ফ্ল্যাপে লিখা কথা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য বিশেষজ্ঞ মূল্যায়নে দুর্নীতি, প্রশাসনিক জটিলতা, অবকাঠামোগত দুর্বলতা, নীতিসমূহের ভারসাম্যহীনতা এবং ঋণ সুবিধা প্রাপ্তি দীর্ঘসূত্রতাকে প্রধান বাধা হিসেবে মনে করা হয়। বিনিয়োগ বৃদ্ধির মাধ্যমে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা একান্ত দরকার। এ জন সরকারকে দেশি বিদেশি এবং সরকারি-বেসরকারি বিনিয়োগ বৃদ্ধিকে অর্থনৈতিক প্রধান চালিকাশক্তি হিসেবে বিবেচনায় রাখতে হবে। বিদ্যুৎ ও গ্যাসের উৎপাদন বৃদ্ধি এবং সরবরাহ নিশ্চিত না হলে বিনিয়োগ বাড়বে না। বাংলাদেশে সস্তা শ্রমশক্তি ও অনুকূল ভৌগোলিক অবস্থান সহজেই বিদেশি বিনিয়েঅগকারীদের আকর্ষণ করে। ব্যবসায়-বিনিয়োগে গতিশীলতা আনার ক্ষেত্রে বিরাজমান প্রতিবন্ধকতাগুলো অপাসারণ করতে হবে জরুরি ভিত্তিতে। বিশ্বব্যাংক কৃষির দিকে অধিক দৃষ্টি দেয়া ও কৃষিখাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছে। আমাদের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে, দারিদ্র্যতা দূর করণার্থে, কর্মসংস্থান বৃদ্ধিতে এবং জাতীয় উন্নয়ন-অগ্রগতি অর্জনের সফলতায় কৃষি ছাড়া কোনো গতি নেই। দেশের সবচেয়ে বড় শিল্প খাত গার্মেন্টস। এ শিল্পে প্রায় ২০ লাখ লোক কাজ করে । এ খাত থেকেই বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের শতকরা ৭৫ ভাগ আসে। বিদেশে কর্মরত শ্রমিকরাও দেশের অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রায় যোগান দেয়। অথচ বিদেশে কর্মরত শ্রমিকদের দুর্দশা লাঘবে সরকারের ভূমিকা কখনোই প্রশংসা অর্জন করতে পারে নি। বিশ্ববাজারে নতুন করে পাটপন্যের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে।নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে বাংলাদেশের পাটশিল্পের জন্য । এ সুযোগ কাজে লাগাতে হবে। বাংলাদেশের সম্ভাবনার সোনালি আঁশকে নতুন করে বাঁচিয়ে তুলতে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা আবশ্যক। এ সকল বিষয়সমূহ সুষ্ঠুভাবে ব্যবস্থাপনা করণের মাধ্যমে মোকাবেলা করা সম্ভব অর্থনীতির চ্যালেঞ্জকে।
আনু মাহমুদ তরুণ অর্থনীতিবিদ, প্ৰবন্ধকার, কলাম লেখক ও গ্রন্থকার হিসেবে ইতোমধ্যে বেশ পরিচিতি অর্জন করে সুধী পাঠক সমাজে একটি স্থান আয়ত্ত করতে সক্ষম হয়েছেন। যদিও তিনি তার কর্মপরিসরে সরকারি কর্মকর্তা ও এ্যাডমিনেস্ট্রেটিভ সার্ভিসের সদস্য হিসেবে মোঃ মাহমুদুর রহমান নামেই সমধিক পরিচিত। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ সরকারের উপসচিব এবং জাতীয় গ্ৰন্থকেন্দ্রের পরিচালক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। আনু মাহমুদ বেশ সময় ধরে লেখা-লেখির সাথে জড়িত রয়েছেন এবং অনেক চড়াই উৎরাই করে দীর্ঘ পথ পরিক্রমার মাধ্যমে পরিস্ফুটিত হয়েছেন গ্রন্থকারের বর্তমান অবস্থানে এবং সংগ্রহের ঝুলিতে অর্জন করেছেন আর্থ-সামাজিক সমস্যা সম্পর্কিতসহ বহু বিষয় ভিত্তিক গ্রন্থের সফলতা, যা ইতোমধ্যে পাঠক সমাজে বেশ সমাদৃতও হয়েছে। তাঁর লেখালেখির শুরু হয়েছে সেই ছাত্র অবস্থা থেকে, আর তা ক্ৰমান্বয়ে শিকড় গেড়ে পত্র পল্লবে শোভিত হয়ে শাখা বিস্তার করে বর্তমানে রূপ নিয়েছে কাণ্ডে, বৃক্ষে। কিন্তু তার প্রত্যাশা রয়েছে একে ব্যাপক প্রসার ঘটিয়ে এক বিরাট বটবৃক্ষের রূপ দেয়ার। লেখালেখির জগতে যেমন জড়িযে আছেন তেমনি আর্থ-সামাজিক সংগঠনের সাথে। তাঁর স্ত্রী আনোয়ারা মাহমুদ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক। তাদের দুই সন্তান চাঁদনি ও ইযু। তিনি বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ এবং সাবেক সংসদ সদস্য, জনাব মজিবর রহমান তালুকদারের দ্বিতীয় সন্তান।