ছোট্ট মেয়েটার কৌতুহলী প্রশ্ন, "তুমি কে?" রুদ্র ফিসফিস করে বলে , "আমি...কাগজের যাদুকর...৷" "এই কাগজের ঘোড়াটা কি করবে?" ছেলেটা হাতে নিয়ে মেয়েটাকে প্রশ্ন করে৷ মেয়েটা ফিসফিসিয়ে বলে "তোমাকে বিপদ থেকে রক্ষা করবে.." ছেলেটা পাশে তাঁকিয়ে দেখে মেয়েটা ওখানে নেই! স্কুলের বারান্দা থেকে হাসি মুখে ওর দিকে তাকিয়ে হাত নাড়ে৷ তাহলে এতক্ষন কার সাথে সে কথা বলছিল...! ...রাশেদা বুয়া পিছলে মেঝেতে পড়ে গেছে৷ নড়তে পারছে না৷ সহসা তার মনে হলো দুটো পা এগিয়ে আসছে...পা দুটো মানুষের নয়, ঘোড়ার! শিবলি স্মরণ করতে পারে না মৃতদেহ গুলোর নিচে সে কতক্ষণ ছিল৷ গরমে ওগুলো পঁচে গন্ধ ছড়াচ্ছিল৷ শিবলির মনে হয়েছিল ওর আত্মার ভেতরে এই মাংশ পঁচা গন্ধ ঢুকে গেছে৷ সেখান থেকেই তার ডার্ক ফোবিয়ার জন্ম... কঙ্কাবতীর শরীরে যেনো কস্তুরীর ঘ্রাণ! কেউ এতে ডুবে যায় আর কারও ভেতরে অস্থিরতার জন্ম হয়... মতিন এক মৃত দেহ বহনকারী কালো গাড়ি নিয়ে ঘুরে বেড়ায়, ও রাতে ঘুমায় না৷ কস্তুরীর ঘ্রাণ পাবার পর সে অস্থির হয়ে পড়ে৷ সারারাত রাস্তা থেকে রাস্তায় ঘুরে বেড়ায়... হাতে থাকে আধলা ইট৷ রেবতী নামের ছোট্ট একটা মেয়েকে মেরে করে ফেলার নির্দেশ আসে ওর কাছে৷ আর রেবতীর ছায়াটা দেখলে মনে হয় যেন ওটা ওর নয় একজন বুড়ির! ডিপার্টমেন্টের সবাই ওকে ডাকে বুরা সাজ্জাদ৷ আর একটা কেস সলভ হলেই অলিখিত ভাবে ওর একটা রেকর্ড হয়ে যাবে... মানুষের মনস্তাত্বিক বিবরণের একটা দলিল এই কাগজের যাদুকর৷ এই চরিত্রগুলো কখন কি করে বসে সেটা আপনি কল্পনাও করতে পারবেন না! চলুন দেখা যাক ওরা সবাই মিলে কি ঘোট পাকায়...