"ডেথ সিটি সমগ্র-২" বইটির প্রথম ফ্ল্যাপ-এর লেখাঃ
মায়াদরজার ওপাশে :
মানুষের পূর্বপুরুষ সম্পর্কে ডারউইনের তত্ত্ব ভুল প্রমাণ করতে বিগফুটের সুড়ঙ্গে ঢুকল তিন বন্ধু অঞ্জন, ফারুক আর ওয়াসিম। বহু গলিখুঁজি পেরােনাের পর হায়িট নামের বিগফুটের দেখা পেল ওরা। চোখের সামনে খুলে গেল আজব এক সময়ের দরজা। বুঝতে পারল, মায়াপথের ভিতর দিয়ে চলে এসেছে বর্তমান। সময় থেকে বহুকাল পেছনের প্রাগৈতিহাসিক পৃথিবীতে।
জিকো ০৯ :
ডেথ সিটি ছােট ছেলেমেয়েরা নাম দিয়েছে শহরটার। অদ্ভুত সব ঘটনা ঘটে এখানে। দৈত্য-দানব ভূতপ্রেতেরা বেরােনাের জন্য সূর্য ডোবার অপেক্ষা করে না...। প্রচণ্ড গরমের দিনে ডেথ সিটির কুখ্যাত দীঘিটার কাছে নামল একটা ভিনগ্রহের স্পেসশিপ। ওটার আরােহীরা চাইছে অঞ্জন আর তার বন্ধুরাও ওতে সওয়ার হােক। জানা নেই শােনা নেই, একেবারেই অপরিচিত প্রাণীদের সঙ্গে স্পেসশিপে চড়তে ওদের ভালাে লাগল না। কিন্তু চড়তে বাধ্য করা হলাে। তারপর যখন হাইপারজাম্প দিল স্পেসশিপ, ওরা বুঝল নতুন পৃথিবীতে পৌছে গেছে, যেটার সবকিছুই একেবারে অস্বাভাবিক। কি আর করা। মানিয়ে নেয়ার চেষ্টা করতে করতে পালানাের পথ খুঁজতে লাগল ওরা...।
মরুগ্রহের যাত্রী :
বনের ভিতর পাথরের গা থেকে বেরিয়ে থাকা একটা কালাে রঙের হাত দেখতে পেল তিন বন্ধু অঞ্জন, ফারুক আর ওয়াসিম। হাতের তালুতে রাখা স্ফটিকের মতাে স্বচ্ছ একটা পাথর। ভীষণ বিপজ্জনক ওই পাথরটার কারণে ওদের চলে যেতে হলাে পৃথিবী থেকে হাজার কোটি আলােকবর্ষ দূরের এক মরগ্রহে, যেটা শাসন। করে সরীসৃপ আকৃতির অতি বুদ্ধিমান প্রাণি ভয়ঙ্কর মার্মান্ডরা। মরুগ্রহে বন্দি হলাে ওরা। গােলামি থেকে মুক্ত হয়ে আবার পৃথিবীতে ফিরতে পারবে কি না কোনােদিন, জানে না।
Read More