ভূমিকা আগেই বলে রাখি ১৮৯৮ সালে ষোলতম সংস্করণ হওয়া প্রাইমারি স্কুলের জন্যে লেখা এই বইটি থেকে কেউ গনিত শিখবে সেই আশা করে এটি পুনর্মুদ্রণ করা হয়নি। আমার হাত যখন এই বইটি এসেছে আমি তখন তার পৃষ্ঠা উল্টিয়ে আনন্দে আটখানা হয়েছি- আমার ধারণা এই দেশে আমার মতো আরো অসংখ্য মানুষ আছেন যারা এই বইটি দেখে আমার মতো কিংবা আমার থেকে বেশি আনন্দ পাবেন! আমরা যখন ছোট ছিলাম তখন হঠাৎ হঠাৎ বয়স্ক মানুষের মুখে ‘শুভঙ্করী’ নামে গনিত বিষয়ক কবিতা শুনতে পেতাম ,সেই শুভঙ্করী কবিতা বা আর্য্যাগুলো এই বইয়ে আছে, তাই বইটা হাতে নিয়ে আমার কাছে সেটাকে রীতিমতো সোনার খনি বলে মনে হয়েছে। আজকালকার ছেলেমেয়েরা জানে বৃত্তের ক্ষেত্রফল হচ্ছে πr২ ,সেটা নিয়েও যে শুভঙ্করীর আর্য্যা আছে সেটা কতজন জানে? ব্যাসার্দ্ধকে তাই দিয়া পুরন করিবে। ফলের বাইশ গুন লইতে হইবে।। পাইবে যে অঙ্ক তাকে সাত দিয়া হর। শিশু সবে এইরুপে বৃত্তকালি কর।। কিংবা আরো চমকপ্রদ হচ্ছে নৌকাতে কতটুকু মাল বোঝাই করা যায় তার শুভঙ্করী আর্য্যা: দৈর্ঘ্য নৌকা হাত যত , প্রস্থ দিয়া পূর তত। চাড়া দ্বিগুন করে গুন, যত হাত তত মণ।। সরঞ্জামি তাহা হতে, বাদ দিয়া হবে লতে। দশ মণে এক মণ, বাদ দাও বাছাধন। বাকি অঙ্ক রবে যত , কুত মাল হবে তত।। এই প্রজন্মের মানুষ কী কখনো কল্পনা করতে পারবে যে নৌকা বোঝাইয়ের ওপরেও শুভঙ্করী আর্য্যা লেখা সম্ভব?