প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Brand: Bangladesh Travel Writers Association
Category: View Card
ইংলিশ থেরাপি লেভেল ২ অর্ডার করলে এয়ার টিকেট ফ্রি ও নিশ্চিত উপহার😍
"Bangladesh Tales From The Delta" Summary of The Book:
বাংলাদেশ ট্রাভেল রাইটার্স এসোসিয়েশন এর একটি এক্সক্লুসিভ প্রকাশনা। খুব ছোট কিন্তু বিশাল। আপনি এটি এক নজর দেখার পর একে ব্যাখ্যা করার জন্য কোনো ভাষা কিংবা অভিধা খুজে পাবেন না। বাংলাদেশের রঙে, রুপে আর সৌন্দর্যে বিমোহিত হতে হতে আপনি ভুলে যাবেন। যে এটা কেবল ১3টা আলোচিত্রের একটা সংগ্রহ মাত্র।
অসাধারণ, অনন্য, অনবদ্য, নান্দন্কি, অনিন্দ্য সব অভিধায় এর সাথে যায়।
ছবিগুলোর মধ্যে রয়েছে:
বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে মরিচ শুকানোর দৃশ্য। লাল ক্যানভাসে চোখ লেগে থাকে বহুক্ষণ। যেন অনেক না বলা কথার চিত্রমালা।
ঢাকার মন্দিরে সনাতন প্রার্থনার প্রদীপগুলো এক পলকে আপনার মনে জ্বালিয়ে দিবে এক পবিত্র দ্বীপশিখা। যেন স্বর্গমত্যলোকের কোনো অপার্থিব সরবিত নিরবতা।
কাঁধে আনারসের ঝুড়ি নিয়ে রাঙামাটির আদিবাসীদের পাহাড়ের ঢাল বেয়ে পথচলা। এই পথ যেন সেখান থেকে শুরু হয়েছে যেখানে সবুজের দেবী বসে আহবানের বীণা বাজায়।
সবুজের তুলি, সবুজ ক্যানভাস, সবুজ রং সবুজের এমন উদ্বেলিত প্রকাশ তবুও প্রতিটি লাইন যেন জীবনের কথা বলে। জলের রেখা যেন হয়ে উঠেছে এক একটি কবিতার চরণ। এমন আকাশ সবুজ করা স্বর্গীয় ছবিটি সিলেটের রাতারগুলের। আপনি এটির দিকে তাকিয়ে থাকবেন ক্লান্তিহীনভাবে অক্লান্তির সীমানা পর্যন্ত।
নরসিংদীতে গণ মাছধরারা এক অপূর্ব দৃশ্য। খুব নৈমিত্তিক কিন্তু মানুষের মুখাবয়বে তা হয়ে উঠেছে অসাধারণ। দিগন্তজোড়া লোকজ ঠিকানা যেন বিন্দু বিন্দু জীবন কণা আশার কণা হয়ে ভাসছে জাগ্রত জলের কোলো। যে জল মানুষকে দিয়ে যায় জীবনের সব উপাদান।
কাপ্তাই লেকের ছবি দেখে প্রথমে মনে হবে কেউ বুঝি নীল আকাশের বুকে খোদাই করে বানিয়েছে তার স্বপ্রের বাড়ী। অথবা গ্রীস দেবী বুঝি ভেলা বানিয়ে ভেষে চলেছে সৌরদিগন্তের পানে। অবারিত জলে রাশি রাশি সবুজ প্রকৃতির রং বিলাসের এক কারুকাজ যেন। মন বলবে ‘‘এথা নয় হেথা নয় চল যাই অন্যকোনো খানে। আজ তবে গাই গান জলের সাম্পানে’’। ঠিক ধরেছেন মন হয়ে উঠতে পারে কবি।
আহারে দূরন্ত কৈশর। এমন আক্ষেপ খুব বেশিক্ষণ থাকবেনা। দিগন্তরেখার কোলঘেঁসে গ্রামের দুষ্টু কিশোরদলের নারিকেল গাছ থেখে লাফিয়ে পানিতে পড়ার দৃশ্যের মধ্য থেকে আবিষ্কার করবেন ৬ জন কিশোরের কোনো একজন হয়তো আপনি। আর আপনার সামনে ধরা দিবে ছেলেবেলার সব দৃষ্টু মিষ্টি অনূভুতি মাখানো স্মৃতি।
‘‘মন মাঝিদের বৈঠা নে রে আমি আর মন বাইতে পারলাম না। সবুজ গাছের পাতাকে পাশে রেখে বৈঠা বেয়ে তর তর করে এগিয়ে চলেছে মাঝির ডিঙ্গি নৌকা। এই নৌকা বৈঠা আমি অন্তত কখনো ফেরত দিতে চাইবনা। কারণ ক্লান্তি এখানে ‘‘প্রবেশ নিষেধ’’। সিলেটে তোলা নদীর বুকে নৌকার এই ছবি যেন বাংলাদেশের পতাকা হয়ে উঠেছে। সবুজের বুকে সবুজ বৃত্ত যেন ভবিষ্যত সমৃদ্ধ বাংলাদেশের আশা দেখায়।
