সম্পাদকীয় কিছু আবেগ অনুভব এবং সত্য লিখিত হয়ে গল্প কিংবা কবিতা হয়ে যায়। লেখা হয়ে যাবার পর সেই লেখার প্রতি লেখকের একটি দায়িত্ব রয়ে যায় পাঠকের কাছে তুলে ধরার। কিছু লেখা প্রকাশিত হয় কিছু অপ্রকাশিত থেকে যায়। পাঠকের পছন্দ অপছন্দের দায়ভার লেখকের পক্ষে নেয়া খুবই কঠিন। প্রতিটি মানুষের রুচির ভিন্নতা রয়েছে যেখানে লেখক জবরদস্তি ঢুকতে পারেন না। স্বাধীনতা এবং বিজয়ের পঞ্চাশ বছর চলছে, যে মানুষের অবদানে পৃথিবীর মানচিত্রে একটি নিজস্ব স্থান করতে পেরেছে বাংলাদেশ তাঁর সম্পর্কে লেখা খুব যে সহজ কাজ তা নয়। এই সংকলনের অনেক লেখক তাঁর জীবনের সেরা লেখাটি লিখতে চেয়েছেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে এ যাবৎকাল যত লেখা রচনা হয়েছে পৃথিবীতে আর কাউকে নিয়ে এতো লেখা রচিত হয়েছে এমনটা আমার জানা নেই। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের এই গ্রন্থের মূল বিষয়। এখানে সকল লেখাই পাঠকের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠবে এমন না হতে পারে। এই গ্রন্থের সম্পাদনার কাজটির ক্ষেত্রে মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধুর জীবন কথা, পনেরো আগস্ট পঁচাত্তর, একাত্তর প্রাধান্য পেয়েছে। নামকরণের বিষয়টি কবি নাহিদা আশরাফীর কবিতা থেকে তার সঙ্গে আলোচনা করে নেয়া হয়েছে। এই গ্রন্থে যেমন সিনিয়র কবিদের লেখা রয়েছে তেমন রয়েছে এ প্রজন্মের তরুণ লেখকদের লেখা। বঙ্গবন্ধু এবং তাঁর জীবন থেকে মৃত্যু পর্যন্ত তথ্যগুলো সবার জানা। কিছু তথ্য নিরপেক্ষ ভাবে নতুন প্রজন্মের কাছে বঙ্গবন্ধুকে সাহিত্যের মাধ্যমে চিনতে জানতে সহায়তা করবে এবং দেশ প্রেমে তাদের অনুপ্রাণিত করবে সেই চেষ্টাই করেছি। বইটি প্রকাশে সার্বিক সহায়তা করেছে অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে এ প্রজন্মের তরুণ লেখক এবং প্রকাশক মোর্শেদ আলম হৃদয়। বইটি করতে যেয়ে এতো লেখকদের আগ্রহ প্রকাশ আমাকে আপ্লুত করেছে কিন্তু সীমাবদ্ধতার কারণে অনেক ভালো লেখা অন্তর্ভুক্ত করা সম্ভব হয়নি। ক্ষমাপ্রার্থী সেই সকল লেখকদের কাছে। আশাকরি গ্রন্থটি পাঠকের কাছে প্রিয় হয়ে উঠবে।