মহিষাসুরমর্দিনী দুর্গা image

মহিষাসুরমর্দিনী দুর্গা (হার্ডকভার)

by দেব সাহিত্য কুটীর

Total: TK. 360

  • Look inside image 1
  • Look inside image 2
  • Look inside image 3
  • Look inside image 4
  • Look inside image 5
  • Look inside image 6
  • Look inside image 7
  • Look inside image 8
  • Look inside image 9
  • Look inside image 10
  • Look inside image 11
  • Look inside image 12
  • Look inside image 13
মহিষাসুরমর্দিনী দুর্গা

মহিষাসুরমর্দিনী দুর্গা (হার্ডকভার)

1 Rating  |  1 Review
TK. 360

বইটি বিদেশি প্রকাশনী বা সাপ্লাইয়ারের নিকট থেকে সংগ্রহ করে আনতে আমাদের ৩০ থেকে ৪০ কর্মদিবস সময় লেগে যেতে পারে।

book-icon

বই হাতে পেয়ে মূল্য পরিশোধের সুযোগ

mponey-icon

৭ দিনের মধ্যে পরিবর্তনের সুযোগ

Friday Buyday Offer image

Customers Also Bought

Product Specification & Summary

শক্তিপূজার উৎস সন্ধানে
স্বামী পূর্ণাত্মানন্দ

বিশ্বপ্রপঞ্চের পিছনে এক সর্বনিয়ন্তা, সর্বশক্তিমান সত্তার অস্তিত্ব সম্পর্কে মানুষের মনে কখন প্রথম চেতনা জেগেছে আমরা কেউই তা জানি না। তবে যখনই জেগে থাকুক, সেই আদিম চেতনাই যে মানুষের মধ্যে ঈশ্বরভাবনার জন্মদান করেছে সেবিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই । আদিম মানুষ অরণ্যে বা পর্বতগুহায় অথবা নদী বা সমুদ্রতীরে উন্মুক্ত আকাশের নীচে বাস করত। হিংস্র জন্তুর সঙ্গে যুদ্ধ করে তারা অস্তিত্ব রক্ষা করত। কখনো সেই যুদ্ধে তারা প্রাণ হারাত। কখনো তারা অপর কোনো জনগোষ্ঠীর দ্বারা আক্রান্ত হত, কখনো আবার অপর কোনো গোষ্ঠীকে আক্রমণ করত। অরণ্যের ফল, অরণ্যের পশু-পাখির মাংস, নদী ও সমুদ্রের মাছ এবং নদীর জল তাদের ক্ষুধা-তৃষ্ণা মেটাত। এইভাবে তাদের জীবন চলত। এর মধ্যে হঠাৎ তারা একদিন দেখল তাদের মধ্যে একজন অসুস্থ হয়ে পড়ল, কেউ চিরনিদ্রায় ঢলে পড়ল। কখনো তারা দেখল প্রচণ্ড ঝড় এসে প্রকৃতিকে লণ্ডভণ্ড করে দিল। কখনো আবার প্রবল বর্ষণে সব ভেসে গেল। কখনো-বা আকাশের বুক চিরে বিদ্যুতের ঝলসানি অথবা বজ্রের গর্জন তাদের শঙ্কিত করে তুলল। কখনো-বা কলেরা, বসন্ত প্রভৃতি মহামারীর আকার ধারণ করে গোষ্ঠীর বহু মানুষের জীবনান্ত ঘটাল। কখনো-বা রাত্রিতে ঘুমোতে ঘুমোতে সুখস্বপ্ন বা দুঃস্বপ্নের মাধ্যমে আনন্দ অথবা আতঙ্কের অনুভূতি লাভ করল। তারা অবাক হয়ে ভাবতে বসল—নারীর বুকে কেন স্তন্যক্ষীরধারা প্রবাহিত, নারীর মধ্য হতেই কেন বের হয়ে আসে এক নতুন জীবন—এক নতুন মানুষ! আকাশের নীলিমা, সমুদ্রের উত্তাল তরঙ্গভঙ্গ, অমাবস্যার অন্ধকার, পূর্ণিমার সর্বপ্লাবী জ্যোৎস্না, গ্রীষ্মের প্রখরতা, শীতের তীব্রতা, তাদের মনে জাগাত বিস্ময়, আনন্দ ও শঙ্কা । অনুভূতি থেকেই তারা এক সর্বনিয়ন্তা সর্বশক্তিমান সত্তার মধ্যে আশ্রয় খুঁজতে শুরু করল। তখন থেকেই মানুষের ঈশ্বরভাবনার উন্মেষ।
