আবহমান বাংলার ঐতিহ্যে লালিত শিক্ষা, সংস্কৃতি ও রাজনীতির লীলাভূমি পাহাড়ি কন্যা গোমতীর দু'কূলে শির উঁচু করে দাঁড়িয়ে যে শ্যামল প্রান্তর তারই স্বনামে খ্যাত দেবিদ্বার। দেবিদ্বার উপজেলার গোপালনগর গ্রামে ব্রিটিশ শাসনামলের স্বনামধন্য মুসলিম জমিদার মরহুম ছানী মোহাম্মদ ভূঁঞা পরিবারে আবদুল আউয়াল ভূঁঞা ১৯৫৫ সালের ৭ মে জন্মগ্রহণ করেন। সৃষ্টিশীল ও প্রতিভাবান আবদুল আউয়াল ভূঁঞা কঠোর অনুশীলন, স্বীয় কর্মে সততা আর অধ্যবসায়ের দ্বারা প্রতিভার বিকাশ ঘটিয়ে জীবনে কীভাবে প্রতিষ্ঠা পাওয়া যায় তার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত তিনি। ১৯৬৮ সালে ছাত্রলীগের পতাকাতলে ছাত্র রাজনীতি শুরু। ১৯৬৯ সালে নবম শ্রেণির ছাত্র থাকাকালীন গোপালনগর উচ্চ বিদ্যালয় ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ১৯৭৪-৭৫ সালে ছাত্র সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে দেবিদ্বার সুজাত আলী সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদে জি.এস. এবং ১৯৮২ সালে দেবিদ্বার উপজেলা যুবলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। তাঁর সুযোগ্য নেতৃত্বে গঠিত হয় ঢাকাস্থ দেবিদ্বার উপজেলা যুব কল্যাণ সমিতি এবং তিনি ছিলেন এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। চাকরিতে থাকাকালীন তিনি শ্রমিক রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হয়ে ১৯৭৯ সালের সিবিএ নির্বাচনে জয়লাভ করে সোনালী ব্যাংক এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশন (৬৬৪) কেন্দ্রীয় নেতা নির্বাচিত হন। সাতটি ব্যাংক সমন্বয়ে গঠিত বাংলাদেশ ব্যাংকস এমপ্লয়িজ ফেডারেশন দপ্তর সম্পাদক নির্বাচিত হন। রাজনৈতিক, লেখক ও গবেষক আবদুল আউয়াল ভূঁঞা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উপর গবেষণামূলক পত্রিকা 'পাক্ষিক আমাদের জুলিও ক্যুরি বঙ্গবন্ধু'-এর সম্পাদক ও প্রকাশক। অন্যদিকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উপর গবেষণামূলক সংগঠন 'জুলিও ক্যুরি বঙ্গবন্ধু শান্তি সংসদ'-এর প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক। এই সংগঠন প্রতি বছর ২৩ মে 'বঙ্গবন্ধু শান্তি পদক' প্রদান করে।