জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ তনয়া মানবতার জননী জননেত্রী শেখ হাসিনা একনায়কতন্ত্র স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে গণতন্ত্র ও সুশাসনের লক্ষে দীর্ঘ সংগ্রামের মাধ্যমে হয়ে ওঠেন গণতন্ত্রের মানসকন্যা। ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত একটি সুখী সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে জননেত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বে বর্তমান সরকার নিরলস কাজ করে যাচ্ছেছ। ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বে শিক্ষা খাতে, স্বাস্থ্য সেবায় নারী ও শিশুর উন্নয়নে, নারীর ক্ষমতায়নে, ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে, কৃষিতে কর্তৃত্ব এবং খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে, প্রবাসী শ্রমিকদের উন্নয়নে, জাতিসংঘ শান্তি মিশনে, গ্রামীণ কাঠামো উন্নয়নে, যোগাযোগ, বিদ্যুৎ খাতে, শিল্প ও বাণিজ্য খাতে, মৎস্য ও মাংস উৎপাদনে, সামাজিক নিরাপত্তা খাতে, ভূমি ব্যবস্থাপনায়, এমডিজি ও এসডিজি সম্পাদনে এবং অর্থনৈতিক মন্দা মোকাবেলায় বাংলাদেশ অসামান্য সফলতা অর্জন করেছে।
এমনকি নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতুর মতো বৃহৎ প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। এসব উন্নয়নের স্বীকৃতি স্বরূপ ‘চ্যাম্পিয়নস অব দ্যা আর্থ’, ‘গ্লোবাল উইমেন’স লিডারশিপ এওয়ার্ড’, ‘এজেন্ট অব চেঞ্জ অ্যাওয়ার্ড ও প্ল্যানেট ৫০-৫০ চ্যাম্পিয়ন’, ‘আইসিটি সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট এ্যাওয়ার্ড’, ‘শান্তির বৃক্ষ”, ‘ইন্ধিরা গান্ধী শান্তি পদক’, ‘সেরেস পদক’, ‘মাদার তেরেসা পদক’, ‘সাউথ এওয়ার্ড’, ইত্যাদি পুরস্কার লাভ করেছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশ আজ সারাবিশ্ব উন্নয়নের “রোল মডেল” হিসাবে বিবেচিত হচ্ছে।
উপরোক্ত কিছু বিষয় এই বইটিতে সুন্দরভাবে উপস্থাপিত হয়েছে। এছাড়াও পার্বত্য শান্তি চুক্তি, রোহিঙ্গা শরণার্থী, সিটমহল বিনিময়, সমুদ্র বিজয়, যুদ্ধাপরাধের বিচার, বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট, পদ্মা সেতু, বই উৎসব, ঢাকা মেট্রোরেল, বিদ্যুৎ উৎপাদনসহ বিগত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের সুন্দর উপস্থাপনা রয়েছে এই বইটিতে।
জন্ম ১৩ই জুলাই, ১৯৭০ সাল, সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া থানার চাক্সা গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে। মা: কদর জান, বাবা: মোঃ মকবুল আকন্দ। গ্রামের সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে লেখাপড়ার হাতেখড়ি। মোহনপুর কে এম ইনস্টিটিউশন থেকে এস.এস.সি. এবং পাবনা সরকারী এডওয়ার্ড কলেজ থেকে এইচ.এস.সি কৃতিত্বের সহিত পাস করে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহে ভর্তি হন। বি. এসসি এগ্রি. ইঞ্জি: ও এম. এস. ইন ফুড টেকনোলজি সফলতার সহিত শেষ করে একই বিশ্ববিদ্যালয়ে লেকচারার হিসাবে ১৯৯৮ সালে যোগদান করেন। পরে একই বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রফেসর হিসাবে ২০১২ সালে পদোন্নতি লাভ করেন। ২০০৮ সালে ক্ষিণ কোরিয়ার চুংনাম ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে পি.এইচডি. ডিগ্রি লাভ করেন। সুইডেনের সুইডিশ ইউনিভার্সিটি অব এগ্রিকালচারাল সাইন্সেস (ঝখট) থেকে ১ম পোষ্ট ডক্টরেট (২০০৯-২০১১), ভারতের আসাম রাজ্যের তেজপুর ইউনিভার্সিটি থেকে ২য় পোষ্ট ডক্টরেট (২০১৪) এবং ভারতের হারিয়ানা রাজ্যের ন্যাশনাল ডেইরি রিসার্স ইনস্টিটিউট থেকে ৩য় পোষ্ট ডক্টরেট (২০১৫) স¤পন্ন করেন। ফুড সেফটি বিষয়ে নোরল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া ও অস্ট্রেলিয়াতে বিশেষ প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেন। তিনি ২৩ টিরও বেশি দেশে বিভিন্ন সভা, সেমিনার, ওয়ার্কশপ ও সিম্পুজিয়ামে অংশগ্রহণ করেন। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষে সদস্য হিসেবে নিয়োজিত আছেন।