"নারীর মর্যাদা ও অধিকার" বইটির সম্পর্কে কিছু কথা: পুরুষ আর নারীর সমষ্টিগত নাম হচ্ছে মানুষ। মানবকুল নারী-পুরুষ দ্বারা গঠিত। নারী থেকে পুরুষ, পুরুষ থেকে নারী কোনােভাবেই আলাদা করার কোনাে উপায় নেই। পৃথিবীতে মানব সমাজের অস্তিত্ব থাকতে হলে নারী-পুরুষের যৌথ উপস্থিতি অপরিহার্য। নারীর কাছে পুরুষ, পুরুষের কাছে নারী অপরিহার্যভাবে ঋণি। কোনাে একজনকে বাদ দিয়ে মানব জীবনের অস্তিত্বও কল্পনা করা যায় না। একদিকে যেমন একজনকে ছাড়া আরেকজনের অস্তিত্বই বিপন্ন, অন্যদিকে তেমনি একজনের কাছে আরেকজন অপরিহার্যভাবে, ঋণি। কাজেই সমাজ জীবন হােক আর ব্যক্তি জীবন হােক সব জীবনেই একজনের কাছে আরেকজন দায়বদ্ধ। বাস্তব সমাজে পৃথিবীর ইতিহাসে দেখা যাচ্ছে নারীকে নিয়ে আলােচনা আলাদাভাবে, পুরুষের চেয়ে হাজার লক্ষগুণ বেশি। তার কারণ বড় রহস্যজনক । সমাজে সব সময়ই নেতৃত্ব দিয়েছে পুরুষ। পুরুষ শাসন করেছে নারীকে। নারী হয়েছে শাসিত-নির্যাতিত অথবা মর্যাদাবান। পৃথিবীর এই ইতিহাস কোনাে কালেই পাল্টেনি। হঁ্যা, অনেক সময় দেখা গেছে অনেক সমাজে নেতৃত্বের আসনে অধিষ্ঠিত হয়েছে নারী। কিন্তু তাই বলে। সামাজিকভাবে শাসক হতে পারেনি। এমনকি ব্যক্তিগতভাবে যে নারী ক্ষমতাবান হয়েছে সেই নারীকেও শাসন করেছে পুরুষ। এটাই পৃথিবীর ইতিহাস। আলােচনার ইতিহাসে দেখা গেছে পৃথিবীতে যত বিষয় নিয়ে যত আলােচনা হয়েছে তন্মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযােগ্য আলােচনা হয়েছে নারীকে নিয়ে। লেখালেখির জগতেও সর্বাধিক উল্লেখযােগ্য লেখালেখি নারীকে নিয়ে। যত ধরনের যত শ্রেনীর লেখালেখি আছে সব লেখালেখির সিংহভাগ জোড়ে আছে নারী। নারীকে নিয়ে যত লেখালেখি হয়েছে তার মধ্যে উল্লেখযােগ্য লেখালেখি হয়েছে নারীর মর্যাদা দান, ক্ষমতায়ন, নারীকে প্রতিষ্ঠিত করা, নারী জাগরণ, নারীকে কেন্দ্র করে আনন্দ উপভােগ করা, এবং নারীর মান সম্মান বজায় রাখা ইত্যাদি নিয়ে। যদিও নারী সমাজে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বিভিন্ন যুগে বিভিন্ন ভাবে ।