ভূমিকা মানব সভ্যতাকে আজকের পর্যায়ে নিয়ে আাসর কেব্ষত্রে অনবদ্য ভূমিকা রেখে চলেছেন বিজ্ঞানীরা। তাদের নিত্য নতুন আবিষ্কার ও উদ্ভাবনার পথ ধরৈই আজকের এই যুগে আামাদের পদচারণা। তাহের নাগালেই সব প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি পণ্য মানুষের জীবনাচারে দিয়েছে নতুন মাত্রা। তাই বিজ্ঞানীদের অবদান অস্বীকার করার কোনো সুযোগ নেই। বিজ্ঞানীদের আবিষ্কার ও উদ্ভাবনার পথ রুদ্ধ হয়ে গেলে মানুষতো বটেই পুরো পৃথিবী পড়বে মুখ থুবড়ে। অথচ পৃথিবী ও মানুষ আগামির পথে সাবলীল এগিয়ে চলাকে মসৃণ করতে কত ত্যাগই না স্বীকার করতে হচ্ছে তাদের । সভ্যতার চাকা যারা ঘুরিয়েছে, তাদের অনেককেই শিকার হতে হয়েছে নির্মম হত্যাকাণ্ডের। অনেকেই হয়েছেন দেশান্তরি। ধর্মের নামেও হত্যা করা হয়েছে কাউকে কাউকে। তবু থেমে নেই বিজ্ঞান চর্চা। থামবে না কোনোদিন। ধর্ম কিংবা অন্যকোনো উপায়ে তাদের পথ আটকাতে পারবে না কেউ। বিজ্ঞানের ঝাণ্ডা এগিয়ে নিয়ে যাবে অপ্রতিরোধ্য গতিতে। ‘বিশ্বসেরা ২৫ বিজ্ঞানী’ বইটি সেইসব বিজ্ঞানীদের নিয়েই রচিত, যারা মানুষকে দেখিয়েছেন আলোর দিশা। জগৎ ও সৃষ্টি সম্পর্কে দিয়েছেন ভাবনার খোরাক। জীবনকে করেছেন গতিশীল । তাদের কাছে নিশ্চয়ই আমরা ঋণী। বইয়ের কলেবরের দিয়ে লক্ষ্য রেখে শত শত আলোকিত বিজ্ঞানীর মধ্য থেকে আমরা মাত্র ২৫ জনকে বেছে নিয়েছি। তথ্যপ্রযুক্তির মহাসড়ক তথা ইন্টারনেট এবং দেশি-বিদেশি বিভিন্ন বই থেকে নেয়া হয়েছে নানা তথ্য-উপাত্ত। পিথাগোরাস, অ্যারিস্টটল, ইউক্লিড, আর্কিমিডিস, টলেমি থেকে শুরু করে আইনস্টাইন , স্টিয়েন হকিং পর্যন্ত এই বইয়ে উঠে এসেছেন। তুলে ধরা হয়েছে তাদের কর্মময় জীবন, উদ্ভাবনা ও ব্যক্তিগত জীবনাচার। বিজ্ঞান চর্চায় যাদের আগ্রহ দুর্নিবার, বিজ্ঞান ও বিজ্ঞানী সম্পর্কে যারা আহরণ করতে চান নানা তথ্য-উপাত্ত, জ্ঞান এ বইটি নিঃসন্দেহে তাদের তৃষ্ণা নিবারণ করবে। জানা যাবে বিশ্বসেরা বিজ্ঞানীরা কিভাবে কাজ করতেন এবং তাদের আাবিষ্কারই বা কি সেসব তথ্য। সব শ্রেণীর পাঠকের কথা চিন্তা করে সহজ-সরল ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে এ বইয়ে। বইটি পাঠকের ভালো লাগলেই আমাদের শ্রম সার্থক হবে। সুমন ইসলাম