জাদু বহু রূপ নিতে পারে। প্রাচীন মিসরীয়রা রাতকে ব্যাখ্যা করতে প্রস্তাব করত—রাত হচ্ছে সেই সময় যখন দেবী নুট [বা নিউথ] সূর্যকে গিলে ফেলে। ভাইকিংরা রংধনুকে মনে করত দেবতাদের বানানো সেতু, যা ব্যবহার করে তারা পৃথিবীতে নেমে আসে। এই সবকিছুতেই জাদুময়তা আছে, অসাধারণ সব কাহিনি, কিন্তু আরো এক ধরনের জাদু আছে, আর সেই জাদুটি এইসব প্রশ্নগুলোর সত্যিকারের উত্তর আবিষ্কার করার তীব্র আনন্দের মধ্যে থাকে। আর এটাই হচ্ছে বাস্তবতার জাদু—বিজ্ঞান।
মহাশূন্য, সময় আর বিবর্তন বিষয়ে উদ্দীপ্ত করার মতো অসংখ্য ব্যাখ্যা সম্বলিত, হাস্যরস আর বুদ্ধিদীপ্ত চিন্তার পরীক্ষার নানা উদাহরণের সঠিক মিশ্রণে দ্য ম্যাজিক অব রিয়েলিটি বইটি প্রাকৃতিক প্রপঞ্চগুলোর বিস্ময়কর বিশাল একটি সম্ভারকে অনুসন্ধান করেছে। কোনোকিছু আসলে কী দিয়ে তৈরি? মহাবিশ্ব কত প্রাচীন? সুনামি কেন হয়? প্রথম পুরুষ অথবা নারী, কে ছিলেন? এটি সুখপাঠ্য, অসাধারণ একটি রহস্য গল্পের মতো, যা শুধুমাত্র বিজ্ঞানের পুঞ্জীভূত জ্ঞানের খনিতে এর উত্তরের যোগসূত্রগুলো অনুসন্ধানই করেনি, একজন বিজ্ঞানীর মতো ভাবতেও এটি এর পাঠককে প্রস্তুত করেছে।
সব বয়সের পাঠকদের জন্যেই রিচার্ড ডকিন্স এই বইটিতে প্রাকৃতিক জগতের বিস্ময়গুলোকে ব্যাখ্যা করেছেন অননুকরণীয় স্পষ্টতা আর সমৃদ্ধতায়, যা ভবিষ্যৎ বহু প্রজন্মকে জ্ঞানের আলোয় আলোকিত এবং তথ্যাভিজ্ঞ করা অব্যাহত রাখবে।
সূচিক্রম
অনুবাদকের কথা [৯]
প্রথম অধ্যায়
বাস্তবতা কী? জাদু কী? [১১-৩৪]
দ্বিতীয় অধ্যায়
কে ছিল প্রথম মানুষ? [৩৫-৫৭]
তৃতীয় অধ্যায়
কেন এত বেশি বিচিত্র ধরনের জীব? [৫৯-৮০]
চতুর্থ অধ্যায়
সবকিছু কী দিয়ে তৈরি? [৮১-১০৩]
পঞ্চম অধ্যায়
কেন রাত আর দিন, শীত আর গ্রীষ্ম হয়? [১০৫-১২৮]
ষষ্ঠ অধ্যায়
সূর্য কী? [১২৯-১৫০]
সপ্তম অধ্যায়
রংধনু কী? [১৫১-১৬৫]
অষ্টম অধ্যায়
কখন আর কোথায় কিভাবে সবকিছু শুরু হয়েছিল? [১৬৭-১৮৪]
নবম অধ্যায়
এই মহাবিশ্বে আমরা কি একা? [১৮৫-২০৬]
দশম অধ্যায়
ভূমিকম্প আসলে কী? [২০৭-২২৩]
একাদশ অধ্যায়
খারাপ কিছু কেন ঘটে? [২২৫-২৪৭]
দ্বাদশ অধ্যায়
অলৌকিক ঘটনা আসলে কী? [২৪৯-২৭১]
লেখক পরিচিতি [২৭৩]
Read More