হৃদরোগের কারণ ও প্রতিকার image

হৃদরোগের কারণ ও প্রতিকার

by ডা. মিজানুর রহমান কল্লোল

TK. 300 Total: TK. 225

(You Saved TK. 75)
হৃদরোগের কারণ ও প্রতিকার

হৃদরোগের কারণ ও প্রতিকার

1 Rating  |  No Review
TK. 300 TK. 225 You Save TK. 75 (25%)

বর্তমানে প্রকাশনীতে এই বইটির মুদ্রিত কপি নেই। বইটি প্রকাশনীতে এভেইলেবল হলে এসএমএস/ইমেইলের মাধ্যমে নোটিফিকেশন পেতে রিকুয়েস্ট ফর রিপ্রিন্ট এ ক্লিক করুন।

Book Length

book-length-icon

144 Pages

book-icon

বই হাতে পেয়ে মূল্য পরিশোধের সুযোগ

mponey-icon

৭ দিনের মধ্যে পরিবর্তনের সুযোগ

Friday Buyday Offer image

Customers Also Bought

Product Specification & Summary

ফ্ল্যাপে লিখা কথা
হৃৎপিন্ড মূলত একটি শক্তিশালী পাম্প। এর প্রধান কাজ হচ্ছে শরীরের বিভিন্ন কোষ থেকে কার্বন ডাই-অক্সাইড যুক্ত রক্ত গ্রহণ করে ফুসফুসে মাধ্যমে রক্তকে অক্সিজেন যুক্ত করে আবার বিভিন্ন কোসে পৌঁছে দেয়া।
মাতৃগর্ভে ভ্রুন অবস্থায় হৃৎপিন্ড তার কাজ শুরু করে । একজন ৭০ বছর বয়সের মানুষের হৃৎডিন্ড প্রায় ৩,০০,০০০,০০০ বার ধুক ধুক করে । এবং এই সময়ের মধ্যে হৃৎপিন্ড প্রায় ৩০০,০০০ টন রক্তের মোকাবিল করে।
মাতৃগর্ভে এই কাজ শুরু হয়ে আমৃত্যু অবিরাম একইভাবে চলে।এ সময়ের মধ্যে হৃৎপিন্ড বিশ্রাম কেবল সিস্টোল ও ডায়াস্টোলের সময় যা প্রায় আধ সেকেন্ড।
ডান অলিন্দের প্রাচীরে অবস্থিত সাইনো অরিকুলার নোড থেকে ঋণাত্নক তড়িৎ তরঙ্গ অলিন্দের প্রাচীরে প্রবাহিত হয়। এই তড়িৎ তরঙ্গ নিয়মিত ভাবে এক নিদির্ষ্ট মাত্রায় হৃৎপিন্ডি অলিন্দ ও নিলয় দুটিকে সংকুচিত ও প্রসারিত করে।
হৃৎপিন্ডের মধ্য দিয়ে বিপুল পরিমানে রক্ত প্রবাহিত হলেও তা থেকে হৃৎপিন্ড তার প্রয়োজনীয় পুষ্টি গ্রহণ করতে পারে না। পুষ্টির জন্য তাকে নির্ভর করতে হয় করোনারি ধমনীর ওপর ।
চিকিৎসা বিজ্ঞানের উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে হৃদরোগ নির্ণয় ও চিকিৎসার অনেক পরিবর্তন হয়েছে। রোগ প্রতিরোধে নানা ব্যবস্থাও আয়ত্তে এসেছে। এসব নিয়েই লেখা হয়েছে এই বইটি। আশা করি বইটি জনসাধারণের উপকারে আসবে।
ভূমিকা
হৃৎপিন্ড মূলত একটি শক্তিশালী পাম্প। এর প্রধান কাজ হচ্ছে শরীরের বিভিন্ন কোষ থেকে কার্বন ডাই-অক্সাইড যুক্ত রক্ত গ্রহণ করে ফুসফুসে মাধ্যমে রক্তকে অক্সিজেন যুক্ত করে আবার বিভিন্ন কোসে পৌঁছে দেয়া।
হৃৎপিন্ডের মাপ মানুষের বদ্ধ মুষ্টির মতো। লম্বায় প্রায় ১৫ সেমি. ,চওড়ায় ১০ সেমি। ওজন প্রায় ৩৫০ গ্রাম।
