বিংশ শতাব্দীর আট দশকের পঙ্কিল পরিপ্রেক্ষিতে যারা বাংলাদেশের কবিতায় বাঁক বদলে সক্রিয় আছেন কবি আসাদ মান্নান তাঁদের মধ্যে প্রখর উজ্জ্বল। দেশ প্রেম তাঁর কবি স্বভাবের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রবণতা। তাঁর দেশপ্রেমের স্বরূপ বুঝতে হলে আমাদের মুক্তযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধের মহানায়ক বঙ্গবন্ধু ও পঁচাত্তর পরবর্তী বাংলাদেশের ইতিহাস জানতে হবে। বঙ্গবন্ধুর প্রসঙ্গ স্বতন্ত্রভাবে নানামাত্রায় তাঁর কবিতায় উঠে এসেছে। অন্ধকারাচ্ছন্ন সেই পঁচাত্তরেই যে-গুটিকয় কবির কলমে বঙ্গবন্ধুর অগ্নি-উদ্গারী নাম উচ্চারিত হয় আসাদ মান্নান তাঁদেরই একজন। ইতোপূর্বে বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বর্ষে 'এলিজি মুজিব নামে' ও ‘তিনি পিতা মৃত্যুহীন' শিরোনামে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে তাঁর দুটি কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। ‘পিতা ও পতাকা' কাব্যে তারই ধারাবাহিকতায় একইসঙ্গে স্বাপ্নিক ও পিতৃহত্যার প্রতিশোধে জ্বলে ওঠা সন্তানের অপূর্ব অভিযান রচিত হয়েছে। জাতির পিতা ও বঙ্গমাতার অসাভাবিক বিদায় জনিত কান্না ও হাহাকার ধ্বনিত হয়েছে। বাঙালি জাতির এ কান্না ও হাহাকারকে আর কোনো শব্দশিল্পী এমন বাঙ্ময় চিত্ররূপে প্রকাশ করেননি। মহাকাল বিচার করবে মহাকাব্যিক জীবনের অধিকারী বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখা আসাদ মান্নানের এ কবিতাগুলোকে। এছাড়াও এ কাব্যে রয়েছে জাতির পিতার রক্তের উত্তরাধিকারী জননেত্রী শেখ হাসিনার পিতার অসমাপ্ত বহুমাত্রিক স্বপ্নজয়ের অসম্ভব অর্জনের সব কীর্তিগাথা। পাঠক অবশ্যই এ কবিতাগুলো পাঠ করে আক্রান্ত হবেন। বিংশ শতাব্দীর আট দশকের পঙ্কিল পরিপ্রেক্ষিতে যারা বাংলাদেশের কবিতায় বাঁক বদলে সক্রিয় আছেন কবি আসাদ মান্নান তাঁদের মধ্যে প্রখর উজ্জ্বল। দেশ প্রেম তাঁর কবি স্বভাবের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রবণতা। তাঁর দেশপ্রেমের স্বরূপ বুঝতে হলে আমাদের মুক্তযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধের মহানায়ক বঙ্গবন্ধু ও পঁচাত্তর পরবর্তী বাংলাদেশের ইতিহাস জানতে হবে। বঙ্গবন্ধুর প্রসঙ্গ স্বতন্ত্রভাবে নানামাত্রায় তাঁর কবিতায় উঠে এসেছে। অন্ধকারাচ্ছন্ন সেই পঁচাত্তরেই যে-গুটিকয় কবির কলমে বঙ্গবন্ধুর অগ্নি-উদ্গারী নাম উচ্চারিত হয় আসাদ মান্নান তাঁদেরই একজন। ইতোপূর্বে বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বর্ষে 'এলিজি মুজিব নামে' ও ‘তিনি পিতা মৃত্যুহীন' শিরোনামে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে তাঁর দুটি কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। ‘পিতা ও পতাকা' কাব্যে তারই ধারাবাহিকতায় একইসঙ্গে স্বাপ্নিক ও পিতৃহত্যার প্রতিশোধে জ্বলে