মনুষ্যের বৃত্তি বা জীবিকাকে ‘অর্থ’ বলা যায়। মনুষ্যযুক্ত ভূমির নামও ‘অর্থ’ হয়। যে শাস্ত্র সেই পৃথিবীর লাভ ও পালনের উপায় নিরূপণ করে, তাহার নাম অর্থশাস্ত্র। সেই শাস্ত্র বত্রিশ-প্রকার যুক্তিদ্বারা যুক্ত। সেই যুক্তিগুলো এইরূপঅধিকরণ, বিধান, যোগ, পদার্থ, হেতুর্থ, উদ্দেশ, নির্দ্দেশ, উপদেশ, অপদেশ, অতিদেশ, প্রদেশ, উপমান, অর্থাপত্তি, সংশয়, প্রসঙ্গ, বিপর্য্যয়, বাক্যশেষ, অনুমত, ব্যাখ্যান, নির্ব্বচন, নিদর্শন, অপবর্গ, স্বসংজ্ঞা, পূর্ব্বপক্ষ, উত্তরপক্ষ, একান্ত, অনাগতাবেক্ষণ, অতিক্রান্তাবেক্ষণ, নিয়োগ, বিকল্প, সমুচ্চয় ও ঊহ্য। স্বয়ং কৌটিল্য বহুসংখ্যক পূর্ব্বাচার্যেদিগের রচিত অর্থশাস্ত্রবিষয়ক গ্রন্থরাজি ও রাজনীতি ও অর্থনীতিবিষয়ক অন্যান্য মতামত পর্য্যালোচনা করিয়া যে গ্রন্থখানি লিখিয়াছেন এবং যাহাতে তিনি নানাশাস্ত্র হইতে লব্ধ নিজের পরিপক্ক জ্ঞানের পরিচয় দিয়োছেন, তাহা যে অত্যান্ত দুর্ব্বোধ গ্রন্থ হইবে তদ্বিষয়ে সন্দেহ থাকার অবসর নাই। তিনি যে এই অর্থশাস্ত্রে আম্বীক্ষিকী, ত্রয়ী, বার্ত্তা ও দ-নীতি-ওই বিদ্যাচতুষ্টয়েই নিজের অধিকারের প্রমাণ দিয়েছেন তাহা নহে, ইহাতে তিনি শুদ্ধশাস্ত্র, বাস্তবিদ্যা, ধাতুবিদ্যা, রসায়ণশাস্ত্র, উদ্ভিদবিদ্যা, ভুগোল ও ইতিহাস, বেদ প্রভৃতি নানাবিদ্যা ও নানাশাস্ত্রের প্রকৃষ্ট জ্ঞানের পরিচয় প্রদান করিয়াছেন। স্বয়ং কৌটিল্য বহুসংখ্যক পূর্ব্বাচার্যেদিগের রচিত অর্থশাস্ত্রবিষয়ক গ্রন্থরাজি ও রাজনীতি ও অর্থনীতিবিষয়ক অন্যান্য মতামত পর্য্যালোচনা করিয়া যে গ্রন্থখানি লিখিয়াছেন এবং যাহাতে তিনি নানাশাস্ত্র হইতে লব্ধ নিজের পরিপক্ক জ্ঞানের পরিচয় দিয়োছেন, তাহা যে অত্যান্ত দুর্ব্বোধ গ্রন্থ হইবে তদ্বিষয়ে সন্দেহ থাকার অবসর নাই। তিনি যে এই অর্থশাস্ত্রে আম্বীক্ষিকী, ত্রয়ী, বার্ত্তা ও দ-নীতি-ওই বিদ্যাচতুষ্টয়েই নিজের অধিকারের প্রমাণ দিয়েছেন তাহা নহে, ইহাতে তিনি শুদ্ধশাস্ত্র, বাস্তবিদ্যা, ধাতুবিদ্যা, রসায়ণশাস্ত্র, উদ্ভিদবিদ্যা, ভুগোল ও ইতিহাস, বেদ প্রভৃতি নানাবিদ্যা ও নানাশাস্ত্রের প্রকৃষ্ট জ্ঞানের পরিচয় প্রদান করিয়াছেন।