প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
রকমারি কালেকশন
TK.
2,270
TK. 1,766 (22.2%)
১৮-২১ জানুয়ারি ৩০০+ টাকার শিশু-কিশোর বই অর্ডার করলেই ১টি শিশুতোষ বই ফ্রি!
No. | Product | Name | Category | Previous Price | Discount | Current Price |
---|---|---|---|---|---|---|
01 |
![]() |
নির্বাসন | Contemporary Novel |
|
20.0% | 472.0 Tk. |
02 |
![]() |
রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও আসেননি | Thriller |
|
30.0% | 350.0 Tk. |
03 |
![]() |
এই পথে আলো জ্বেলে | Historical Novel |
|
15.0% | 391.0 Tk. |
04 |
![]() |
সুখলতার ঘর নেই | Contemporary Novel |
|
15.0% | 272.0 Tk. |
05 |
![]() |
বিষণ্ন শহরের দহন | Contemporary Novel |
|
15.0% | 340.0 Tk. |
Total :1,825 Tk.
504 Tk.
‘নির্বাসন’ বইয়ের ফ্ল্যাপের কথাঃ
মনসুর গাঢ় কণ্ঠে বললো, ‘একটু শুনবেন?’
কণা বললো, জি, বলুন?
আপনার হাতটা একটু দেখি?
কণা ভারি অবাক হলো। সে রাজ্যের দ্বিধা ও কৌতূহল নিয়ে তার ডান হাতখানা বাড়ালো। মনসুর তার হাতের তালুতে কিছু একটা রাখলো। কোনো চিরকুট কি? কণা তখনো জানে না। সে শুধু জানে, এই ভ্যাপসা গরম আর অদ্ভুত নৈঃশব্দ্য ভেদ করেও তার বুকের ভেতর শিরশির করে ঢুকে যাচ্ছে উত্তুরে হাওয়া, পাখির কোলাহল, অজস্র শব্দ, কম্পন ও কান্না। মনসুর কণার হাতের আঙুলগুলোকে আলতো স্পর্শে মুঠো করে দিলো।
সেই মুঠোর ভেতর কি? চিঠি?
কণা জানে না। সে কেবল জানে, তার সারা শরীর কাঁপছে। বুকের ভেতর বয়ে যাচ্ছে শ্রাবণের উথালপাথাল নদী। সেই নদী ভাসিয়ে নিতে জানে মন ও মানুষ।
সেই রাতে, যখন বাড়ির সবাই ঘুমুচ্ছে, ঠিক তখন কণা তার ঘরের হারিকেনের মৃদু আলোটাকে আরো খানিক মৃদু করে দিয়ে খুব গোপনে চিরকুটখানা খুললো। সে শুনেছে ডাক্তারদের হাতের লেখা জঘন্য হয়। কিন্তু মনসুরের হাতের লেখা মুক্তোর মতো ঝকঝকে। একটা ধবধবে সাদা কাগজে সে লিখেছে:
‘কণা,
এই যে কিছুক্ষণ আগে চিঠিটা দেয়ার সময় আমি ইচ্ছে করেই আপনার হাত স্পর্শ করেছি, আপনি কি তা বুঝতে পেরেছেন? কেন করেছি জানেন? করেছি এটি বোঝার জন্য যে আপনি আমার মনের কোনো কল্পনা ননতো?
আপনি যদি সত্যি না হয়ে মিথ্যে হন, আমার কল্পনা বা স্বপ্ন হন, তাহলে বিষয়টা খুব বিচ্ছিরি হবে। খুব।
আপনিবিহীন এই পৃথিবীটা কী ভীষণ জঘন্য!'
শেষের লাইনটা কণা আরো বার কয়েক পড়লো। তারপর আরো বার কয়েক। তারপর আবারও। পড়তেই থাকলো। পড়তেই থাকলো। তারপর তার আচমকা মনে হলো, আচ্ছা মানুষটা এত সুন্দর করে কী করে বললো, আপনিবিহীন এই পৃথিবীটা কী ভীষণ জঘন্য!
কণা তাকালো, বাইরে অন্ধকার। একনাগাড়ে ঝিঁঝি। পোকা ডেকে যাচ্ছে। চাঁদ কী উঠেছে? সে জানে না, কিন্তু সে এটা জানে, ওই মানুষটাকে ছাড়া তার জগৎটাও কী যে জঘন্য, কি ভীষণ জঘন্য!
রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও আসেননিঃ
তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে মুশকান জুবেরিকে খুঁজে যাচ্ছে নুরে ছফা। তবে সে একা নয়, প্রবল ক্ষমতাবান আরেকজনও মরিয়া হয়ে উঠছে রহস্যময়ি এই নারীকে খুঁজে পেতে। সেই ক্ষমতাবানের সাহায্য নিয়ে নতুন উদ্যমে নেমে পড়ে ছফা, দ্রুতই আবিষ্কার করে মুশকান সম্পর্কে এতোদিন যা জানতো সবটাই মিথ্যে। বরং এখনকার গল্পটি অনেক বেশি যৌক্তিক আর বাস্তব। সত্য-মিথ্যার এক গোলকধাঁধায় ঢুকে পড়ে সে। কিন্তু তার কোন ধারণাই নেই, মুশকানের মুখোখুখি হলে কোন সত্যটি জানতে পারবে। এতোদিন এই রহস্যময়ি কোথায় ছিলো-এ প্রশ্নের চেয়েও বড় হয়ে ওঠে, কিভাবে ছিলো! আর পাঠক যখন সেটা জানতে পারবে তখন আরেকবার শিহরিত হবে, আবিষ্কার করবে মুশকানের প্রহেলিকাময় জগত।
‘এই পথে আলো জ্বেলে’ বইয়ের ফ্ল্যাপের কথাঃ
বেগম মুজিব দাওয়াত করেছেন কয়েকজনকে। কিশোর কামাল সেতার বাজিয়ে শোনাল। শেখ মুজিব গান ধরলেন, ভাটিয়ালি গান।
ধানমন্ডির বাসায় বসে কামরুদ্দীন আহমদ সে-স্মৃতি চারণ করছেন যখন, তখন শেখ মুজিব কারাগারে। ছয় দফা দেওয়ার পর আইয়ুব খান তাঁকে একটার পর একটা মামলা দিয়ে বন্দী করে রেখেছে। কিন্তু দেশের মানুষ রক্তের দামে ছয় দফা দাবিকে অপরিহার্য করে তুলছে।
তাজউদ্দীন আহমদসহ নেতারা কারাগারে। মওলানা ভাসানী অসুস্থ, তাঁর জন্য খাবার রেঁধে নিয়ে যাচ্ছেন রেনু। ওয়াজেদ মিয়ার সঙ্গে আক্দ হলো শেখ হাসিনার। ছোট্ট রাসেল কারাগারে আব্বার গলা ধরে বলতে লাগল, ‘আব্বা, বালি চলো।’
এক মধ্যরাতে সৈন্যরা মুজিবকে কারাগার থেকে বের করে নিয়ে যাচ্ছে অজানার দিকে। মুজিব কারাগারের সামনের রাস্তা থেকে একমুঠো ধুলো নিয়ে বললেন, আমার এই দেশেতে জন্ম যেন এই দেশেতে মরি। দেওয়া হলো আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা। প্রতিবাদে জেগে উঠল সারা দেশ। মওলানা ভাসানী বললেন, খামোশ! ছাত্ররা দিল এগারো দফা। সমগ্র দেশ ফুঁসে উঠল অগ্নিগিরির মতো। মুজিব প্যারোলে মুক্ত হচ্ছেন—এ খবর শুনে সন্তানদের নিয়ে মুজিবের কাছে ছুটে গেলেন রেনু, ‘খবরদার, তুমি প্যারোলে মুক্তি নিবা না, জামিন নিবা না!’
‘সুখলতার ঘর নেই’ বইয়ের ফ্ল্যাপের কথাঃ
মাছেদেরও সমাজজীবন আছে। আছে মৎস্যসম্প্রদায়। তাদের আছে প্রেম-অপ্রেম, রিরংসা-ক্রোধ। প্রয়োজনে এরা লুণ্ঠন করে, রাহাজানি করে। যুদ্ধও করে। তাদের চিকিৎসক আছে। গায়ের রং আর্জেন্টিনার ফুটবলারদের জার্সির মতো।
পাঙাশ রতিকান্তের সঙ্গে ইলিশিনী সুখলতার গভীর প্রেম। খেপে ওঠে ঘোঁওড়া মোড়ল পঞ্চানন ওরফে পঞ্চু সরদার। কিন্তু জগাই কেন সুখলতাকে অপহরণ করল? সোমনাথ ইলিশ কন্যার লুণ্ঠনের পর কী করল? মাছেদের মধ্যে যুদ্ধ অবশ্যম্ভাবী হয়ে উঠল কেন? যুদ্ধে কার জয় হলো? যার জন্য যুদ্ধ, সেই সুখলতা কি ফিরে পেল দাম্পত্যজীবনের গৃহকোণটি? মুক্তি পেয়ে কেন সুখলতা চিন্তামণির হাঁ করা জালের মুখে নিজেকে ভাসিয়ে রাখল? কেন এই আত্মহত্যা? বিনোদ সরদার কে? মৎস্যসমাজে হীরামোহন ডাক্তারের ভূমিকা কী? রতিকান্ত প্রেমিক, না স্ত্রী-হন্তারক? এসব প্রশ্নের উত্তর আছে সুখলতার ঘর নেই উপন্যাসে।
এই উপন্যাসের পটভূমি বঙ্গোপসাগরের জলতল। হরিশংকর জলদাস মাছেদের মুখে কথা বসিয়ে মৎস্যজীবনের গল্প বলেছেন। এত দিন মৎস্যজীবীদের আখ্যান শুনিয়েছেন তিনি, সুখলতার ঘর নেই-এ শোনাচ্ছেন মৎস্যজীবনের বৃত্তান্ত। এ আখ্যান অনাস্বাদিতপূর্ব। অকল্পনীয়ও বটে।
Title | বইমেলা ঊনিশের যে ৫টি উপন্যাস পড়তেই হবে |
Author | আনিসুল হক , সেলিনা হোসেন , হরিশংকর জলদাস , সাদাত হোসাইন , মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন |
Publisher | রকমারি কালেকশন |
Number of Pages | 1472 |
Country | বাংলাদেশ |
Language | বাংলা |
Have a question regarding the product? Ask Us
Please log in to write question Log in
Help: 16297 24 Hours a Day, 7 Days a Week
Pay cash on delivery Pay cash at your doorstep
Service All over Bangladesh
Happy Return All over Bangladesh