"একাত্তরের বিদেশি বন্ধু" বইটির প্রথম ফ্ল্যাপ-এর লেখাঃ
২০১১ সালে একমাত্র ভারতের প্রধানমন্ত্রী মিসেস ইন্দিরা গান্ধীকে মুক্তিযুদ্ধের সর্বোচ্চ সম্মান ‘স্বাধীনতা সম্মাননা দেয়া হয়। ইন্দিরা গান্ধী ছাড়া ভারতের আরেক প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ি এ সম্মাননা পেয়েছেন। ২০১২ সালে ২৭ মার্চ দ্বিতীয় পর্বে ৮ জনকে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ সম্মাননা', ৭০ ব্যক্তি ও ৬টি প্রতিষ্ঠান/সংগঠনকে ‘মুক্তিযুদ্ধ মৈত্রী সম্মাননা দেয়া হয়। ২০১২ সালের ২০ অক্টোবর তৃতীয় পর্বে ৫৯ জন বিদেশি বন্ধুকে ‘মুক্তিযুদ্ধ মৈত্রী সম্মাননা’ এবং ২ জনকে ‘মুক্তিযুদ্ধ সম্মাননা দেয়া হয়। ২০১২ সালের ১৫ ডিসেম্বর চতুর্থ পর্বে ৬০ ব্যক্তি ও ২ সংগঠনকে ‘মুক্তিযুদ্ধ মৈত্রী সম্মাননা দেয়া হয়।
২০১৩ সালের ৪ মার্চ পঞ্চম পর্বে ভারতের প্রয়াত রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জিকে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মৈত্রী সম্মাননা দেয়া হয়। ২০১৩ সালের ২৪ মার্চ ষষ্ঠ পর্বে ২ জনকে ‘মুক্তিযুদ্ধ সম্মাননা ও ৬৭ ব্যক্তি এবং একটি সংগঠনকে ‘মুক্তিযুদ্ধ মৈত্রী সম্মাননা প্রদান করা হয়। ২০১৩ সালের ১ অক্টোবর সপ্তম পর্বে ২ জনকে মুক্তিযুদ্ধ সম্মাননা ও ৫৭ ব্যক্তি এবং একটি সংগঠনকে ‘মুক্তিযুদ্ধ মৈত্রী সম্মাননা প্রদান করা হয়। ২০১৫ সালের ৭ জুন অষ্টম পর্বে একমাত্র অটল বিহারি বাজপেয়িকে ‘স্বাধীনতা সম্মাননা প্রদান করা হয়। ২০১৬ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর নবম পর্বে কানাডার প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী পিয়েরে ট্রুডােকে মুক্তিযুদ্ধ সম্মাননা প্রদান করা হয়।
গুগলের তথ্যমতে, সবচেয়ে বেশি সম্মাননা পেয়েছেন ভারতের ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান। ভারতের ২১৬ ব্যক্তি ও ৮টি সংগঠনকে সম্মাননা দেয়া হয়েছে।
ভারত ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের ২৯, পাকিস্তানের ১৭, যুক্তরাজ্যের ১৩, রাশিয়ার ১১, নেপালের ৯, সুইডেনের ৫, ভুটানের ২, যুগােশ্লাভিয়ার ১, জার্মানির ২, জাপানের ৮, অস্ট্রেলিয়ার ২, আয়ারল্যান্ডের ২, ইতালির ২, ফ্রান্সের ২, মিশরের ২ ব্যক্তি ও ১টি সংগঠনকে, শ্রীলঙ্কার ২, ডেনমার্কের ১, ভিয়েতনামের ১, কিউবার ১, তুরস্কের ১ জনকে মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য সম্মাননা দেয়া হয়েছে।
এখানে আরাে একটি কথা বলতেই হচ্ছে, বাংলাদেশ সরকার এ পর্যন্ত যে ৩৩৯ জনকে সম্মাননা দিয়েছে তাদের সবার তথ্য, ছবি ও পরিচিতি জোগাড় করা সম্ভব হয়নি। যে কারণে, এ পর্যায়ে সবাইকে এক মলাটে তুলে ধরা সম্ভব হয়নি। তবে কথা দিচ্ছি, পর্যায়ক্রমে সবাইকে তুলে ধরা হবে।
এখানে আরাে একটি কথা বলা দরকার, মুক্তিযুদ্ধে বিদেশি বন্ধুদের নিয়ে এর আগে ২০১৫ সালে লিখেছিলাম। ২০১৭ সালে সেটা একটি প্রকাশনীকে দিয়েও ছিলাম এবং সেটা ছােট আকারে (৫ ফর্মা) প্রকাশিতও হয়েছে।
তবে, সে বইয়ে পর্যাপ্ত তথ্যাদি না থাকায় অনেকেই আমাকে পূর্ণাঙ্গ আকারে বইটি লেখার জন্যে অনুরােধ করেন। তাদের অনুরােধ এবং আমার নিজের তাগিদে বইটি আবার নতুন করে বইটি লেখা হয়েছে। তবে, সে বইয়ের সাথে এ বইয়ের কোন মিলই নেই বলা যায়।
Read More