"দীপ্ত কৈশোর" বইটির প্রথম ফ্ল্যাপ-এর লেখাঃ জীবনের রহস্যময় অধ্যায়ের নাম ‘কৈশাের’। অজস্র প্রশ্ন এসে এ সময় ভিড় করে মাথায়, যার উত্তর কখনাে জানা, কখনাে অজানা। এক অদ্ভুত ঘােরের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত হতে শুরু করে হঠাৎ বদলে যাওয়া জীবন। শৈশবের প্রশ্নহীন সারল্য, সবার অসীম প্রশ্রয় আর অপার স্নেহের ধারায় বয়ে চলা জীবন এসে ধাক্কা খায় বাস্তবতার গায়ে। এটা কী, ওটা কেন হয়, সেটার কারণ কী- এমনি অসংখ্য প্রশ্নে বিভাের কিশাের-কিশােরীর সামনে কেউই খুলতে চায় না উত্তরের জানালা। বরং তার বিপরীতে সারাক্ষণ শুনতে হয়, এখন তুমি বড় হয়েছ, এটা করাে না, ওটা ধরাে না, ও কথা বলতে নেই, ওভাবে চলতে নেই’ ইত্যাদি। কিন্তু কেন এতসব বিধি-নিষেধ, সে কথা কেউ বলে না। অথচ প্রশ্নগুলাের উত্তর যে জানা চাই-ই চাই। কিশাের মনের এমনই সব প্রশ্নের উত্তর দিতে এগিয়ে এসেছে। এক স্বর্ণকিশােরী দীপ্তি চৌধুরী। মেধা ও বুদ্ধিতে স্বর্ণকিশােরীর খেতাবপ্রাপ্ত দীপ্তি তার নিজ জীবনের অভিজ্ঞতায় প্রশ্নগুলাের উত্তর খুঁজেছেন, জানাতে চেয়েছেন সমবয়সি সকলকে। দীপ্ত কৈশাের’ বইটিতে যে বিষয়গুলাের অবতারণা তিনি করেছেন, তা যে কিশাের-কিশােরীদের জন্য বিশেষ প্রয়ােজনীয়, সে কথা নিঃসন্দেহে বলা যায়। এই বয়সিরা এ সময় কীভাবে জীবনকে দেখছে, দেখতে চায়; তার বিবরণ ও বিন্যাসে ঋদ্ধ হয়েছে বইটি। তার এ উদ্যোগ প্রশংসনীয়। ‘দীপ্ত কৈশাের’ দিয়ে দীপ্তির বই প্রকাশের শুরু। কৈশােরেই বই প্রকাশের এ দুরন্ত সাহস দেখানােয় অশেষ অভিনন্দন দীপ্তিকে। আপন প্রতিভায় তিনি বহুদূর এগিয়ে যাবেন- এটা স্বাভাবিক প্রত্যাশা। বইটির বহুল প্রচার হােক- সে শুভকামনা নিরন্তর। রাম চন্দ্র দাস কবি, কথাসাহিত্যিক, গীতিকার, সুরকার ও সংগীতশিল্পী মহাপরিচালক (গ্রেড-১) মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়