"শক্তি চট্রোপাধ্যায়ের পদ্যসমগ্র -২" বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা কথা:
তখন তরুণরচনার অগ্নিময় মশাল ‘কৃত্তিবাস', তরুণ লেখকের সৃজন-সত্তার সার্থক স্বীকৃতি বুদ্ধদেব বসুর ‘কবিতা। আর এই দুই পত্রিকাতে প্রায় একইসঙ্গে প্রকাশিত হয়ে, বাংলা কবিতার আসর চমকে দিয়ে আবির্ভূত হলেন শক্তি চট্টোপাধ্যায়। কোনও প্রেরণা নয়, কোনও সনির্বন্ধ ভালােবাসায় না শুধুমাত্র চ্যালেঞ্জের মুখােমুখি হয়ে এইসব পদ্য লেখা’ : নিজেই জানিয়েছেন তিনি। প্রথম থেকেই তিনি চমকপ্রদ কিংবদন্তী প্রতিম। জীবনযাপন, বেপরােয়া, ভূক্ষেপহীন। কিংবদন্তী হয়ে-ওঠা একেকটি কবিতা সতেজ, সবল, স্বেচ্ছাচারী । কখনও শব্দের প্রভু শক্তি চট্টোপাধ্যায়, কখনও পূজারী । ছন্দে-ছন্দোহীনতায়, মিলে-মিলহীনতায়, কোলাহলে-স্বগতােক্তিতে, উপমায়-সরলতায়, শৃঙ্খলায়-উচ্ছলতায় সমান প্রবল তিনি সম্পন্ন, প্রাচুর্যময়। কিন্তু সবসময়ই অভাবনীয় অজস্র লিখেছেন, কিন্তু কবিতাই লিখেছেন। যদিও নিজে বলেন, পদ্য। এই শক্তি চট্টোপাধ্যায়েরই যাবতীয় কাব্যগ্রন্থ নিয়ে খণ্ডে-খণ্ডে বেরুচ্ছে ‘পদ্য-সমগ্র । কীভাবে ভাঙতে-ভাঙতে এগােচ্ছেন এ-যুগের এক অন্যতম প্রধান কবি, কীভাবে সব লণ্ডভণ্ড করে দিয়েও কুড়িয়ে নিচ্ছেন সবিস্ময় ভালােবাসা, কীভাবে বদলে যাচ্ছে উপমা ও চিত্রকল্পের ধরন, শব্দের ব্যবহার এবং ছন্দ-মিলের পরীক্ষা, কীভাবে মৃত্যু ও জীবনের অমােঘ টানাপােড়েনে ফুটে উঠছে। উচ্চারণের নকশা— তারই জীব চলচ্ছবি যেন খণ্ডে-খণ্ডে ধৃত এই কাব্যগ্রন্থাবলী ।
Read More