বশির আহমদ জুয়েল। পিতা মাে. আব্দুল হান্নান ও মাতা রঙ্গের বেগম। পাঁচ ভাই ও এক বােনের মধ্যে তিনি চতুর্থ। সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলার শিবরামপুর মনতলা গ্রামে তাঁর জন্ম । শক্তিমান ছড়াকার ও ছড়ার ছােট কাগজ ছন্দালাপ সম্পাদকের জীবনধারা অত্যন্ত অর্থবহভাবে মােড় নেয় ২০০৮ এর একুশে বইমেলায় তার ভালােবাসার চাদর' নামের ছড়াগ্রন্থের মাধ্যমে। ভালােবাসার ছড়ার এই গ্রন্থটি বাজারে আসার সাথে-সাথে তরুণদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া পড়ে যায়। তরুণ পাঠকদের কাছে প্রিয় ছড়াকার হয়ে ওঠেন বশির আহমদ জুয়েল । গ্রন্থটি পরপর ছয়টি সংস্করণে প্রকাশ করতে বাধ্য হন প্রকাশক। রাজধানীর বাইরে থেকেও বই লিখে এবং প্রকাশ করে ব্যবসা করতে পারার দৃষ্টান্ত এই শক্তিমান ছড়াকার। তরুণ এই লেখকের এক সাথে দু’টি উপন্যাস রাজাকারের মেয়ে ও চাদনী রাতে বৃষ্টি প্রকাশ হয়েছে। ২০০৯ সালের বইমেলায়। উপন্যাস দু’টির সফলতায় কথাশিল্পীর পরিচিতি এনে দিয়েছে তাঁকে। ছড়ার পাশাপাশি সাহিত্যের অন্যান্য শাখায়ও রয়েছে তাঁর সমান বিচরণ। ইদানিং আমি ও আমার কবিতা নামে তাঁর একটি কাব্যগ্রন্থও বের হয়েছে। এ ছাড়াও ভালােবাসার আডডা, ভালােবাসার ছড়া, কোটি টাকার ছড়া ও উষা আমার ময়না পাখি নামের ছড়াগ্রন্থগুলােও পাঠকপ্রিয়তা পেয়েছে। বশির আহমদ জুয়েল একজন প্রতিভাবান লেখক হিসেবে নিজের শক্তিমত্তার বিকাশ ঘটাচ্ছেন সৃজনশীল লেখনির মাধ্যমে। সেই ধারাবাহিকতায় এবার বের হলাে তার ভালােবাসার ১০০ ছড়া নামের ছড়াগ্রন্থ। তরুণ ছড়াকার হিসেবে বশির আহমদ জুয়েলের এ গ্রন্থটি ব্যাপক সাড়া ফেলবে বলে আমাদের বিশ্বাস। এ ছাড়াও এবারের বইমেলায় জুয়েলের শত ছড়ায় মুক্তিযুদ্ধ নামে আরাে একটি বই বের হয়েছে। -প্রকাশক