হৃৎপিন্ডের চারটি প্রকোষ্ট আছে। ডান ও বাম অলিন্দ এবং ডান ও বাম নিলয় উর্ধ্ব ও নিম্ন মহাশিরার মাধ্যমে ডান অলিন্দ শরীরের বিভিন্ন টিস্যু থেকে কার্বন-ডাই-অক্সাইড যুক্ত রক্ত গ্রহণ করে ডান নিলয় এবং পালমনারি ধমনী হয়ে ফুসফুসে পাঠিয়ে দেয়। সেখানে রক্তের কার্বন-ডাই-অক্সাইড শরীরের বাইরে চলে যায় এবং অক্সিজের রক্তের সঙ্গে যুক্ত হয়ে। এই অক্সিজেন যুক্ত রক্ত পালমনারি শিরার মাধ্যমে বাম অলিন্দ হয়ে বাম নিলয়ে পৌঁছায়। সেখান থেকে মহাধমনী হয়ে শরীরের বিভিন্ন টিস্যুতে পৌঁছে।
প্রকৃত পক্ষে হৃৎপিন্ড দৃটি পাম্পের কাজ করে । একটি ছোট পাম্প ডান নিলয় খেকে রক্ত ফুসফুস পর্যন্ত পাঠিয়ে দেয় এবং একটি বড় পাম্প বাম নিলয় থেকে রক্ত ফুসফুস পর্যন্ত পাঠিয়ে দেয় এবং একটি বড় পাম্প নিলয় থেকে মহাধমনীর মাধ্যমে রক্ত শরীরের নানা অঙ্গে পাঠিয়ে দেয়।
আন্তঃঅলিন্দ এবং আন্তঃনিলয় পর্দা যথাক্রমে দুটি অলিন্দ ও নিলয়কে পৃথক করে। মানুষের শরীরে প্রায় পাঁচ লিটার রক্ত থাকে। প্রতিদিন মানুষের হৃৎপিন্ড প্রায় ৯০,০০০ কিলোমিটার দীর্ঘ রক্ত বাহী নালী দিয়ে রক্ত চলাচলে সাহায্য করে। এই পরিমান রক্ত একটি ১৫,০০০ লিটার ক্ষমতাযুক্ত আধার পূর্ন করতে পারে।
মাতৃগর্ভে ভ্রূণ অবস্থায় হৃৎপিন্ড তার কাজ শুরু করে।একজন ৭০ বছর বয়সের মানুষের প্রায় ৩,০০,০০০,০০০ বার ধুক ধুক করে । এবং এই সময়ের মধ্যে হৃৎপিন্ড প্রায় ৩০০,০০০ টন রক্তের মোকাবিল করে।
হৃৎপিন্ড ধমনীতে রক্ত বের করে দেয়ার সময় নিলয় দুটি সংকুচিত হয়। এবং ঠিক এ সময় অলিন্দ দুটি প্রসারিত হয়ে শিরা থেকে রক্ত গ্রহণ করে। আবার অলিন্দ দুটি যখন সংকোচন হয় তখন নিলয় দুটি প্রসারিত হয়ে অলিন্দ থেকে রক্ত গ্রহণ করে। এই সংকোচন ও প্রসারণ কালকে বলাহয় যথাক্রমে সিস্টল ও ডায়াস্টল। হৃৎপিণ্ডের প্রতিনিয়ত সংকোচন ও প্রসারণকে হৃৎস্পন্দন বলা হয়। একজন মধ্যবয়স্ক মানুষের ক্ষেত্রে এটি প্রতি মিনিটে প্রায় ৭০ বার।
মাতৃগর্ভে এই কাজ শুরু হয়ে আমৃত্যু অবিরাম একইভাবে চলে।এ সময়ের মধ্যে হৃৎপিন্ড বিশ্রাম কেবল সিস্টোল ও ডায়াস্টোলের সময় যা প্রায় আধ সেকেন্ড।
ডান অলিন্দের প্রাচীরে অবস্থিত সাইনো অরিকুলার নোড থেকে ঋণাত্নক তড়িৎ তরঙ্গ অলিন্দের প্রাচীরে প্রবাহিত হয়। এই তড়িৎ তরঙ্গ নিয়মিত ভাবে এক নিদির্ষ্ট মাত্রায় হৃৎপিন্ডি অলিন্দ ও নিলয় দুটিকে সংকুচিত ও প্রসারিত করে।
হৃৎপিন্ডের মধ্য দিয়ে বিপুল পরিমানে রক্ত প্রবাহিত হলেও তা থেকে হৃৎপিন্ড তার প্রয়োজনীয় পুষ্টি গ্রহণ করতে পারে না। পুষ্টির জন্য তাকে নির্ভর করতে হয় করোনারি ধমনীর ওপর ।
চিকিৎসা বিজ্ঞানের উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে হৃদরোগ নির্ণয় ও চিকিৎসার অনেক পরিবর্তন হয়েছে। রোগ প্রতিরোধে নানা ব্যবস্থাও আয়ত্তে এসেছে। এসব নিয়েই লেখা হয়েছে এই বইটি। আশা করি বইটি জনসাধারণের উপকারে আসবে।
ডা. মিজানুর রহমান কল্লোল
ঢাকা ন্যাশনাল মেডিক্যাল হাসপাতার
৫৩/১, জনসন রোড ,ঢাকা
ই-মেইল: [email protected]