ফ্ল্যাপ
ভারতবর্ষ তখন ছোট ছোট অনেকগুলো ক্ষুদ্র রাজ্যে বিভক্ত। অনেক নবাব-রাজা নিজেদের স্বার্থের মোহে বশ্যথা স্বীকার করে নেয় ইংরেজদের। কিন্তু প্রতিবাদে ফুঁসে ওঠেন টিপু সুলতান। তাকে বশে আনার জন্য ইংরেজরা শুরু করে ষড়যন্ত্র ও দমনের চূড়ান্ত নীতি। শুরু হয় মরণপণ লড়াই। তাঁর এ লড়াই ছিল অধর্মের বিরুদ্ধে, অসুন্দরের বিরুদ্ধে, অত্যাচার ও উৎপীড়নের বিরুদ্ধে। জীবনের বেশীর ভাগ সময় কেটেছে তাঁর ঘোড়ার পিঠে। যুদ্ধে যুদ্ধে কেটেছে সারাটা জীবন। জীবনের শেষ রক্ত বিন্দু দিয়ে তিনি লড়াই করেছেন স্বাধীনতার জন্য, মানুষের মুক্তির জন্য, নায় প্রতিষ্ঠার জন্য। মুক্ত কৃপাণ হাতে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন অণ্যায় আর অসত্যের বিরুদ্ধে।
উপমহাদেশের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসের এই শ্রেষ্ঠতম পুরুষ টিপু সুলতানের জীবনসংগ্রাম ও স্বপ্ন নিয়ে রচিত হয়েছে ভগওয়ান এস গিদওয়ানীর কালজয়ী অমর উপন্যাস ‘দি সোর্ড অব টিপু সুলতান’।
দি সোর্ড অব টিপু সুলতান প্রকাশিত হওয়ার সাথে সাথে সারা ভারতবর্ষে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়। বইটি পড়ে অভিভূত হন ভারতের শ্রেষ্ঠ চিত্র পরিচালক সঞ্জয় খান। তিনি বইটিকে চিত্রায়িত করতে গিয়ে প্রবল বাঁধার সম্মুখীন হন। আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়া হয় তাঁর শূটিং সেট। কোটি টাকার সম্পত্তি এবং অর্ধ শতাধিক আর্টিস্ট ও কলাকুশলী নিহত হয়।
আহত সঞ্জয় খান তবু অনড়। অনেক বাধা বিপত্তির পাহাড় মাড়িয়ে অবশেষে তিনি নির্মাণ করেন ’দি সোর্ড অব টিপু সুলতান’। এ টিভি সিরিয়ালটিও অসম্ভব জনপ্রিয়তা লাভ করে। এ অসাধারণ কাহিনীটি বাংলাদেশেী পাঠকদের হাতে তুলে দিতো পেরে আমরা আনন্দিত।
Read More