কতকাল আগের স্বপ্নগুলো আজও বাস্তবায়িত হয়নি। আজও জিব্রালটার প্রণালির জলস্রোত জাহাজ টেনে নিতে পারে, আজও জাবালে তারিকে প্রতিধ্বনিত হয় নৈঃশব্দ্যের হাহাকার—এই শান্ত ও শীতল বাতাসের শোঁ শোঁ ধ্বনি ছাড়িয়ে, আছড়ে পড়া ঢেউ, জলযান ও প্রাণবানদের সরব উপস্থিতিকে ডিঙিয়ে। ইসলামপূর্ব যুগে যাদের কথা বলার ভাষা বলে কিছু ছিল না, সভ্যতার ধারণা বলে কিছু ছিল না নৈঃশব্দ্যে তাদের উপস্থিতি। আজও যারা ভাবে তারা শুরু থেকেই সভ্যভব্য ছিল, তাদের চিন্তা এই নৈঃশব্দ্যের অনুভূতি। মহাকাল পৃথিবীর গর্ভে হারিয়ে যায়, মহাজীবনের সংগীত ভাসে আলোয়-বাতাসে, কতকিছু হয়, কিন্তু অদ্ভুত মানুষের চিন্তা ও ধারণাই শুধু। ছেলেটি হাঁটছে। তার সামনে, পেছনে লবণাক্ত পানির গভীরতা। একদিকে ভূমধ্যসাগর আর একদিকে আটলান্টিক মহাসাগর। সে যদি আজ পৃথিবীর সেই দিনগুলোর কেউ হতো, যখন মানুষেরা জীবন বাঁচানোর জন্যই বেঁচেছে। পৃথিবীর এত সব জটিলতা যখন ছিল না।... প্রতি বস্তুর প্রভাব রয়েছে। মানুষের প্রতিটি চিন্তারও তেমন প্রভাব। আমাদের প্রতিটি আচরণ প্রভাব রাখে, প্রতিটি কাহিনি ছাপ রাখে পৃথিবীর ওপর। ফেলে আসা দিন আজকের কথাই বলে, তা আবার আগামীদিনের ধারণা দেয়। ভোঁ ভোঁ করে ঘুরতে থাকা পৃথিবীর পিথাগোরাসীয় অভ্যস্ততায় ভুলে যাই ঘূর্ণনগতি ও শব্দের কথা, দেখি ঘূর্ণায়মান সবই স্থির। মেঘের ভেসে চলা দেখে থামি, পানিচক্রের কথা আর ভাবি না। ভোরে সূর্যের ভেসে আসা আলোর মতো আমার ভাইয়ের স্নিগ্ধ হাসিটুকু মনকে প্রফুল্ল করে, সুন্দর একটি জীবনের অনুভূতি কিছু ভালোলাগা ও বাঁচার উৎসাহ জড়ো করে। ফুলের স্নিগ্ধতা, সুবাসে হৃদয়ের গভীরে ছড়ায় মানবজগতে কিছু অবদান রেখে যাওয়ার ভালোবাসা, প্রেরণা। কতকাল আগের স্বপ্নগুলো আজও বাস্তবায়িত হয়নি। আজও জিব্রালটার প্রণালির জলস্রোত জাহাজ টেনে নিতে পারে, আজও জাবালে তারিকে প্রতিধ্বনিত হয় নৈঃশব্দ্যের হাহাকার—এই শান্ত ও শীতল বাতাসের শোঁ শোঁ ধ্বনি ছাড়িয়ে, আছড়ে পড়া ঢেউ, জলযান ও প্রাণবানদের সরব উপস্থিতিকে ডিঙিয়ে। ইসলামপূর্ব যুগে যাদের কথা বলার ভাষা বলে কিছু ছিল না, সভ্যতার ধারণা বলে কিছু ছিল না নৈঃশব্দ্যে তাদের উপস্থিতি। আজও যারা ভাবে তারা শুরু থেকেই সভ্যভব্য ছিল, তাদের চিন্তা এই নৈঃশব্দ্যের অনুভূতি। মহাকাল পৃথিবীর গর্ভে হারিয়ে যায়, মহাজীবনের সংগীত ভাসে আলোয়-বাতাসে, কতকিছু হয়, কিন্তু অদ্ভুত মানুষের চিন্তা ও ধারণাই শুধু। ছেলেটি হাঁটছে। তার সামনে, পেছনে লবণাক্ত পানির গভীরতা। একদিকে ভূমধ্যসাগর আর একদিকে আটলান্টিক মহাসাগর। সে যদি আজ পৃথিবীর সেই দিনগুলোর কেউ হতো, যখন মানুষেরা জীবন বাঁচানোর জন্যই বেঁচেছে। পৃথিবীর এত সব জটিলতা যখন ছিল না।... প্রতি বস্তুর প্রভাব রয়েছে। মানুষের প্রতিটি চিন্তারও তেমন প্রভাব। আমাদের প্রতিটি আচরণ প্রভাব রাখে, প্রতিটি কাহিনি ছাপ রাখে পৃথিবীর ওপর। ফেলে আসা দিন আজকের কথাই বলে, তা আবার আগামীদিনের ধারণা দেয়। ভোঁ ভোঁ করে ঘুরতে থাকা পৃথিবীর পিথাগোরাসীয় অভ্যস্ততায় ভুলে যাই ঘূর্ণনগতি ও শব্দের কথা, দেখি ঘূর্ণায়মান সবই স্থির। মেঘের ভেসে চলা দেখে থামি, পানিচক্রের কথা আর ভাবি না। ভোরে সূর্যের ভেসে আসা আলোর মতো আমার ভাইয়ের স্নিগ্ধ হাসিটুকু মনকে প্রফুল্ল করে, সুন্দর একটি জীবনের অনুভূতি কিছু ভালোলাগা ও বাঁচার উৎসাহ জড়ো করে। ফুলের স্নিগ্ধতা, সুবাসে হৃদয়ের গভীরে ছড়ায় মানবজগতে কিছু অবদান রেখে যাওয়ার ভালোবাসা, প্রেরণা।
মাসউদ আহমাদ। তরুণ লেখক ও অনুবাদক। ২০১৪ সালে কুরআন কারিমের হিফজ সম্পন্ন করেন আর বর্তমানে দর্শন অনুষদে অনার্স করছেন। প্রথম অনুবাদ করেন উর্দু কবিতা ও উর্দু থেকে আসলাম রাহির শিশুতোষ ছোটগল্প। তার প্রথম বইটি প্রকাশিত হয় ২০১৮ সালে মাকতাবাতুল হাসান থেকে, ওয়েসিস অফ দ্যা সিস নামে। আর ২০২১-এ প্রকাশিত হয় দ্বিতীয় বই মহাকাশ মহাকাল, স্বরবর্ণ প্রকাশন থেকে। দুটিই ইতিহাস, ভূগোল ও জ্যোতির্বিদ্যানির্ভর কিশোর উপন্যাস। তার আরও কয়েকটি আগ্রহের বিষয় হলো, শিক্ষাবিজ্ঞান, অর্থনীতি, সাহিত্য, সমাজ ও সভ্যতা।