বিংশ ও একবিংশ শতাব্দীর সন্ধিক্ষণ। বাংলাদেশের গ্রাম পাল্টে শহরে রূপ নিচ্ছে। অসংখ্য পাঠ্য বইয়ের বোঝা কাঁধে চড়িয়ে শিক্ষার্থীরা যখন ক্লান্ত, তেমনি সময় আসে করোনা ভাইরাস। বিদ্যালয় বন্ধ। অনলাইন শিক্ষার সুযোগে শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছায় আধুনিক মোবাইল ফোন। তথ্য-প্রযুক্তির প্রসার ব্যাপক। একসময় যে শিক্ষার্থীদের পাঠ্য বইয়ের বোঝা বয়ে মেরুদন্ড সামনে ঝুঁকে পড়তো। এখন তারা ঘন্টার পর ঘন্টা মোবাইল আসক্তিতে ঝুঁকে থাকে। নত মাথা আর উঁচু করতে চায়না। চিকিৎসকগণের অভিমত- আধুনিক মোবাইল, ট্যাব, কম্পিউটার, ল্যাপটপের রেডিয়েশনে মানুষের চোখ, মস্তিস্কের ক্ষতি হয়। বিদেশীদের অনুকরণ প্রবণতা, হতাশা, উচ্চাকাঙ্খা সহ নেতিবাচক মানসিকতা প্রভাব বিস্তার করে। স্বাভাবিক আচরণ বদলে যায়। বাংলার চিরায়ত সংস্কৃতিতে প্রভাব ফেলে বিদেশীরা। কিন্তু কে মানে এসব? এমন সময় শান্তির এক জনপদ অশান্ত, ভয়ার্ত হয়ে ওঠে। চাউর হয়- মোবাইলে নাকি ভূত ভর করে! সেই ভূত রাগলে রাক্ষস রূপ নেয়! মানুষের মন মোহাচ্ছন্ন রেখে বিপথগামী করে। আচরণ পাল্টে দেয়। আত্মহত্যা, হত্যা, মারামারি, অশান্তি লেগেই থাকে। সেই ভূত দেখতে যেন আকাশ ছোঁয়া! তীব্র তার তেজষ্ক্রিয়া। মানুষ-প্রকৃতির রূপ, রস চুষে নেয়! কেন এসব করে, কোথায় থাকে সেই ভূত? কী চায় সে? নিকটজন হারানো দুই কিশোর বয়সী বন্ধু মোবাইল ভূতের খোঁজে যাওয়ার কথা ভাবে। এজন্যে তারা ফেলুদা, শার্লক হোমস সহ অনেক গোয়েন্দা বই পড়ে। গোয়েন্দা সিনেমা দেখে। তারপর একদিন খুদে গোয়েন্দা সেজে ভূতের খোঁজে যায়। জানতে পারে অনেক কিছু, পেয়ে যায় বাঁচার উপায়...