ওঠা সন্তানের অপূর্ব অভিযান রচিত হয়েছে। জাতির পিতা ও বঙ্গমাতার অসাভাবিক বিদায় জনিত কান্না ও হাহাকার ধ্বনিত হয়েছে। বাঙালি জাতির এ কান্না ও হাহাকারকে আর কোনো শব্দশিল্পী এমন বাঙ্ময় চিত্ররূপে প্রকাশ করেননি। মহাকাল বিচার করবে মহাকাব্যিক জীবনের অধিকারী বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখা আসাদ মান্নানের এ কবিতাগুলোকে। এছাড়াও এ কাব্যে রয়েছে জাতির পিতার রক্তের উত্তরাধিকারী জননেত্রী শেখ হাসিনার পিতার অসমাপ্ত বহুমাত্রিক স্বপ্নজয়ের অসম্ভব অর্জনের সব কীর্তিগাথা। পাঠক অবশ্যই এ কবিতাগুলো পাঠ করে আক্রান্ত হবেন।
সত্তর দশকের অন্যতম প্রধান কবি আসাদ মান্নান। মূল নাম : আবদুল মান্নান। জন্ম ৩ নভেম্বর ১৯৫৭ সালে চট্রগ্রামের সন্দ্বীপে। চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলাসাহিত্যে বিএ অনার্স, এমএ করেছেন। ১৯৮১ সালে কর্মজীবন শুরু করেন স্কুল-কলেজে শিক্ষকতা দিয়ে। পরে রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার, তথ্য মন্ত্রণালয়ে অতিরিক্ত সচিব, বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালক (২০১৪-২০১৬), সরকারের সচিব হিসেবে বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য পদে কর্মরত ছিলেন। সবশেষে সচিব হিসেবে তিনি পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য পদে দায়িত্ব পালনের পর সিভিল সার্ভিস থেকে অবসর গ্রহণ করেন ২০১৭ সালের নভেম্বর মাসের ২ তারিখে। বর্তমানে তিনি একটি সাংবিধানিক পদে বাংলাদেশ পাবিলিক সার্ভিস কমিশনের সদস্য হিসেবে বিগত ২৪ জুন ২০১৮ তারিখ থেকে কর্মরত আছেন। ১৯৭৭ ও ১৯৭৮ সালে পরপর দুবার তিনি দেশের শ্রেষ্ঠ তরুণ কবি হিসেবে স্বীকৃতি স্বরূপ বাংলাদেশ সাহিত্য পরিষদ পুরস্কার লাভ করেন। এছাড়াও তার উল্লেখযোগ্য সম্মাননা ও স্বীকৃতির মধ্যে রয়েছে: জীবনানন্দ দাশ পুরস্কার-২০০৮, কবিকুঞ্জ পদক-২০১১, কবিতালাপ সম্মাননা ও পদক–২০১৩, কর্ণফুলী সাহিত্য পদক; রাজশাহী সাহিত্য পরিষদ পদক ও সম্মাননা; পুনশ্চ পদক; মাওলানা আবদুর রশীদ তর্কবাগীশ সাহিত্য পুরস্কার খড়িমাটি সন্মাননা ইত্যাদি। ১৯৭৩ সাল থেকে লেখালেখির জগতে আত্মপ্রকাশ। প্রথম উল্লেখযোগ্য কবিতা ‘সহসা আগুন জ¦লে যমুনার জলে’ রচনা কাল ১৬ আগস্ট ১৯৭৬। প্রথম সম্পন্ন কবিতা লিখেন ১৯৭৬ সালে আগস্ট মাসে। কবিতার নাম–‘সবুজ রমণী এক দুঃখিনী বাংলা’। মৌলিক রচনার পাশাপাশি অনুবাদও করেছেন। উল্লেখযোগ্য প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ : সুন্দর দক্ষিণে থাকে, সূর্যাস্তের উল্টোদিকে, সৈয়দ বংশের ফুল,দ্বিতীয় জন্মের দিকে, ভালোবাসা আগুনের নদী, তোমার কীর্তন, যে-পারে পার নেই সে-পারে ফিরবে নদী, হে অন্ধ জলের রাজা, নির্বাচিত কবিতা, প্রেমের কবিতা ইত্যাদি। বাংলাদেশের রাজনীতি এবং সামাজিক আন্দোলনের তাঁর কবিতা অগ্রণী ভুমিকা পালন করে আসছে।