"পয়েট অব একাউন্টিং" বইটির সম্পর্কে কিছু কথাঃ প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা তােমরা যারা হিসাববিজ্ঞানের শিক্ষার্থী তাদের সামগ্ৰীক কল্যাণার্থে আমার এই ক্ষুদ্র প্রয়াস “Poet অব Accounting” হিসাববিজ্ঞানের ছাত্র-ছাত্রীদের হিসাববিজ্ঞানের প্রতি ভয়-ভীতি দুর করার জন্য, হিসাববিজ্ঞানের প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি করার জন্য, হিসাববিজ্ঞানের উপর প্রকৃত ও বিশুদ্ধ জ্ঞান অর্জনের জন্য, হিসাববিজ্ঞানের প্রতিটি বিষয় সম্পর্কে গভীর জ্ঞান লাভ করার জন্য এবং হিসাববিজ্ঞানের যে কোন পরীক্ষায় ভালাে ফলাফল অর্জনের জন্য আমার এই চেষ্টা। আমি আল্লাহর উপর ভরসা করে নির্ধিদায় বলতে পারি যে, তােমরা যারা এই বইটি পড়বে তারা অবশ্যই হিসাববিজ্ঞান সংক্রান্ত অতি মজবুত মৌলিক জ্ঞান অর্জন করতে সক্ষম হবে। কেননা এই বইটিতে প্রতি বিষয়বস্তু ছন্দে ছন্দে অত্যন্ত সহজ-সরল ভাষায়, সংজ্ঞা, ব্যাখ্যা এবং চিত্রসহ বাস্তব ধর্মী উদাহরনের সাহায্যে ব্যাখ্যা-বিশ্লেষন করা হয়েছে। এই বইটিতে প্রতিটি বিষয় সম্পর্কে অত্যান্ত বাস্তব ধর্মী চুলছেরা ব্যাখ্যা-বিশ্লেষন করা হয়েছে। যা তােমরা অতি সহজেই বুঝতে পারবে এবং চিরদিন মনে ধারন করে রাখতে পারবে বলে আমার বিশ্বাস। এমনকি ইচ্ছা করলেও ভুলতে পারবে না। প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমি একজন হিসাববিজ্ঞানের ছাত্র এবং আমি দীর্ঘ দিন শিক্ষক হিসেবে ছাত্রছাত্রীদেরকে প্রকৃত ও বিশুদ্ধ হিসাববিজ্ঞান শিখানাের চেষ্টা করছি। সেই ২০০০ সাল থেকে আমার শিক্ষতা জীবন শুরু হয় তখন আমি একাদশ শ্রেণীর ছাত্র। আমার এই দীর্ঘ শিক্ষতা জীবনে অসংখ্য ছাত্র-ছাত্রী নিয়ে কাজ করেছি। আমি দেখিছি অধিকাংশ ছাত্র-ছাত্রীরা হিসাববিজ্ঞান না বুঝে না শুনে অজ্ঞ অবচেন মনে শুধু মুখস্ত করে এবং তাদের বেসিক নলেজের ব্যপক অভাব। আর এই বেসিক নলেজের অভাবে তারা পরীক্ষায় ভাল ফলাফল করতেতাে পারেই না বরং হিসাববিজ্ঞান বিষয়টিকে দারুন ভয় পায়। আর যারা মােটামুটি ভাল ফলাফল করতে পেরেছে তাদের অধিকাংশই মুখস্ত বিদ্যা ব্যবহার করেছে। অর্থাৎ তারা হিসাববিজ্ঞানের বিষয়বস্তু গুলাে না বুঝে মুখস্ত করেছে এবং মুখস্ত বিদ্যা দিয়ে পাশ করেছে বা ভাল নাম্বার পেয়েছে। যদিও বুঝে বুঝে পড়ার এবং বেসিক নলেজ সমৃদ্ধ শিক্ষার্থীও রয়েছে তবে তাদের সংখ্যা খুবই কম, হাতে গুণা কয়েক জন। এমন শিক্ষার্থীদের প্রতি শুভকামনা রইল।
পিতাঃ শফিকুল ইসলাম, মাতঃ মরহুমা খুর্শিদা বেগম। তিনি চাদঁপুর জেলার মতলব উত্তর উপ-জেলার দক্ষিণ দশানী গ্রামে ২৫ ডিসেম্বর ১৯৮৩ সালে জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি দশানী মোহনপুর উচ্চবিদ্যালয়, মতলব উত্তর হতে এস, এস, সি, (১ম শ্রেণি) এবং সর্বশেষ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যাল, ঢাকা হতে হিসাববিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতকোত্তর (ফার্স্ট ক্লাস ১৬তম) ডিগ্রি অর্জন করেন। তৎপরবর্তী সময় তিনি বাংলাদেশের স্বনামধন্য ও শীর্ষ স্থানীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সামসুল হক খান স্কুল এন্ড কলেজ, ডেমরা, ঢাকা এবং সিরাজ মিয়া মেমোরিয়াল মডেল স্কুল, বারিধারা, ঢাকায় অত্যন্ত সুনামের সহিত দীর্ঘদিন শিক্ষকতা করেন। এছাড়াও তিনি বাংলাভিশন চ্যানেলে পরীক্ষা প্রস্তুতি অনুষ্ঠানে হিসাববিজ্ঞানের আলোচক হিসেবে অংশগ্রহণ করে সমগ্র দেশের শিক্ষার্থীদের হিসাববিজ্ঞান বিষয়ে পরামর্শ প্রদান করতেন। বর্তমানে তিনি কৃষি মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন, বিএডিসি’তে উপনিয়ন্ত্রক (অডিট) হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। বর্তমান সমাজের নানা অসঙ্গতি, অন্যায়, অত্যাচার, অবিচার, উগ্রতা, উৎপাত এবং বৈষম্য সম্পর্কে তার লেখা কাব্যগ্রন্থ “লোভ-লালসার জটে, শালীনতা-মানবতা মহাসংকটে” পাঠক সমাজে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। ফলে তিনি ইউনাইটেড মুভমেন্ট হিউম্যান রাইটস কর্তৃক “মানবাধিকার শান্তি পদক-২০১৭” লাভ করেন। তার প্রায় ১৪ বছর অভিজ্ঞতা এবং গবেষণার আলোকে নিজে নিজে ঘরে বসে প্রাইভেট ও কোচিং ছাড়াই প্রকৃত ও বিশুদ্ধ হিসাববিজ্ঞান শেখার উপায় নিয়ে সম্পূর্ণ মৌলিক ও সৃজনশীল বই “Poet অব Accounting” রচনা করেন। যা শিক্ষার্থীদের প্রকৃত সৃজনশীলতাকে বিকশিত করতে ব্যপক ভূমিকা রাখছে।