সত্তর দশকে ছড়া লিখে খ্যাতিমান। বাংলাদেশের ছড়া সাহিত্যের অনিবার্য নাম তিনি। অতঃপর আশির দশকে কবিতায় মনযােগী। ১৯৮৪ সালে জিতে নেন কবিতায় জাতীয় পুরষ্কার। লিটলম্যাগ থেকে জাতীয় দৈনিকে কবিতা লিখতে লিখতে ঝুঁকে পড়েন চলমান লেখালেখিতে। মূলত এরশাদ পরবর্তী সময়ে খুলে যাওয়া মিডিয়া ও সংবাদপত্রের সুবর্ণ সময়ে কলাম লিখিয়ে হিসেবে আত্মপ্রকাশের পর এখন তার কলাম বাংলাদেশের মিডিয়ায় অপরিহার্য ও জনমত গঠনে ভূমিকা রাখে। দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে অভিবাসন নিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় বসবাস করলেও প্রায় প্রতিদিনই তার উপস্থিতি থাকে জাতীয় মিডিয়ায়। চলমান লেখালেখির জগতে সচল নামটি সামাজিক মিডিয়ায়ও তুমুল জনপ্রিয়। কবিতা, গদ্য বিশেষত গুণী বাঙালিদের স্মরণ করা স্মৃতিগদ্যে ইতােমধ্যে তিনি তার জায়গা করে নিয়েছেন। আলসেমী আর অনীহাজনিত কারণে তার গ্রন্থ সংখ্যা সীমিত। লেখকের মতে এ ব্যাপারে তিনি ওয়াহিদুল হক, আবুল হাসান কিংবা হেলাল হাফিজ অনুগামী। এবারের বই মেলায় প্রকাশিত এটিই তার একক কবিতার বই।। অজয় দাশগুপ্তের কবিতা পাঠকপ্রিয় এ কথা বলাই বাহুল্য।