“কর্নেল সমগ্র ১৩" বইটির ফ্ল্যাপ এর লেখাঃ
বাংলা রহস্যকাহিনীতে কর্নেল নীলাদ্রি সরকার এক অসামান্য সংযােজন। সান্টা ক্লোসের মতাে সাদা দাড়িগোঁফ টাকাকা। টুপি, পিঠের কিটব্যাগ থেকে উঁকি দেয় প্রজাপতিধরা নেটস্টিক, গলায় ঝুলন্ত বাইনােকুলার এবং ক্যামেরা, বিশালদেহী এই বৃদ্ধ, অথচ যুবকের মতাে শক্তিমান মানুষটিকে সহসা দেখলে বিদেশি ট্যুরিস্ট বলে ভুল হতে পারে। কিন্তু তিনি বাঙালি এবং সদালাপী সজ্জন ব্যক্তি। বিরল প্রজাতির পাখি, প্রজাপতি, ক্যাকটাস, অর্কিড়ের সন্ধানে তিনি দুর্গম পাহাড় জঙ্গল ও ঐতিহাসিক ধ্বংসাবশেষের মধ্যে ঘুরে বেড়ান। তবে তার সেরা বাতিক রহস্যভেদ। কোনও রহস্যময় হত্যাকাণ্ড কিংবা জঘন্য অপরাধমূলক ঘটনা ঘটে গেলে অথবা তার কোনও আভাস পেলেই তিনি সেখানে ছুটে যান। অবলীলাক্রমে। জটিল রহস্যের জট ভাঁজে খুঁজে উন্মোচন করেন। তরুণ সাংবাদিক জয়ন্ত চৌধুরি, তপরি প্রাইভেট ডিটেকটিভ কে কে হালদার ওরফে হালদারমশাই যখনই কর্নেলের অ্যাপার্টমেন্টে হাজির হন, তখনই পাঠককে মেরুদণ্ড সােজা রেখে বসতে হয়। কারণ এবার এক উয়াল-জটিল রহস্যের ( সূত্রপাত অনিবার্য। বাংলা কথাসাহিত্যে সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজ তার প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন। কিন্তু রহস্যকাহিনী নির্মাণেও যে তিনি কত দক্ষ, তার প্রমাণ তারই সৃষ্টি কর্নেল নীলাদ্রি
সরকার। কর্নেলের প্রতিটি ক্রিয়াকলাপ শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এর পাঠককে শ্বাসরুদ্ধ করে রাখে। ..
Read More