড়ে উঠেছিল। প্রত্যেকটিকে এক একটি স্বতন্ত্র সভ্যতা বলা যেতে পারে। এগুলো হচ্ছে সুমেরীয় সভ্যতা, ব্যাবিলনীয় বা পুরনো ব্যাবিলনীয় সভ্যতা, এশেরীয় সভ্যতা এবং ক্যালডীয় বা নব্য ব্যাবিলনীয় সভ্যতা। প্রত্যেকটি সভ্যতার মধ্যে অনেক ক্ষেত্রে সাংস্কৃতিক মিল থাকলেও অনেক অমিলও রয়েছে। এসব বিচারে অভিন্ন বৃহৎ অঞ্চলে এই সভ্যতাগুলো গড়ে ওঠায় একত্রিতভাবে সভ্যতাটি একক নামে মেসোপটেমীয় সভ্যতা বলে পরিচিত।
ড. এ কে এম শাহনাওয়াজ দীর্ঘদিন থেকে সভ্যতার ইতিহাস নিয়ে লিখে আসছেন। স্কুল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায় পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনে যেমন সভ্যতার ইতিহাস লিখছেন একইভাবে সাধারণ পাঠকদের কথা বিবেচনায় এবং ইতিহাস পাঠকে জনপ্রিয় করে তোলার জন্য সহজ-সাবলীল ভাষায় লিখছেন ইতিহাস গ্রন্থ। এই লক্ষ্যেই দশটি ভিন্ন ভিন্ন সভ্যতা বা সাংস্কৃতিক বিকাশকে কেন্দ্র করে দশটি গ্রন্থ লেখার প্রয়াস পেয়েছেন। এই বইগুলোর বিশেষত্ব হচ্ছে এর অবয়ব বিন্যাস। রঙিন ছবি এবং উন্নতমানের কাগজ ও বাঁধাইয়ের মধ্য দিয়ে দৃষ্টিনন্দন করা হয়েছে। শুধু চিত্তাকর্ষকই নয়, সভ্যতার ইতিহাস উপলব্ধি করতে সংশ্লিষ্ট ছবির গুরুত্ব রয়েছে। তথ্যের ঘনঘটায় না গিয়ে লেখা ও ছবির মধ্য দিয়ে পাঠককে ইতিহাসের ঘটনাবলির সাথে যুক্ত করার চেষ্টা করা হয়েছে এই গ্রন্থে।
Read More