আজ একবিংশ শতাব্দীর শৈশবে দাঁড়িয়ে এই সমস্ত ঘটনা আদিম পুরুষ ও নারীদের জীবনে কোন বিস্ময়, কোন আতঙ্ক, কোন আনন্দের অনুভূতি আনত তা আমরা কল্পনাতেও আনতে পারি না। কিন্তু ধর্মবেত্তা, ঐতিহাসিক, সমাজদার্শনিক, নৃবিজ্ঞানী, মনস্তত্ত্ববিদগণ একটি -সাধারণ সিদ্ধান্তে এসেছেন যে, ঐ ধরনের অনুভূতিই আদিম মানুষের মনে ঈশ্বরভাবনার জন্ম দিয়েছিল।
পৃথিবীর প্রাচীনতম সাহিত্য ‘ঋগ্বেদ'-এর মধ্যে আমরা ক্রমপরিণত সেই ঈশ্বরভাবনার সুপ্রাচীন রূপটির পরিচয়লাভ করি। বৈদিক যুগের ব্যাপ্তি একশ-দু'শ বছর নয়, অন্তত এক হাজার বছর। এই এক হাজার বছরে ভারতবর্ষের মানুষের পূর্বপুরুষগণের ঈশ্বরভাবনার বিবর্তনের ধারাটিও স্পষ্ট। সেই ধারা আরো পরিণতির দিকে কিভাবে গেছে তার পরিচয় রয়েছে রামায়ণ, মহাভারত, তন্ত্র ও প্রাচীন পুরাণগুলিতে এবং প্রাচীন কাব্য, ব্যাকরণ, নাটক ও স্মৃতিগ্রন্থগুলিতে। অপরদিকে বৈদিক সভ্যতার পাশাপাশি সিন্ধুসভ্যতার বিকাশের যে-প্রমাণ আমরা পেয়েছি সেখানেও প্রাচীন মানুষের ঈশ্বরভাবনার রূপরেখা বিদ্যমান। উভয় সভ্যতার মধ্যে কোনটি প্রাচীনতর, কোনটি কতখানি মূলগতভাবে ভারতীয় অথবা অভারতীয়, তা নিয়ে সর্বসম্মত কোনো সিদ্ধান্তে আসা এখনো সম্ভব হয়নি। আবার উভয় সভ্যতার মধ্যে সঙ্ঘর্ষ ও সমন্বয়ের তত্ত্ব নিয়েও বাদ-প্রতিবাদ এখনো থামেনি।
Title মহিষাসুরমর্দিনী দুর্গা
Editor
Publisher
Edition 1st Edition, 2010
Number of Pages 287
Country ভারত
Language বাংলা

Similar Category Best Selling Books

Related Products

Sponsored Products Related To This Item

Reviews and Ratings

4.0

1 Rating and 1 Review

sort icon

Product Q/A

Have a question regarding the product? Ask Us

Show more Question(s)
prize book-reading point

Recently Sold Products

Recently Viewed
cash

Cash on delivery

Pay cash at your doorstep

service

Delivery

All over Bangladesh

return

Happy return

7 days return facility

0 Item(s)

Subtotal:

Customers Also Bought

Are you sure to remove this from book shelf?

মহিষাসুরমর্দিনী দুর্গা