"ভারত উপমহাদেশের ইতিহাস (মধ্য যুগ) মোগল পর্ব" বইয়ের ভেতরের কিছু অংশ:
আমার ‘বিশ্বসভ্যতা’ সিরিজের দুটি গ্রন্থ শিক্ষার্থী ও সাধারণ পাঠক ভালােভাবে গ্রহণ করায় আমি স্বাভাবিক কারণেই উৎসাহিত ও উদ্দীপ্ত হয়েছিলাম। কোনাে কোনাে শুভার্থী গবেষণার সময়কে খণ্ডিত করে পাঠ্যপুস্তক রচনা আমার সুবিবেচনাপ্রসূত সিদ্ধান্ত বলে মনে করেননি। তবুও ক্ষমা করবেন জেনেই তাদের স্নেহের শাসন কখনাে কখনাে উপেক্ষা করতে হয়েছে আমাকে। হয়েছে এক ধরনের বাস্তববােধ ও দায়িত্ববােধ থেকে। শিক্ষক হিসেবে এবং পরীক্ষক হিসেবে অসহায়ভাবে লক্ষ করেছি ছাত্রছাত্রীদের বড় অংশই বাংলাভাষায় মানসম্মত পাঠ্যপুস্তকের অভাবে দুর্বল নােট বা গাইড জাতীয় গ্রন্থ পাঠ করে উচ্চশিক্ষার বৈতরণী পাড়ি দিতে চাইছে। দেশের প্রচলিত পাঠক্রমের পথ বেয়ে বেড়ে উঠছে বলে শিক্ষার্থীদের উল্লেখযােগ্য অংশ ইংরেজি ভাষায় রচিত গ্রন্থ এড়িয়ে চলে। এসব কারণে বাংলাভাষায় মানসম্মত পাঠ্যপুস্তক রচনা এখন সংশ্লিষ্ট বিষয়ের শিক্ষক-গবেষকগণের ওপর শুধু দায়িত্ব নয় আমি মনে করি কর্তব্য হিসেবে বর্তেছে। কোনাে গ্রন্থ যদি শূন্যতা পূরণে কিছুটা হলেও ভূমিকা রাখে তা হলে শিক্ষক-শিক্ষার্থীগণ তা গ্রহণ করতে দ্বিধা করেন না। আমার ‘বিশ্বসভ্যতাপ্রাচীনযুগ’ ও ‘বিশ্বসভ্যতা মধ্যযুগ’ গ্রন্থদুটি পাঠকপ্রিয়তা লাভ করায় তা এ বিশ্বাসের ভিত্তিকে শক্ত করেছে। অনেকেই নানা সময়ে সাক্ষাতে-পত্র লিখে কিছু প্রয়ােজনীয় অঞ্চল শনাক্ত করে গ্রন্থ লেখার জন্য প্রেরণা দিয়েছেন। এই প্রেরণার সূত্র ধরেই আমি ভারত উপমহাদেশের ইতিহাস গ্রন্থ রচনার পরিকল্পনা গ্রহণ করি। এরই ফসল রূপে বছর দুই আগে প্রকাশিত হয়েছিল ভারত উপমহাদেশের ইতিহাস প্রাচীন যুগ’ গ্রন্থটি। গ্রন্থ প্রকাশের পর অল্প সময়ের মধ্যেই পাঠকের প্রতিক্রিয়া পেতে থাকি, যা আমাকে অনেক বেশি উৎসাহিত করেছে। পাশাপাশি দায়িত্বও বেড়ে গিয়েছে। গত দুই বছর শিক্ষক-শিক্ষার্থী উভয়ের কাছ থেকেই নিরন্তর তাগিদ এসেছে ভারত উপমহাদেশের মধ্যযুগ নিয়ে গ্রন্থ রচনার জন্য। প্রাচীন যুগ পর্বের গ্রন্থটি প্রকাশিত হওয়ার পরপরই আমি ব্ৰতী হয়েছিলাম মধ্যযুগ পর্বের গ্রন্থ রচনায়।
Read More