"দ্য প্রিন্স" বইয়ের ভূমিকা থেকে নেওয়া হয়েছে বিশ্ব ইতিহাসে কিংবদন্তিতুল্য নাম নিকোলাে মেকিয়াভেলি (১৪৬৯-১৫২৭)। পাঁচশত বছর আগের এই রাজনীতিক, দার্শনিক, কূটনীতিক, ইতিহাসবিধ সর্বোপরি মানবতাবাদী মহাপুরুষের নাম আজও উচ্চারিত হয় মানুষের মুখেমুখে। উচ্চারিত হয় প্রসংশায়। এর কারণ বােধকরি অভিষ্ট অর্জন বা স্বার্থ হাসিলে মেকিয়াভেলি অতুলনীয় প্রজ্ঞা, বুদ্ধির প্রখরতা কিংবা কূটনীতিক চাল তাকে এমন পর্যায়ে উন্নীত করেছে। রাজনীতি তথা রাষ্ট্রতত্ত্ব পঠন-পাঠনে আজও গুরুত্বসহকারে পঠিত হচ্ছে তার বিশ্বখ্যাত গ্রন্থ ‘দ্য প্রিন্স'। অনুশীলন করা করা হয় তার কূটরাজনীতিক পথরেখা। মূলত এই গ্রন্থের বিষয়বস্তুর ওপর ভিত্তি করেই গড়ে উঠেছে বিশ্বখ্যাত মতবাদ | ‘মেকিয়াভেলিবাদ’ বা ‘মেকিয়াভেলিয়ান’। অভিধান থেকে কোষগ্রন্থ সর্বত্রই গুরুত্বপূর্ণ স্থান করে নিয়েছে এই ‘মেকিয়াভেলিবাদ (Machiavellian)। ‘দ্য প্রিন্স’ গ্রন্থের এই গুরুত্বকে সামনে রেখেই এর সহজবােধ্য অনুবাদের উদ্যোগ। এই অনুবাদ প্রথম প্রকাশিত হয় ২০১৫-র আগস্ট-এ। বাংলাদেশে বেশকয়েকটি অনুবাদ প্রচলিত থাকা সত্ত্বেও ‘মুক্তচিন্তা’ এটি প্রকাশে এগিয়ে এসে যে গভীর প্রতীতির পরিচয় দিয়েছিল তা প্রশংসনীয়। প্রায় নির্ভুল (দু-একটি শব্দবিচ্যুতি ছাড়া) এমন একটি গ্রন্থ প্রকাশের কৃতিত্ব ‘মুক্তচিন্ত’-র স্বত্বাধিকারী শিহাব বাহাদুরের। তাকে ধন্যবাদ। এতাে অল্প সময়ে কোনাে অনুবাদ গ্রন্থের প্রথম মুদ্রণ নিঃশেষ হওয়া উৎসাহব্যঞ্জক বটে। সেই উৎসাহের বহিঃপ্রকাশই বর্তমান মুদ্রণ। এই মুদ্রণকে নির্ভুল বলা যায় নির্দ্বিধায়। গ্রন্থের নানা গুণবৈশিষ্ট্য পাঠকসমাজকে আগের মতােই আকৃষ্ট করে মেকিয়াভেলিচর্চায় আগ্রহী করে তুলবে, এমনই প্রত্যাশা।