নানা ঘাত-প্রতিঘাত, আবেগ-উত্তেজনা পেরিয়ে অবশেষে সগৌরবে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে পদ্মা সেতু। মেলবন্ধন ঘটিয়েছে পদ্মার দুই পাড়ের। অথচ এই সেতু নির্মাণের উদ্যোগ মুখ থুবড়ে পড়বে, ব্যর্থ হবে সরকার এমন বক্তব্যও ছড়িয়েছিল। শুধু কি তা-ই, নির্মাণাধীন সময়ে ‘মাথা কাটা’সহ নানা গুজবও চলেছে। শঙ্কা ছিল, আমাজন নদীর পর দ্বিতীয় খরস্রোতা নদী পদ্মায় সেতু নির্মাণের চ্যালেঞ্জের ধরন নিয়েও। তবে সময়ের সঙ্গে সব চ্যালেঞ্জ, গুজব আর ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় শতভাগ সফল বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় নেতৃত্বই পদ্মা সেতু বাস্তবায়নের বাস্তবতা দৃশ্যমান করে তুলেছে। সম্পদের সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও নেতৃত্বের বিচক্ষণতা এবং সঠিক দিকনির্দেশনার কারণেই বাংলাদেশ এই লক্ষ্য অর্জনে সক্ষম হয়েছে। এক কালে যে দেশকে বলা হয়েছিল ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ সেই দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এখন বিশ্ববাসীর বিস্ময়। নিজেদের অর্থে অত্যাধুনিক সেতু নির্মাণের মতো এমন একটি মেগা প্রকল্প সফলভাবে বাস্তবায়ন করে বাংলাদেশ সারা বিশ্বকে আবার জানিয়ে দিল, ‘আমরাও পারি’br বাংলাদেশের আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে পদ্মা সেতুর রয়েছে বহুরৈখিক অবদান। অর্থনীতির গতি দ্রুত হবে, মানুষের সামাজিক মর্যাদা বাড়বে, আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও উজ্জ্বল হবে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি। পদ্মা সেতুর স্বপ্ন থেকে বাস্তবতা, পরিকল্পনা থেকে বাস্তবায়ন নানা বিষয়ের লেখা ও ছবি উঠে এসেছে আমাদের অর্থে আমাদের পদ্মা সেতু বইটিতে। নানা ঘাত-প্রতিঘাত, আবেগ-উত্তেজনা পেরিয়ে অবশেষে সগৌরবে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে পদ্মা সেতু। মেলবন্ধন ঘটিয়েছে পদ্মার দুই পাড়ের। অথচ এই সেতু নির্মাণের উদ্যোগ মুখ থুবড়ে পড়বে, ব্যর্থ হবে সরকার এমন বক্তব্যও ছড়িয়েছিল। শুধু কি তা-ই, নির্মাণাধীন সময়ে ‘মাথা কাটা’সহ নানা গুজবও চলেছে। শঙ্কা ছিল, আমাজন নদীর পর দ্বিতীয় খরস্রোতা নদী পদ্মায় সেতু নির্মাণের চ্যালেঞ্জের ধরন নিয়েও। তবে সময়ের সঙ্গে সব চ্যালেঞ্জ, গুজব আর ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় শতভাগ সফল বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় নেতৃত্বই পদ্মা সেতু বাস্তবায়নের বাস্তবতা দৃশ্যমান করে তুলেছে। সম্পদের সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও নেতৃত্বের বিচক্ষণতা এবং সঠিক দিকনির্দেশনার কারণেই বাংলাদেশ এই লক্ষ্য অর্জনে সক্ষম হয়েছে। এক কালে যে দেশকে বলা হয়েছিল ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ সেই দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এখন বিশ্ববাসীর বিস্ময়। নিজেদের অর্থে অত্যাধুনিক সেতু নির্মাণের মতো এমন একটি মেগা প্রকল্প সফলভাবে বাস্তবায়ন করে বাংলাদেশ সারা বিশ্বকে আবার জানিয়ে দিল, ‘আমরাও পারি’br বাংলাদেশের আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে পদ্মা সেতুর রয়েছে বহুরৈখিক অবদান। অর্থনীতির গতি দ্রুত হবে, মানুষের সামাজিক মর্যাদা বাড়বে, আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও উজ্জ্বল হবে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি। পদ্মা সেতুর স্বপ্ন থেকে বাস্তবতা, পরিকল্পনা থেকে বাস্তবায়ন নানা বিষয়ের লেখা ও ছবি উঠে এসেছে আমাদের অর্থে আমাদের পদ্মা সেতু বইটিতে।
আবুল কালাম আব্দুল মোমেন (জন্ম ২৩ আগস্ট ১৯৪৭) বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রী। তিনি একজন অর্থনীতিবিদ ও কূটনীতিবিদ। আগস্ট ২০০৯ থেকে অক্টোবর ২০১৫ পর্যন্ত জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সিলেট-১ আসন থেকে ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। জন্মগ্রহণ করেন ১৯৪৭ সালের ২৩শে আগস্ট বাংলাদেশের সিলেটে। তার পিতা আবু আহমদ আব্দুল হাফিজ ছিলেন সিলেট জেলা মুসলিম লীগের প্রতিষ্ঠাতা। তার মা সৈয়দা শাহার বানু ভাষা আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক এবং সিলেটে নারী জাগরণের অগ্রদূত। ভাই আবুল মাল আব্দুল মুহিত বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৬৯ সালে অর্থনীতিতে বি.এ এবং ১৯৭১ সালে উন্নয়ন অর্থনীতিতে এম.এ অর্জন করেন। এরপর ১৯৭৯ সালে হার্ভার্ড বিজনেস স্কুল থেকে এমবিএ এবং নর্থইস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়, বোস্টন, ম্যাসাচুসেটস থেকে ১৯৮৮ সালে অর্থনীতিতে পিএইচডি সম্পন্ন করেন। তিনি মেরীম্যাক কলেজ, সালেম স্টেট কলেজ, নর্থইস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়, ম্যাসাচুসেটস বিশ্ববিদ্যালয়, এবং হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের কেনেডি স্কুল অব গভর্নমেন্ট-এ অর্থনীতি ও ব্যবসায় প্রশাসন পড়িয়েছেন ২০০৯ সাল পর্যন্ত। এর আগে তিনি স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রীর ব্যক্তিগত সচিব (১৯৭৩ থেকে ১৯৭৪ পর্যন্ত) এবং শিল্প ও বাণিজ্য এবং খনিজ সপম্পদ ও পেট্রোলিয়াম মন্ত্রীর ব্যক্তিগত সচিবের দায়িত্ব পালন করেন (১৯৭৪ থেকে ১৯৭৫ পর্যন্ত )। ২০১০ সালে তিনি ইউনিসেফ কার্যনির্বাহী পরিষদের আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৬৭ তম অধিবেশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করেন।