স্বপ্নের ক্যাম্পাস বইটির ট্যাগ লাইন হচ্ছে ‘উচ্চ শিক্ষার স্বপ্ন ও বিশ^বিদ্যালয় ভর্তি প্রস্তুতি পরামর্শ’। উচ্চ শিক্ষা নিয়ে আমাদের মধ্যে যে অজ্ঞতা রয়েছে, সেটার জন্য প্রতি বছর আমাদের দেশের হাজার হাজার ছেলে-মেয়ে বিশ^বিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষাতে অকৃতকার্য হয় এবং নিজের স্বপ্ন পূরণ করতে পারেনা। শুধু গাঁধার মতো পরিশ্রম করলেই সফল হওয়া যায় না। আর বিশ^বিদ্যালয়ে পড়ার স্বপ্ন পূরণের সুযোগও বারবার পাওয়া যায় না। ভর্তি পরীক্ষায় সফল হতে চাইলে প্রয়োজন সঠিক দিক-নির্দেশনা এবং পরিশ্রম। এই বইটি একজন ভর্তি পরীক্ষার্থীকে ধাপে ধাপে গাইড করবে এবং নিজেকে প্রস্তুত করার সকল দিক নির্দেশনা দিবে। বইটি লিখতে গিয়ে বুয়েট, ঢাকা মেডিকেল, ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়, বাংলাদেশ কৃষি বিশ^বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ^বিদ্যালয়ে পড়–য়াদের সাথে পরামর্শ করে সকল বিশ^বিদ্যালয়ে চান্স পাওয়ার প্রস্তুতি কৌশল ধাপে ধাপে আলোচনা করা হয়েছে। কাজেই তুমি ইঞ্জিনিয়ারিং এর প্রস্তুতি নাও বা মেডিকেল প্রস্তুতি নাও অথবা সাধারণ বিশ^বিদ্যালয়ের কিংবা কৃষির প্রস্ততি নাও; এই বইটা তোমাকে সঠিক দিক-নির্দেশনা দিতে পারবে। ভর্তি পরীক্ষাতে ভালো করার কৌশলগুলো মূলত একই। প্রশ্নব্যাংক সমাধান করা, টেক্সটবুক গুরুত্ব দিয়ে পড়া, বিশ্লেষণাধর্মী কার্যকরী পড়াশোনার টিপস, রিয়েল চ্যালেঞ্জ এবং প্রতিযোগিতার মাত্রা, ব্যর্থতার কারণসমূহ, সফল ভর্তি পরীক্ষার্থীদের গল্প, ব্যর্থ ভর্তি পরীক্ষার্থীদের গল্পসহ নানান ধরনের অভিজ্ঞতা শেয়ার করা হয়েছে, যা একজন ভর্তি পরীক্ষার্থীকে সঠিক সিদ্ধান্ত ও পদক্ষেপ নিতে সহযোগিতা করবে। কাজেই এই বইটি হতে পারে একজন শিক্ষার্থীর স্বপ্ন পূরণের পথপ্রদর্শক। একজন শিক্ষার্থী কীভাবে হাই স্কুল বা কলেজে পড়াশোনা কালীন সময় থেকেই বেসিক স্ট্রং করার মাধ্যমে নিজেকে বিশ^বিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত করতে পারে সেসব নিয়েও কথা বলা হয়েছে। বইটি মূলত লেখা হয়েছে উচ্চ শিক্ষা প্রত্যাশী শিক্ষার্থীদের জন্য। বইটি পড়া একটি দারুণ বিনিয়োগ হবে
লেখক পরিচিতিঃ জোনাইদ আল হাবীব রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ থেকে স্নাতক করেছেন। তিনি একজন উদ্যোক্তা, যিনি শিক্ষাদ্যোক্তা হিসেবে সফল। ২০১৭ সালে লেখকের প্রথম স্টার্টআপ ব্যর্থতায় রূপ নিলেও, ২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠিত Habib's English Care যথেষ্ঠ সফল। তার এই প্রতিষ্ঠান থেকে ইংরেজি পড়ে ২৪ জনেরও বেশি শিক্ষার্থী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে জায়গা করে নিয়েছে। তিনি মনে করেন চাকরি করে দেশের জন্য যতটুকু অবদান রাখা যায়, তার চাইতেও বেশি রাখা যায় চাকরি তৈরী করে । তাই তার জীবনের লক্ষ্যই হচ্ছে একজন সফল উদ্যোক্তা হয়ে হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখা। ছাত্রজীবনের বিভিন্ন সময়ে তিনি ৪/৫ টি ভলান্টিয়ারিং সংগঠনের সাথে কাজ করেছেন। অংশ গ্রহণ করেছেন ২০ টির বেশি ওয়ার্কশপে । বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করা লেখকের নেশা। অনেক ব্যর্থতা থাকা সত্বেও দুইটি প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন, তিনটিতে প্রথম রানার আপ এবং একটিতে দ্বিতীয় রানার আপ হয়েছেন। লেখক মনে করেন, তরুণরাই পারে দেশটাকে বদলে দিতে । এজন্য তরুণদের দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তোলার দিকে নজর দিতে হবে। তাই তিনি তার অর্জিত বিভিন্ন জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা প্রতিনিয়ত শেয়ার করে যাচ্ছেন বিভিন্ন ভিডিও টিউটোরিয়ালের মাধ্যমে যা ফেসবুক, ইউটিউব ও ইনস্টাগ্রামে আছে।