আটলান্টিক মহাসাগরের তলদেশ থেকে একটা অদ্ভুত শব্দ শিপ এ. কে. সেভেনে ভেসে এলো। ক্যাপ্টেন জুলবার্গ দ্রুত জাহাজের কিনারায় এসে নীলচে জল রাশির দিকে তাকালেন। উত্তাল সমুদ্রে বিশালাকার ঢেউ উঠছে। সেই সাথে আকাশে সারিসারি কালো মেঘের রাশি আগাম ঝড়ের ইঙ্গিত দিচ্ছে। “ক্যাপ্টেন, বাহিরে থাকাটা নিরাপদ নয়। ঝড় উঠতে চলেছে।” ক্যাপ্টেন জুলবার্গের পেছনে দাঁড়িয়ে কথাটা বলল রবার্ট। ক্যাপ্টেন জুলবার্গ ডান দিকে ঘাড় ঘুরিয়ে উপর থেকে নিচে সম্মতিসূচক মাথা নাড়লেন। নিজ কেবিনের দিকে হেঁটে যেতে লাগলেন ক্যাপ্টেন। আচমকা তিনি মাথা ঘুরিয়ে পড়ে গেলেন। রবার্ট পিছন ঘুরে নিজ কেবিনে যাওয়ার জন্যে পা বাড়ালো। সে হঠাৎ ধপ করে কিছু পড়ার শব্দ পেয়ে পেছন ফিরে তাকাল। “ক্যাপ্টেন!” চিৎকার দিলো রবার্ট। জ্ঞান ফিরে জুলবার্গ নিজেকে কেবিনে পেল। তার পাশে রবার্টসহ বাকিরা বসে আছে। “ক্যাপ্টেন, হঠাৎ করে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন যে? শরীর কি দুর্বল?” প্রশ্ন করল রবার্ট। “না, তেমন কিছু না। শরীর ঠিকাছে, কিন্তু আচমকা জ্ঞান কেন হারিয়ে ফেললাম নিজেও বুঝলাম না। মনে হলো যেন আচমকা আমার মস্তিষ্কে বরফ জমে গেছে। যাই হোক, সমুদ্রের শীতল হওয়া প্রভাবে হয়তো এটা হয়েছিল। তোমরা যাও নিজ নিজ কাজ করো। আমি একটু পর আসছি।” “সমস্যা নেই ক্যাপ্টেন আপনি বিশ্রাম নিন। আমরা জাহাজ সামলাতে পারব। আর ছয়—সাত ঘণ্টা লাগবে বন্দরে পৌঁছতে।” ক্যাপ্টেন আর কিছু বললেন না। একে একে সকলে উনার রুম থেকে চলে গেলেন। “রবার্ট তোমাকে বেশ চিন্তিত দেখাচ্ছে?” রবার্টকে প্রশ্ন করল চার্লস। রবার্টকে চিন্তিত অবস্থায় জাহাজের কিনারায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে চার্লসের মনে সন্দেহ জন্মায়। নিশ্চয়ই কিছু হয়েছে যা সে সকলের কাছ থেকে লুকাচ্ছে। রবার্ট চার্লসের দিকে মুখ ফিরিয়ে বলল, ‘ঝড়ের সময় অস্বাভাবিক কিছু একটা ঘটে গেছে। যা আমাদের সকলের দৃষ্টি থেকে আড়াল রাখতে ক্যাপ্টেন জ্ঞান হারানোর ভান করেন।’ “হোয়াট! রবার্ট তুমি এসব কী বলছ? ক্যাপ্টেন কেন নাটক করবেন?” বিস্মিত গলায় প্রশ্ন করল চার্লস। “চার্লস, ক্যাপ্টেন জুলবার্গ বিগত দশ বছর যাবৎ জাহাজ পরিচালনা করছেন। বছরের বেশির ভাগ সময় তিনি সমুদ্রে থাকেন, জাহাজে থাকেন। তিনি সামান্য একটা ঝড়ের শীতল হওয়ায় জ্ঞান হারিয়ে ফেলবেন? বিষয়টা অদ্ভুত না? আর তাছাড়া উনি কোনো চোটও পাননি। মাথা ঘুরিয়ে পড়লে একটু হলেই চোট পাওয়ার কথা।” “তোমার কথায় যুক্তি আছে। আচ্ছা! তুমি তোমার চোখে কি অস্বাভাবিক কিছু ধরা পড়েছিল?” প্রশ্ন করল চার্লস। “হ্যাঁ! সমুদ্রের তলদেশ থেকে একটা অদ্ভুত শব্দ ভেসে আসছিল। যেন মহাজাগতিক কোনো প্রাণী সমুদ্রের তলদেশ হতে কাউকে ডাকছিল।”
লক্ষ্মীপুর জেলার শ্যামপুর গ্রামে ২৪ই জুন মায়ের কোল আলোকিত করে পৃথিবীতে ভূমিষ্ট হন শাহরিয়ার হাসান। পিতা শাহজাহান জামাল ও মাতা সালেহা বেগমের দ্বিতীয় পুত্র সন্তান তিনি। লেখালিখির স্বাদ কিন্তু তার আজ থেকে নয়! আরও অনেক আগে থেকেই! তবে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে শুরু করেন সপ্তম শ্রেণী থেকে। লেখালিখির পাশাপাশি নিত্যদিনের সঙ্গী হয়ে দাঁড়ায় বই পড়া! বইয়ের ভালোবাসায় মগ্ন হয়ে দীর্ঘ অধ্যবসায় শেষ করে প্রস্তুত করলেন প্রথম পাণ্ডুলিপি! অবশেষে তার নাম এসে দাঁড়াল "শিল্পী আমি, আঁকে সে।" এ বছরেই তার দ্বিতীয় বই প্রকাশ হবে কুহক কমিক্স এন্ড পাবলিকেশন্স থেকে। নাম "আই অব সাহারা"। লেখক সকলের কাছে আশা রাখছেন, তার প্রথম এবং দ্বিতীয় বই দুটো যেন পাঠকের মন ছুঁয়ে যাক। পাঠকদের ভালোবাসায় মত্ত হতে চান তিনি।