উপন্যাস সমগ্র (হার্ডকভার)

তাতের সদাচঞ্চল মাকু বিশ শতকের মাঝামাঝি থেকে ধীরে ধীরে অচল হয়ে আসে। তেমনই একটি পরিবারের কথা ‘চারণে-প্রান্তরে’ উপন্যাসে। বিকল্প জীবিকার সন্ধানে গাে-চারণের কাজ নেয় কিশাের বিশু। সেই চারণক্ষেত্রও ছােটো হতে থাকে খেতের জমি। সম্প্রসারণের কারণে রাখালিয়া বাঁশির মরমী সুর ক্ষীণ হয়ে আসে বাংলার বকে। শুরু হয় পারিবারিক-অর্থনৈতিক নানা টানাপােড়েন। পণের ভার সইতে পেরে বিয়ের নামে মেয়েকে তুলে ' দেওয়া হয় অচেনা দেশের অজানা এক মানুষের হাতে সময় ও সমাজের এই পরিবর্তিত প্রেক্ষিতে মানুষজনের সুখ-দুঃখের কথা এ-উপন্যাসে। ‘ভাঙা নীড়ের ডানা বাংলার বনজঙ্গল থেকে হারিয়ে যাওয়া ‘বেঙ্গল ফ্লোরিক্যান’ বা চিকপাখির কাহিনি। তরুণী দিশা চৌধরী পাখির সন্ধানে এসে জনজীবনের একটি বৃহত্তর অংশের সঙ্গে যুক্ত হয়ে যায়। ডায়েরির ফর্মে লেখা এই উপন্যাসটিতে ফুটে উঠেছে রাঢ় বাংলার এক অনন্য ছবি। ‘মিছিলের পরে কলকাতার জনসভায়। আসা পাঁচজন দলছুট মানুষের আখ্যান। শীতের ব্রিগেডে পাঁচজেলার পাঁচজন। মানুষ রাত কাটায় সামান্য একটু আগুনকে ঘিরে। তাদেরই জীবনের নানা কথা জড়ে এ-উপন্যাস। আছে কলকাতার কথা, ঔপনিবেশিক শাসক যাকে ভেঙেছিল ও গড়েছিল নিজেদের প্রয়ােজনে এবং নিজস্ব ঘরানায়। তিনটি উপন্যাসই ভাবনায় মৌলিক আর ভাষায় মর্মস্পর্শী।