আল-হামদুলিল্লাহ, সকল হামদ আল্লাহর জন্য, সালাত ও সালাম প্রিয় নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওপর। অতঃপর সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে আল্লাহ আমাদের মা‘বুদ, মনিব, উপাস্য, আর আমরা সকলেই তাঁর ইবাদ দাস বা উপাসকগোষ্ঠী। এর মধ্যে যারা একমাত্র তাঁরই ইবাদত ও দাসত্ব করে তারা মুসলিম, মুমিন ও মুহসিন দাস হিসেবে গণ্য। আর যারা তাঁর ইবাদতের সাথে অন্যদের ইবাদত করে বা তার ইবাদত করার স্বীকৃতি প্রদান করে না, তারা কাফির ও অকৃতজ্ঞ দাস হিসেবে স্বীকৃত। আল্লাহর কৃতজ্ঞ দাসদের বড় ইবাদত হচ্ছে দোআ করা। তারা নিজেরা নিজেদের জন্য দোআ করে। সাথে সাথে অন্য সৃষ্টিকুলের দোআও তারা পেতে চায়। যারা ইচ্ছাকৃত আল্লাহর ইবাদত করে তাদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছেন ফিরিশতাকুল। যারা আল্লাহর ইবাদতের বাইরে কিছু করে না। আল্লাহর প্রিয় এ সকল বান্দা আল্লাহর আরশ থেকে শুরু করে যমীন পর্যন্ত আল্লাহর আদেশ বাস্তবায়নে সদা তৎপর। আরশের চারপাশে তারা সর্বদা সালাতের মত করে কাতারবন্দী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। আরশ বহন করে আছে। আরশের নিচে প্রতিটি আসমানে তাদের অবস্থান। প্রতিটি মানুষের সাথে তাদের রয়েছে সতর্ক পর্যবেক্ষণ। সকালে একদল আরশের দিকে উঠে যায়, আরেকদল যমীনে নেমে আসে। এসব ফিরিশতারা, আল্লাহর প্রিয় বান্দারা যাদের জন্য দোআ করে তাদের দোআ কবুল হওয়ার বেশি উপযোগী। তারা যাদের বিরুদ্ধে বদদোআ করে তাদের বিপদ হবে সর্বনাশা। তাই মহৎ সৃষ্টির দোআর হকদার হওয়ার চেষ্টা করা প্রতিটি ঈমানদারের আকাঙ্ক্ষা হওয়া উচিত। ‘ফিরিশতার দোআয় ধন্য যারা’ নামীয় ছোট্ট পুস্তিকাটি পড়লাম। প্রয়োজনীয় সংশোধনী প্রদান করলাম। বইটি দিয়ে আল্লাহ তা‘আলা বাংলা ভাষাভাষি ভাইদের উপকৃত করবেন এ আশাবাদ ব্যক্ত করছি। আরও দোআ করছি, আল্লাহ যেন আমাদের সকল আমল কবুল করেন। আমীন, সুম্মা আমীন। ড. আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া অধ্যাপক, আল-ফিকহ অ্যান্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া।