শেষের আগে যদি শুরু হয়, তবে কি শুরুর আগে শেষ? চাপাই নবারগঞ্জে আমের বাজার ছোট একটি ফ্রেম কিন্তু মনে হয় আদিগন্ত অনিশেষ। আম আর মানুষের মিতালী যেন। সারি সারি ঝুড়ি, সাজানো সবুজ আশা, গামছা মাথায় সাদামাটা মানুষগুলো বিচরণ। সাধারণ কিছু দিয়ে যেমন অসাধারণ প্রকাশের মুন্সিয়ানা।
নামায বা প্রার্থনা। খুবি সাধারণ হয়তো মনে হয়। প্রতিদিনের দ্বীপজ্বলা সন্ধ্যা, তারপর দিনান্তের প্রার্থনা, এতো নিত্য দিনের পঞ্জিকা অনুসরণ। কিন্তু বায়তুল মোকাররকম মসজিদে তোলা প্রদীপবেস্টিত প্রার্থনার ছবিও আপনার চোখের নজর কেড়ে নেবে কিছু সময়ের জন্য। বলবেন ও মসজিদের ভেতর নামাজপড়ার দৃশ্যও হতে পারে শৈল্পিক।
‘‘ওই দূর নীলিমায় যতদূর চোখ যায় যেখানে আকাশ ছোঁয় সাগরের ঢেউ, চল না সেখানে যাই’’ যেখানে পানি এবং আকাশ দুটোই নীল সেখানে দিগন্ত রেখা আলাদা করা খুব কঠিন। আর যদি সমুদ্রের দিগন্ত হয় তাহলেতো কথাই নেই। সেন্টমার্টিন দ্বীপের কাছে ছোট ছোট নৌকাগুলো ভেসে চলেছে নীল স্বচ্ছ জলে। ছোট ছোট বিন্দু যেন কোনো মহাকাশ যান। ছুটে চলেছে আদিগন্ত ঠিকানার পানে।
‘‘গ্রাম ছাড়া ওই রাঙামাটির পথ, আমার মন ভোলায়রে’’ যশোরের বেনাপোলের ছবিটা দেখার পর আপনার মনে হবে। এই ছবিটার জন্যই গানটি লিখেছেন রবী ঠাকুর। রাঙাপথের বাঁকে দাড়িয়ে আছে গলাকাটা খেজুরের গাছগুলো। রাঙাপথ ধরে জুতো হাতে নিয়ে চলেছে ডাকঘর নাটকের সে দইওয়ালা। যে অমলকে এক বাটি দই খেতে দিয়েছিলো। আর কথা দিয়েছিলো অমল সুস্থ্য হলে তাকে নিয়ে যাবে তাদের পাহাড়ের কোণ ঘেঁষা সে শ্যামল গায়ে। যেখানে পাহাড়ের গায়ে চরে বেড়ায় গুরু। আর মেয়েরা সব লালশাড়ি পরে জল আনতে যায়। দইওয়ালাকে দেখে আমি অমলের মতো মনের অজান্তে বলেছি ‘‘দঅইইইই, ভালো দইইই।’’
বাংলাদেশ, প্রান্তিক মানুষদের শ্রম ঘামে গড়ে উঠা এক শৈল্পিক ‘‘ব’’ দ্বীপ। এখানে মানুষের জীবনই যেন অনন্ত সীমানার ক্যানভাস। মানুষ জীবন জীবিকা সব যেন এক সূত্রে গাঁথা। আশুগঞ্জ থেকে তোলা এই ছবি যেন শ্রমজীবি নারীদের প্রতিনিধিত্ব করছে।
ছবিগুলো তুলেছেন নূর আহমেদ জিলাল, মুস্তাফিজুর রহমান ও ইন্দ্রনীল কিশোর,
১২টি ছবির প্রত্যেকটি হতে পারে এক একটি উপহার। ভিউকার্ড বা পোস্টকার্ডরুপে ৫ বাই ৮ ইঞ্চির প্রতিটি ছবি। ঝকঝকে সুন্দর ছাপা ও স্পট লেমিনেশন করা। বিশেষ করে কোনো প্রবাসী বা বিদেশীকে এটি উপহার দিলে হয়তো সে ব্যক্তি সারাজীবন আগলে রাখবে এটি।
রিভিউ: জাহাঙ্গীর আলম শোভন
Specification: | |
Title: | Bangladesh Tales From The Delta |
Brand: | Bangladesh Travel Writers Association |
Have a question regarding the product? Ask Us
Please login to write question Login
demo content